নিউ টাউন কফি হাউস এ কাটানো একটি সুন্দর সন্ধ্যা।।২৮ মার্চ ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আজকে আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি আমার কাটানো একটি আনন্দময় সন্ধ্যা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।আপনারা সবাই অবগত যে এখন গ্রীষ্ম ঋতু চলছে।তাই স্বাভাবিক ভাবে তাপমাত্রা একটু বেশি।আগে আমাদের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হলেও আমার ধারণা এখন এটাকে গ্রীষ্ম প্রধান দেশই বলা ভালো।
যাই হোক এই গরমের সময়ে বিকেল বেলা একটু বাইরে ঘুরতে গেলে বেশ ভালোই লাগে।তাই গত শুক্রবার একটু বেরিয়েছিলাম।আমি চাইছিলাম একটু ওপেন কোথাও যেতে কারণ অবরুদ্ধ করো জায়গায় বেড়াতে আমার বিশেষ ভালো লাগে না।আপনারা সবাই কম বেশি জানেন যে আমি একটু প্রকৃতি প্রেমী।তাই প্রকৃতির সান্নিধ্য আমার একান্ত কাম্য।
ইন্ডিয়ান কফি হাউস কলকাতার একটি ঐতিহ্য।কফি হাউস মানেই একটা নস্টালজিয়া আর অফুরন্ত ভালো লাগার স্থান।অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই কফি হাউস কে জড়িয়ে।
"কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেলগুলো সেই
আজ আর নেই..."
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার এর লেখা আর মান্না দের কন্ঠে বিখ্যাত এই গানটি বাঙালির একটা আলাদা ইমোশন।প্রত্যেক বাঙালি চায় অন্তত একবার এই কফি হাউসে গিয়ে একটু নস্টালজিক হতে চায় এক কাপ কফিতে চুমুক দিয়ে।আমি ও বেশ কয়েকবার গিয়েছি ইন্ডিয়ান কফি হাউসে।আমার বেশ ভালোই লেগেছে।কিন্তু কয়েকটি বিষয় আমার বিশেষ ভালো লাগেনি।তাও মোটের উপর আমার খুব ভালোই লেগেছে।
কিন্তু আজকে আমি এই ইন্ডিয়ান কফি হাউস নিয়ে কিছু লিখতে যাচ্ছি না।তবে হ্যাঁ কফি হাউস নিয়েই কিছু লিখতে চলেছি তবে সেটা নিউ টাউনের কফি হাউস।এই কফি হাউসের নাম :নিউ টাউন কফি হাউস।ইন্ডিয়ান কফি হাউসের আদলে এই নতুন কফি হাউসটি তৈরী করা হয়েছে।
বেশ খোলামেলা জায়গায় এই কফি হাউসটা এবং কিছু সময় কাটানোর জন্য একদম আদর্শ জায়গা।এখানে কফি ছাড়াও বেশ কিছু প্রকার মজাদার খাবার পাওয়া যায়।পুরোনো কফি হাউস এ যা যা পাওয়া যেত সবই এই নতুন কফি হাউসে আপনি পেয়ে যাবেন।স্বাদের দিক দিয়ে নিউ টাউন এর কফি হাউসের খাবার তুলনামূলক বেশ ভালোই।
দাদা বৌদি সহ আমরা ৫ জন মিলে কফি হাউসে এ গিয়েছিলাম।বেশ ভালো একটা সন্ধ্যা কাটিয়ে ছিলাম।আমাদের বেশ ভালো লেগেছিলো জায়গাটি।এই বিল্ডিং এর আর্কিটেকচার আমার কাছে দারুন লেগেছে।ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও বেশ চিত্তাকর্ষক।এখানে দু ঘন্টা আড্ডা দেয়ার জন্য অনেক আদর্শ জায়গা।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
