আমার ডায়েরির পাতা থেকে :আজকে সারাদিন কেটে গেছে দারুণ ব্যস্ততায়
হ্যালো বন্ধুরা তোমরা সবাই কেমন আছো ।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আজকের লেখা শুরু করছি। আজকে সারাটা দিন অত্যন্ত ব্যস্ততা সঙ্গে কাটালাম। তেমন একটা শারীরিক পরিশ্রম কিছু হয়নি। তবে অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে, বিভিন্ন রকম কাজের তদারকি করতে হয়েছে। বেশ কিছু মাস আগে একটি ফ্ল্যাট কিনে ছিলাম তাই নতুন এপার্টমেন্ট টি সাজানোর জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলাম কলকাতার একটি নামকরা ইন্টেরিয়ার হাউস কে। বেশ ভালোভাবে কাজে করছিল এবং তাদের কাজের মাধ্যমেই তাদের দক্ষতার পরিচয় ও পাওয়া যাচ্ছিল।
আশা করছিলাম পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তারা এটি রেডি করে আমাকে হ্যান্ডওভার করতে পারবে ।কিন্তু বিধি বাম। হঠাৎ দেশজুড়ে শুরু হলো মহামারী করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ওয়েব যেটা দ্বিতীয় ঢেউ নামে পরিচিত। প্রথম বারের চেয়ে এবারের সংক্রমণ ছিল মাত্রাতিক্ত এবং আশেপাশে চারিদিকে মানুষের মৃত্যুর আর্তনাদ এবং প্রত্যেক দিন ভোরে উঠেই কোন না কোন পরিচিত মানুষের মৃত্যুর খবর শুনে দিনটা শুরু হয়েছিল ।চারিদিকে তখন অক্সিজেনের ভয়াবহ সংকট ।একমাত্র অক্সিজেনের জন্য প্রতিদিন প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছিল।
এভাবে অত্যন্ত সংকট আর দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে কেটে গেছে প্রায় দেড় মাস।পশ্চিমবঙ্গের সরকার প্রধান শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত পরিশ্রম করে গেছেন তিনি এই দ্বিতীয় ঢেউ কে প্রশমিত করার জন্য। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি সমাজের প্রচন্ড গাফিলতি ও অসচেতনতা দ্বিতীয় ঢেউ কে আরও ত্বরান্বিত করলো।এমতাবস্থায় সরকার আর কোন উপায় না দেখে টানা দেড় মাসের একটি লকডাউন ঘোষণা করে দিল।
লকডাউন দিলে খেটে খাওয়া মানুষ যেমন চরম বিপদে পড়বে আর না দিলেও এই সংক্রমণকে একদমই আটকানো যাবেনা। এমতবস্থায় শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। তিনি দেড় মাসের একটি লকডাউন ঘোষণা করলেন ফলে এই লকডাউন এর জন্য আমার কাজটিও বন্ধ হয়ে গেল। দীর্ঘ দেড় মাস পর লকডাউন উঠে গেলে ও যানবাহন স্বাভাবিক হলো না ।ফলে আমার কাজটি আরও একমাস পিছিয়ে গেল ।এরপর কাজ শুরু হলো কিন্তু লক্ষ্য করলাম ইন্টেরিয়র হাউজের মালিকের গড়িমশি ।তাই বাধ্য হয়েই আমাকে দুটো কড়া কথা বলতে হলো ইন্টেরিয়র হাউজ এর মালিক কে ।দুটো শক্ত কথা বলার পর মালিক টি আবার পুরোদমে কাজ শুরু করলো।
এরপর টানা একমাস ধরে কাজ চলল ।অবশেষে আজকে ফাইনাল ফিনিশিং হয়ে গেল।তাই আজকে সারাদিন খুঁটিনাটি বিষয়গুলো দেখেছি ,কোথাও কোন সমস্যা আছে কিনা ।ছোট ছোট বিষয় গুলো দেখতে অনেকটা সময় চলে যায় ।তার উপর আজকে আবহাওয়া একদমই ভালো নয়। সারা দিন ধরেই টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছিল। যাই হোক অবশেষে ফ্ল্যাটটি রেডি হল এটাই ভালো বিষয়।আমি আমার ফ্ল্যাটের কয়েকটি ছবি এখন শেয়ার করছি। যদিও সব রুমের ফটো আমার তোলা নেই। যেটুকু আছে তাই শেয়ার করছি এখনে।ফ্ল্যাট টি পরিষ্কার করা হয়নি সম্পূর্ণরূপে। তাই সবগুলো ফটো তোলা হয়নি। যাই হোক ইন্টেরিয়ার হাউসটি টাইম বেশি নিলে ও কাজটা যথেষ্ট ভাল করেছে। বিশেষ করে তাদের ফিনিশিং কাজটা আমার অত্যন্ত পছন্দ হয়েছে ।
