দুশ্চিন্তা মানব জীবনের অন্যতম বড় বিপদ ।।১৯ অগাস্ট ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি আবার ও জীবন ও জীবন সম্বন্ধীয় কিছু কথা আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি।জানি না আমার কথা গুলো কতটা যুক্তিসঙ্গত মনে হবে আপনাদের কাছে।তবে আমি নিজের দর্শন ও অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু কথা বলবো।প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশটা বদলে যাচ্ছে।পরিবর্তন হবে এটাই স্বাভাবিক।
আর পরিবর্তনের দুটো দিক থাকে একটা ইতিবাচক ও আরেকটা নেতিবাচক।কিছু বর্তমানে নেতিবাচক পরিবর্তন গুলো বেশি দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।যাই যে পরিবর্তনই হোক না কেন সেটা আমাদের মেনে নিতে হবে আর তার প্রভাব এর উপর নির্ভর করে আমাদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
বন্ধুরা এই যান্ত্রিক জীবনে একটা বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে দুশ্চিন্তা বা টেনশন।আমি বলছি না যে পুরোনো দিনে মানুষের একদমই দুশ্চিন্তা ছিলো না।তবে তখন মানুষের দুশ্চিন্তার একটা সীমাবদ্ধতা ছিলো এবং সেই সব দুশ্চিন্তা অধিকাংশ সময়ে একটা সমাজ বা গোষ্ঠীর সবারই হতো বা সবাই প্রভাবিত হতো।
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে দুশ্চিন্তা ও তার প্রভাব
দিন যাচ্ছে জীবন কেমন জানি যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে।কিছু নির্দিষ্ট কাজ বা দায়িত্ব আমরা রোবটের মতো দিনের পর দিন করেই চলেছি।একঘেয়েমি জীবনে আমরা দিনের পর দিন অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি।নিজের ক্যারিয়ার,পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা ও সামাজিক অবস্থান ঠিকঠাক রাখতে আমরা প্রতিনিয়ত ছুটছি আর চিন্তার সাগরে ডুবে আছি।এটা হবে তো?আমি হেরে যাবো না তো?সবকিছু ঠিকঠাক থাকতে তো?এই রকম নানা বিষয়ে দুশ্চিন্তা সবসময় আমাদের মাথায় বসে আছে।
এইসব দুশ্চিন্তা মন ও দেহের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।মন বা মস্তিস্ক সব কিছুর নিয়ন্ত্রক।তাই ভালো থাকলে শরীর ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভালো হয়ে যায়।আবার মন দুশ্চিন্তায় থাকলে শরীর ভেঙে যায়।
দুশ্চিন্তা সম্পর্কে ডেল কার্নেগী একটা দারুণ কথা বলেছেন,
"আমরা জীবন যুদ্ধের ঝড় ও হিমবাহের ধাক্কা অনেক সহ্য করতে পারি,কিন্তু ছোট ছোট দুশ্চিন্তা যা আমরা দুটি আঙুলের সাহায্যে মেরে ফেলতে পারি,তার কাছে হেরে যাই।"
অর্থাৎ এই দুশ্চিন্তা আপাত দৃষ্টিতে খুব সাধারণ কিছু মনে হলেও এটির ক্ষতিকারক দিক সাংঘাতিক।তাই একটা সুন্দর ও আনন্দময় জীবনের জন্য দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
আমি নিজের চোখে দেখছি একটি সুস্থ সবল মধ্য -বয়সী মানুষ কিভাবে একটু একটু করে শেষ হয়ে যায় এই দুশ্চিন্তা করতে করতে।দুশ্চিন্তা অনেকটা স্লো পয়জন এর মতো।
দুশ্চিন্তা থেকে বেরোনোর উপায়
এই ভয়ানক দুশ্চিন্তা থেকে না বেরোতে পারলে খুব বিপদ।দুশ্চিন্তা করতে করতে একটু একটু করে পুরো জীবন টাই শেষ হয়ে যায়।তাই যেকোনো উপায়ে হোক আমাদের দুশ্চিন্তাকে দূর করতে হবে।
১.নানা রকম ইতিবাচক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে যা বাস্তব জীবনকে নির্দেশ করে।
২.বিভিন্ন প্রকার গঠনমূলক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে।
৩.সর্বদা পারিবারে একটা সুন্দর ও হাসির পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
৪.একাকিত্বে কখনো ডুব দেয়া যাবে না।
৫.কোনো বিষয়ে সমস্যায় পড়লে উপযুক্ত ব্যক্তির সাথে খোলামেলা আলোচনার করতে হবে।
প্রত্যেকটি জীবন হোক প্রতিশ্রুতিময় আর উন্নয়নমুখী।সকল দুশ্চিন্তার মেঘ সরে যাক।সবার মুখে হাসি ফুটুক।এই প্রত্যাশা রেখে এখানেই শেষ করছি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
