একদিন সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম তালবান্ধায়।।জানুয়ারী ,২০২২।।
।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন।আশা করি ভাল আছেন সুস্থ আছে।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি একটি অত্যন্ত সাধারণ মানের আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। দিন তিনেক আগে গেছিলাম তালবান্ধায়।তালবান্দা সম্পর্কে আগেই জেনেছেন এটা আমার বাড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে একটি বাজার।বাজারটি মূলত রোডের পাশেই গড়ে উঠেছে।এখানে সাধারণত আমি সকালবেলা হাঁস কিনতে যাই।কিন্তু আজকের দিনটা একটু ব্যতিক্রম ছিল।শরীর খারাপ থাকার জন্য এবং পরীক্ষা থাকার জন্য টানা ছয় দিন আমি ঘর থেকে বের হইনি।তাই মনে হল একটু বেড়িয়ে আসা যাক।তাই ড্রাইভারকে আসতে বলে দিলাম তাই সন্ধ্যা হওয়ার একটু আগেই আমরা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
![]() | ![]() |
---|
উদ্দেশ্য একটু ঘোরাঘুরি সঙ্গে একটু হাওয়া বাতাস খাওয়া।ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ মাথায় খেললো যাই একটু তালবান্দা ঘুরে আসি।তালবান্ধা সাধারণত সন্ধ্যাবেলায় কখনোই যাওয়া হয়নি।যতবার গেছি ওই সকাল বেলা এগারোটার দিকে যাওয়া হয় সেটা প্রধানত হাঁস কিনতে।কিন্তু এবার সন্ধ্যাবেলায় গিয়ে দেখলাম এক মনোরম পরিবেশ।হালকা আলো-আঁধারি চারিদিকে এবং লোকজন খুবই কম এবং কয়েকটি হাস মুরগীর দোকান খোলা আছে।তাই গাড়ি দাঁড় করিয়ে কিছু কেনা যায় কিনা তাই নামলাম।রাতের বেলায় হাঁস খাওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল না তাই দেশি মুরগি নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। গ্রাম্য মহিলাদের বাড়িতে পোষা হাঁস-মুরগি এখানে বিক্রয় করা হয়|
হাঁস মুরগি গুলো একদম দেশিজাতের এবং খেতেও বেশ সুস্বাদু।গাড়ি থেকে নেমে দুটো দেশি মুরগি অর্ডার দিয়ে দিলাম। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি যে মুরগি যদি চামড়া সহকারে খাওয়া যায় তবে সেই মুরগিগুলো টেস্ট বেশি হয়।তাই বললাম যে তোমরা গরম জল করে চামড়া সমেত ড্রেসিং করে দাও।এজন্য তারা একটু আলাদা পয়সা দাবী করলো। দেখলাম এটা আমার জন্য ভালই হবে তাই একটু এক্সট্রা টাকা দিতে রাজি হয়ে গেলাম।দেখলাম তারা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে বেশ কম সময়ে আমার মুরগি ড্রেসিং করে দিল। মোটামুটি আধাঘন্টার একটু কম সময়ের মধ্যেই তারা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলো। আমি টাকা দিয়ে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম।
কিছুদূরে দেখলাম একজন গ্রাম্য ডাক্তার কিছু ওষুধপাতি নিয়ে বসেছে সামনে চুইঝাল ও বিক্রি করছে।একই সঙ্গে সে ওষুধ বিক্রেতা ডাক্তার এবং চুইঝাল বিক্রেতা।তার কাছ থেকে ভালো দেখে একটু বেশি করে চুইঝাল নিলাম। এটা খেতে বেশ ভালো ও একটি দারুন মসলা জাতীয়।মাংস কেনার পর আর বেশি বেশি ঘোরাঘুরি করা ঠিক নয় কারণ তাড়াতাড়ি রান্না করে খেতে হবে তো তাড়াতাড়ি গাড়িতে করে বাড়ি ফিরলাম রান্না করে খেলাম দারুন স্বাদ হলো যাইহোক আমার কথা ও ফুরালো।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
জায়গার নামটা বেশ সুন্দর তালবান্ধা।আমি প্রথমে ভেবেছিলাম দাদা মনে হয় ঘুরতে যেয়ে জায়গাটা তালাবন্ধ পেয়েছেন।দাদা আমিও মুরগী বা হাঁস স্কিন আমার খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
দাদা প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি দোয়া করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ। সন্ধ্যায় তালবান্ধায় বেশ ভালোই সময় কেটেছে। আপনি ঠিক বলেছেন দাদা দেশি মুরগির চামড়া সহকারে রান্না করলে অনেক সুস্বাদু খেতে হয়। তবে আমি চুইঝাল মনে হয় কখনো খাইনি নামটি নতুন শুনলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার সন্ধ্যারাতের তালবান্ধায় কিছু সময় আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
আবার সেই তালবান্ধা! আমি যাবোই। সব স্টক শেষ হওয়ার আগে আমিও দু একটা তুলে নিয়ে আসবো 😆।
আমারও অভিমত এক, মুরগির চামড়া থাকলে বেশি স্বাদের হয়।
দাদা প্রথমেই আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি ঈশ্বরের কাছে।এছাড়া আশা করি আপনার এক্সাম ভালোই হয়েছে।চুইঝাল এটি আমার খুবই পছন্দ, এটি বেশি তেলযুক্ত মাছে আমরা খেয়ে থাকি অন্যান্য মসলার সঙ্গে।বিশেষ করে সংকর মাছে দিয়ে খাই ,খুবই ভালো লাগে খেতে।ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।
তাইলে কি ভাই নিমন্ত্রণ পাচ্ছি কি হাঁস খাওয়ার নাকি মুরগি খাওয়ার। নাকি দুটোই খাবো একসঙ্গে 😋🙏☺❤
শীতের সময় হাঁসের মাংস বেশ মজাদার খেতে অনেক ভালো লাগে আমারও। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সন্ধ্যেবেলায় ঘুরতে যাওয়া বিষয়গুলো সুন্দরভাবে ব্যক্ত করেছেন। সবথেকে ভালো লাগা কথা হচ্ছে চুইঝাল। বাংলাদেশের যশোর কুষ্টিয়া অঞ্চলের চুইঝাল জনপ্রিয় একটি খাবার। আমার মনে আছে ঢাকাতে একবার বন্ধুদের সাথে চুইঝাল রেস্টুরেন্টে চুইঝাল খেতে গেছিলাম।
প্রথমেই দোয়া করি দাদা যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন। আশাকরি আপনার পরীক্ষা মোটামুটি ভালই হয়েছে। খুবই সুন্দর একটা সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল দাদা।
আপনার পোস্টের টাইটেল টা বেশ দারুণ হয়েছে বেশ ছন্দময়। এবং মুরগি চামড়া সহ খেলে স্বাদ বেশি লাগে এইরকম কখনও ভেবে দেখিনি। আমাদের দেশের যশোর খুলনা এইদিকে চুইঝাল বেশি পাওয়া যায়। এবং এই চুইঝাল টা যেন মাংস রান্না করার জন্য একবারে উপযুক্ত।
সর্ব প্রথম সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা কামনা করছি। সন্ধ্যার মুহূর্ত খুব সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। শীতকালে হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।