আর একটা বড় বিষয় ইন্টেরিয়র হাউস এর মালিক কর্মচারী ও মিস্ত্রি প্রত্যেকের ব্যবহার খুব ভালো ছিলো। তাদের যা বলা হয়েছে তারা সেটা মেনে চলেছেন। এদিকে বলতে গেলে তাদের ব্যবহার অত্যন্ত চমৎকার তারা সাধারণত যে কাজ করেছে তা মোটামুটি সুনাম আছে প্রত্যেক ইন্টেরিয়র হাউজি এরকম করবে। কিন্তু এদের প্লাস পয়েন্ট এদের ব্যবহার অত্যন্ত ভালো এবং এরা অনেক বেশি দায়িত্বশীল ।কিন্তু শুধু একটাই নেগেটিভ দিক এরা টাইমটা অনেক বেশি নিয়ে ফেলেছে।
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
ওয়াও,ফ্ল্যাটটি অসাধারণ ও দারুণ হয়েছে।👌কিছুটা বিদেশি ভাব এবং উপরটা গির্জার সুন্দর কারুকার্যের মতো লাগছে আমার কাছে।যেই এইরকম সুন্দর ফ্ল্যাটটি দেখবে সেই ফ্ল্যাটটির প্রেমে পড়ে যাবে।চোখে পড়ার মতো ফ্ল্যাটের দৃশ্যগুলি।অনেক সুন্দর ফ্ল্যাটের দৃশ্যগুলি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।।
বাপ রে বাপ ।এইটা তো রাজ প্রাসাদ ।কি সুন্দর কারুকাজ। একদম চোখ ধাধানো ।
কি যে বলেন।মোটামুটি সাজানো।তবে আপনার কাছে প্রশংসা শুনে মনে হচ্চে কাজটি ভালোই হয়েছে।অসংখ্য ধন্যবাদ।।
দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর রুমের ছবি শেয়ার করার জন্য। আপনার ফ্ল্যাটটি খুবই সুন্দর। শুভকামনা রইল আপনার জন্য, সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারেন।
সাজানো আপনার পসন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।।শুভেচ্ছা নেবন।
প্রথমে দেখে ভেবেছিলাম ফাইভ স্টার হোটেলের রুম,পরে পোস্ট পড়ে জানলাম এটা আপনার ফ্লাট।প্রচুর হিংসা হচ্ছে।
ওরে বাবা!যাই হোক আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো।।
ওয়াওওও খুব সুন্দর লাগছে।
😍
অনেক সুন্দর ছবিগুলি। ভীষণ ঝকঝকে । চোখ সরানো যায় না। সত্যিই বন্ধু চেনা মানুষের চেনা জায়গা গুলি যখন নতুন রূপে সেজে ওঠে হঠাৎ চেনা যায় না। তারকারণ যেভাবে সাজিয়ে ছো। ভীষণ জাকজমকপূর্ণ ।খুব ভালো বন্ধু। দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ তোমাকে।
জনগণ সচেতন না হলে করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। আপনার এপার্টমেন্টটা খুব সুন্দর সাজানো হয়েছে। দেখতে খুব ভালো লাগছে।
সহমত আমি আপনার সাথে।
ধন্যবাদ দাদা।
দাদা একদিন পুরো ফ্লাটের ছবি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। ছবিতে যতটুকু দেখা যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে কাজটা সুন্দর হয়েছে। এটা একটা সমস্যা যে মানুষকে কাজ দিলে তার পেছনে আবার লেগেও থাকতে হয় সময় মত কাজ করিয়ে নেয়ার জন্য। আপনি এমনিতেই এদের প্রশংসা করছেন। যদি এরা সময়মতো আপনার কাজটা বুঝিয়ে দিতো। তাহলে আপনি এদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকতেন এবং নিজের পরিচিতজনদের কে এদেরকে সাজেস্ট করতেন। তাতে এদের ব্যবসা ভালো হতো। এই জিনিসটাই ব্যবসায়ীরা বুঝতে চায় না। একজন তৃপ্ত ভোক্তা একটি পণ্যের সর্বোত্তম বিজ্ঞাপনদাতা। ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই একদিন সব ছবি শেয়ার করবো।সেবা সরবরাহ সংস্থা ও ভোক্তা দুজনেরই দায়িত্ব বান হওয়া উচিত নিজ নিজ জায়গায়।ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য।
ফ্ল্যাটটা দারুন লাগছে দাদা। অসাধারণ হয়েছে ইন্টেরিয়র ডিজাইন। এ পুরো ডিজাইন এ কেমন খরচ হয়েছে যা দাদা জানার ইচ্ছা রইল।
হ্যাঁ, এরা মোটামুটি ভালোই কাজ করে।dm এ share করছি দাম টা।
ব্যাস্ততার মাঝেও যে আপনি এতো সুন্দর একটি পোষ্ট করেছেন তার জন্য শুভকামনা, আপনার লেখনি অসাধারণ মনোমুগ্ধকর। আপনার উপস্থাপনা আমার ভালো লেগেছে
এটা আমার সারাদিনের কর্মকাণ্ড এর কিছু অংশ।ফলে তা আপনাদের সাথে share করতে ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।