শ্রদ্ধেয় দাদা আশা করি ভাল আছেন? নিউ টাউন কফি হাউস - এ সবাইকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি সন্ধ্যা অতিবাহিত করেছেন। আপনার পোস্টটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। দাদা বৌদি টিনটিন বাবু সহ সবাইকে নিয়ে খুব চমৎকার মুহূর্ত পার করছেন। আসলে এই মুহূর্তগুলো জীবনের পাতায় স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে। কফি হাউজের চারদিকের পরিবেশ খুবই অসাধারণ। আলোচিত গুলো খুব দুর্দান্ত হয়েছে। এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন দাদা।
কফি হাউজের নামটি শুনলেই মান্নাদের গাওয়া গানটির সুর কানের কাছে যেন বেজে ওঠে।নতুন কফিহাউজটি বেশ সুন্দর ও আকর্ষণীয় দেখতে।খোলা হাওয়ায় বসে কফি খেতে খেতে আড্ডা দেওয়ার অনুভূতিটাই বিশেষ রকমের হয়ে থাকে।পরিবারের সকলের সঙ্গে সময় কাটানোর উত্তম জায়গা।ধন্যবাদ দাদা।
একদম ঠিক ভাইয়া,আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম ইন্টেরিয়র এর কাজ।কতোটা দারুণ, কতোটা মুগ্ধকর।একসাথে সময় কাটানোর মূহুর্ত গুলো খুব ভালো হয়।
দাদা পছন্দ হয়ে গেল তো খুব জায়গাটা। বাইরের লুক টা সত্যি দারুন। বেশ একটা আভিজাত্যের ব্যাপার আছে। ভেতরটাও খুব সাবলীল। খুব ইচ্ছে করছে যেতে। কলকাতা আসলে নিয়ে যাবেন তো সাথে করে? 😊।
একদম যথার্থ বলেছেন দাদা, আমি সত্যি বেশ পুলকিত হয়েছি পুরো স্থাপনাটির মুগ্ধকর ও আকর্ষণীয় ডিজাইন দেখে, ভেতরের দৃশ্যগুলোও বেশ দারুণ ছিলো খুবই চমৎকারভাবে ডেকোরেশন করা হয়েছে। আসলে চমৎকার পরিবেশ থাকা এবং গল্প করার অনুভূতিগুলো সর্বদা দারুণই হয়ে থাকে। ধন্যবাদ
শেষের ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে, সুন্দর জায়গা।আড্ডা দেওয়ার মত।ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও বেশ সুন্দর। আসলেই আরেকটা কথা সত্যিই কফি হাউজের আড্ডাটা আর নেই। ভালো ছিলো। ধন্যবাদ।
এর আগেও নিউটন কফি হাউজ সম্পর্কে একটি পোস্ট আমার বাংলা ব্লগে দেখেছিলাম। মনে হচ্ছে ওপার বাংলায় নিউটন কফি হাউজ বেশ জনপ্রিয়। নিউটন কফি হাউজের কিছু সুন্দর চিত্র আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন তা ছাড়া প্রতিটা ছবি বেশ সুন্দর ছিল। বিশেষ করে প্রথম ছবিতে কফি হাউজের প্রধান ফটক পুরোপুরি তুলে ধরেছেন।
নিউটাউন এর বেশ কয়েকটি ভিডিও ইউটিউবে দেখে ছিলাম ভাই । তবে সেখানকার কফি হাউস যে এতো আধুনিকতার ছোঁয়ার আদলে নির্মিত হয়েছে ,তা কিন্তু আমার জানা ছিল না । বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন এইটা আপনার ছবি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে । এইটা একদম সঠিক একটা গ্রীষ্মকালীন দেশ । টিনটিন বাবাকে অনেক সুন্দর লাগছিল ভাই । শুভেচ্ছা রইল। ভালোবাসা অবিরাম।
বাহ্ ভাইয়া , এভাবে মাঝে মাঝে বাহিরে ফাস্টফুড খাবার খেতে যাবেন আর আমরা ও নতুন নতুন ফটোগ্রাফি পেয়ে যাবো। রেস্টুরেন্ট টি আসলেই সুন্দর যতটুকু দেখলাম। সব মিলিয়ে ভালো লাগলো , ধন্যবাদ ভাইয়া।
দাদার পোষ্টটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে টিনটিন বাবুসহ সবাই অনেক অনেক মজা ও সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।