জীবনের উপর একটা খুবই শিক্ষনীয় পোস্ট করেছেন দাদা। আপনার এই পয়েন্টগুলো সত্যিই খুব বাস্তব ও প্রয়োজনীয় একটা জীবন চালানোর জন্য। ধন্যবাদ। এমন কিছু লেখা আপনার কাছে আরো আশা করবো।
জি দাদা, দুশ্চিন্তায় মানব জীবনের অন্যতম বড় বিপদ। প্রিয় দাদা, আমি নিজে দেখেছি দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হয়ে একজন সুস্থ সবল মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু পরে বলা হল তিনি স্টোক করে মারা গেছেন। অথচ স্টোক হওয়ার পেছনের মূল কারণ হলো দুশ্চিন্তা করা। প্রিয় দাদা দুশ্চিন্তা থেকে বের হওয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপায় আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। দুশ্চিন্তা থেকে বের হওয়ার জন্য আমাদের সকলের উচিত ইতিবাচক চিন্তা করা, গঠনমূলক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকা, পরিবারের সকলের সাথে সুসম্পর্ক রেখে আনন্দ ফুর্তিতে চলা এবং একাকীত্ব থেকে নিজেকে দূরে রাখা। অসাধারণ একটি শিক্ষামূলক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সমস্ত কথাগুলোর সাথে আমি একমত কিন্তু মানুষ যখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, মানুষের একটি বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। তখন এ সমস্ত বিষয়গুলো আর তার কাজে আসে না। কারণ এমন একটা মুহূর্তের মধ্য দিয়ে আমি দীর্ঘদিন চলেছি। এটাই আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা
দুশ্চিন্তা মানুষকে কুরে কুরে খায়। ডেল কার্নেগী আমার প্রিয় একজন লেখক আমার জীবনে এমন একটা সময় ছিল যে সময় আমার জীবন দুশ্চিন্তা উহাত আশায় ভরে গিয়েছিল। সে সময় ডেল কার্নেগীর একটি বই আমাকে দারুন ভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল বইটির নাম দুশ্চিন্তাহীন মানব জীবন।
দাদাকে আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন। আর এই কথাগুলো একদম বাস্তব। আসলে দুশ্চিন্তা করলে মানুষ ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যায়। আর এই চিন্তাকে দূর করতে হলে যে সমস্যা থাকুক না কেন কারো সাথে শেয়ার করতে হবে। আপনার ৫ নম্বর পয়েন্টে আমার খুবই ভালো লেগেছে, এটি একদম সত্য বাস্তব পয়েন্ট।
খুবই উপকারী এবং যুগোপযোগী কিছু কথা বলেছেন দাদা।বর্তমানে আমাদের মাঝে দুশ্চিন্তা বিষয়টা এতোটা জেকে বসেছে যা বলার বাহিরে।
সুন্দর ছিল সবকিছু।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য 😊🥰
প্রিয় ছোট দাদা, আপনি সব বাস্তব কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আমার জানামত সবাই এসব নিয়েই দুশ্চিন্তা করেন, আর এসব থেকে বেড়ানোর জন্য খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি ফর্মুলা দিয়েছেন, যদি কেউ এই পাঁচটি কাজ করে তাহলে সত্যি তার কোনো দুশ্চিন্তা থাকবে না, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
আমাদের এই জীবন বর্তমানে যান্ত্রিক হয়ে গেছে। সব সময় কিছু না কিছু নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তা করেই যাচ্ছি। হয়তো এই ক্ষুদ্র জীবনে চাওয়া না পাওয়ার মাঝে দুশ্চিন্তাগুলো বাসা বেধেছে। আমরা যদি এই দুশ্চিন্তা থেকে বেরিয়ে জীবনটাকে উপভোগ করতে চাই তাহলে এই জীবন সুন্দর হবে। দাদা আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। দুশ্চিন্তা থেকে বেরোবার উপায় গুলো জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। দাদা আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️
ডেল কার্নেগীর এই কথাটা আমার কাছে বেশ লাগল। তবে আমার কাছে মনে হয় অতিরিক্ত আকাংখা আমাদের অতিরিক্ত দুঃচিন্তার কারণ।।
এবং দুঃচিন্তা থেকে মুক্তি পাবার জন্য আপনার পদ্ধতি গুলো বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
এই পাঁচ নাম্বার কাজটি করা খুবই কঠিন।সমস্যার কথাগুলো কেও মন থেকে আজকাল শুনতেই চায়না।