সাতখাল শাসন বাংলার একটি সবুজে মোড়া অপূর্ব গ্রাম ।।
প্রকৃতির রহস্যময় ও অপরূপ লীলা ভূমি আমার এই বাংলা।এর ভূমি যেমন পবিত্র তেমনি কোমল।এই মাটির বুকে কৃষকেরা সোনার ফসল ফলায়।বাংলার মতো এতো উর্বর ভূমি এই পৃথিবী কমই আছে।বাংলার ভূমি দুহাত ভরে শুধু আমাদের দিতে জানে।কিন্তু আমরা বিনিময়ে তাঁকে ইতিবাচক কিছুই দিতে পারিনা।এই বাংলার প্রেমে পড়ে কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন "রূপসী বাংলা"।তিনি এই মা মাটি ও মানুষের সাথে এতটাই মিশে গেছিলেন যে তিনি আশা ব্যক্ত করেছিলেন " আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে—এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়—হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে;"
কবি রবি ঠাকুর ও ছেড়ে যেতে চান নি এই বাংলাকে।এমনই জাদু আছে এই বাংলায়।তাই তো শত ব্যস্ততার মাঝে ও আমি খুঁজি বাংলার প্রাণ সবুজের সমারোহ।শহরের চোখ ধাঁধানো জৌলুস আমাকে টানে না।গ্রামের স্নিগ্ধ বিকেল হাতছানি দেয় অহরহ।
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন সুস্থ আছেন।এই মহামারীতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়তে হবে।যতক্ষন না একজন ও মানুষের কান্না না থামছে ততক্ষণ আমাদের এই লড়াই জারি থাকবে।জয় পরাজয় পরের ব্যাপার।আগে লড়াই টা আমাদের করে যেতে হবে।যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ।
আজকে ঘুরে এলাম বাংলার একটি অতি সুন্দর জলে ঘেরা সবুজে মোড়ানো একটি গ্রাম।এই গ্রামের নাম সাতখাল ব্রীজ, শাসন।এই অঞ্চলটি পুরোটাই ঘের আর ঘের।অর্থাৎ তাদের পুরো জীবিকা নির্ভরশীল মৎস চাষের উপর।এখানে সবাই মাছ চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত।পড়াশোনার পাশাপাশি যুবকরা মৎস চাষে ও নিজেদের নিয়োজিত রাখে।
এই এলাকাটি এতটাই উন্মুক্ত যে এখানে হাওয়ারা বিচরণ করে বিশালতা নিয়ে।তাই দূরদূরান্ত থেকে বাইক গাড়ি করে লোক এখানে একটু নিরিবিলি সময় কাটাতে আসে।প্রচুর মানুষের আনাগোনা দেখে কিছু মানুষ ছোট ছোট ব্যবসা গড়ে তুলেছেন।যেমন চায়ের দোকান ফাস্ট ফুডের দোকান ইত্যাদি।এই জায়গাটি আসলেই খুব সুন্দর নির্ভেজাল ভাবে সময় কাটানোর জন্য।
ধন্যবাদ
ডিভাইস লোকেশন ক্যাটাগরি
নিকন ডি ৫৬০০ শাসন জীবন ও প্রকৃতি
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP 250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP
Beauty of Creativity.
Beauty in your mind.Take it out and let it go.Creativity and Hard working.Discord- https://discord.gg/RX86Cc4FnA
আজকে ঘুরে এলাম বাংলার একটি অতি সুন্দর জলে ঘেরা সবুজে মোড়ানো একটি গ্রাম।এই গ্রামের নাম সাতখাল ব্রীজ, শাসন।এই অঞ্চলটি পুরোটাই ঘের আর ঘের।অর্থাৎ তাদের পুরো জীবিকা নির্ভরশীল মৎস চাষের উপর।এখানে সবাই মাছ চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত।পড়াশোনার পাশাপাশি যুবকরা মৎস চাষে ও নিজেদের নিয়োজিত রাখে।
সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাই।
দাদার পোস্ট গুলো দেখলে মনে হয় গ্রামে চলে গিয়েছি। দীর্ঘ দিন গ্রামে সময় কাটানো হয় না। একটা সময় ছিলো যখন সময় পেলেই গ্রামে চলে যেতাম। ছবি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে দাদা।
হাওয়ারা বিচরণ করে বিশালতা নিয়ে।
জায়াগাটি সম্পর্কে ধারণা তো এই কথাটাই দিয়ে দিচ্ছে🥀
গ্রামের নামটা কেমন যে একটু অদ্ভত ধরনের। সাতখাল ব্রীজ, শাসন!!
যাই হোক, সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন এই গ্রামের ছবি। ধন্যবাদ।
এটা অনেক পুরনো একটা প্রবাদ, আমি আমাদের গ্রামের অনেকের মুখে শুনেছি এই শব্দটি। কঠিন ও শক্ত মনোভাব ধরে রাখা ও প্রকাশ করার জন্য এই শব্দগুলো তারা ব্যবহার করতেন।
দৃশ্যগুলো দেখে সহজেই বুঝা যাচ্ছে গ্রামটি অনেক সুন্দর এবং বেশ খোলামেলা। ফটোগ্রাফিগুলো বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ
গ্রামে থাকলে অনেক বাস্তববাদী অভিজ্ঞতা হয়।শৈশব গ্রামে কাটানোর জন্য আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।
দাদা জীবনানন্দ ছিলেন প্রকৃতির কবি। তিনি বাংলার প্রকৃতিকে এতটাই ভালোবাসতেন যে বলেন তিনি মৃত্যুর পরেও এই বাংলায় থাকতে চান কাক বক বা শালিকের বেসে। বাংলার প্রকৃতির প্রেমে পড়েনি এমন লোকের সংখ্যা অনেক কম।
গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশটি খুব সুন্দরভাবে ক্যামেরাই ফুটে উঠেছে।সত্যিই সাধারণ মানুষেরা তাদের পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য পান না, এই জন্য দেশ অনেকাংশেই পিছিয়ে।ধন্যবাদ দাদা।
গ্রাম আমারও খুব প্রিয়। আর বললেন না আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে হয়তো মানুষ নয় শঙ্খচিল কিংবা শালিকের বেশে আমিও ফিরে আসতে চাই কবিতার লেখক, কবি জীবনানন্দ দাশের মত।
আসলে বাংলার প্রতিটি দৃশ্য আমার মন কেড়ে নেয়। তবে সামান্য আর্থিক সমস্যার কারণে আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। তবে আমার মন সব সময় টানে শুধু আমার নিজের গ্রামের দিকে।
সহমত
গ্রামের অপরূপ ভালোবাসায় আমিও আটকে পড়ে গেছি
কথাগুলো চিরন্তন সত্য, সবাই ঐক্যবদ্ধ না হলে এই ভয়াল থাবা হতে কেউ মুক্ত হতে পারবেনা। গ্রামের স্নিগ্ধ বিকেল আসলেই উপভোগ করার মতো, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর উপভোগ্যময় একটি পরিবেশ উপহার দেয়ার জন্য।
অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি, কিন্তু দৃশ্যগুলোতে শুধু পানি দেখা যাচ্ছে চারপাশে, গ্রামটি কি খুব নীচু?