মায়ের দর্শন ও গঙ্গা মায়ের ঘাট।।০১ ডিসেম্বর ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি অনেক দিন পর দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে মায়ের দর্শন করতে গেছিলাম।আসলে বিয়ের পর মায়ের দর্শন করতে যেতে হয়।গত মঙ্গলবার আমাদের বাড়ি থেকে সকালে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু দাদার শরীর বিশেষ ভালো না থাকার কারণে আমরা আমাদের প্ল্যান টা চেঞ্জ করে আমডাঙা কালীমন্দিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।আর সেই বিষয় নিয়ে আমি ইতিমধ্যে একটা পোস্ট ও করেছি।তাই সন্ধ্যার পর আমাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে শ্বাশুড়ি মা মাকে ও স্বাগতা কে দক্ষিণেশ্বর নিয়ে গিয়েছিলো।পর পর মায়ের আশীর্বাদ নিতে।এই জীবনে প্রথম রাতের বেলা আমরা দক্ষিণেশ্বর গিয়েছিলাম।রাতে এক মায়াবী রূপে ধরা দেয় মায়ের এই পুণ্যভূমি।সত্যি কথা বলতে এটাই সেরা অনুভূতি যা পবিত্রতায় মুড়ে যায়।
স্বাগতার হঠাৎ মাথা ব্যথা শুরু হওয়ার কারণে আমাদের বাড়ি থেকে বেরোতে বেশ দেরি হয়ে যায়।এদিকে মন্দিরে পৌঁছে শুনি মন্দির সাড়ে সাতটায় বন্ধ হয়ে যায়।তাই হাতে ছিলো মোট ৩০ মিনিট।এই সময়ের মধ্যে আমরা মায়ের পুজো দিয়ে নিলাম।মাকে দু চোখ ভরে দেখলাম।সে এক অনন্য অনুভূতি।সত্যি মা কে এতো সুন্দর ভাবে সময় নিয়ে দেখতে পেয়ে আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম।
এরপর আমরা এগিয়ে গেলাম হুগলির উত্তরপাড়ার দিকে।লক্ষ্য ঘাট থেকে গঙ্গা থেকে জল সংগ্রহ করা।কেননা দক্ষিণেশ্বর এর সব গঙ্গার ঘাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।আর ফাঁকা পাত্র নিয়ে বাড়িতে যাওয়া উচিত না।তাই আমরা আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলাম সেই দিকে।দারুণ পরিবেশ উত্তর পাড়ায়।কিন্তু বিষয় হলো এতো দারুণ বাঁধানো ঘাটে আমরা বেশিক্ষণ থাকতে পারলাম না সময়ের অভাবে।সেখানে বেশ চমৎকার একটা চায়ের দোকান ছিল।কিন্তু গাড়ি পার্কিং করার কোনো সুযোগ ছিলো না তাই আর কিছুই খাওয়া হলো না।
এরপর বাড়ি ফিরে এলাম।আমাদের এই রাত্রিকালীন ভ্রমণের ও ঠাকুর এর জায়গার কয়েকটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চলেছি।আশা করি আপনাদের খুবই ভালো লাগবে।আসুন তাহলে দেখেনি একবার।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
বিয়ের পর সবাই চায় প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে যার যার ধর্ম অনুযায়ী তাদের প্রভুর নিকট হতে আর্শীবাদ গ্রহণ করতে। তাই দাদা আপনিও স্বাগতা দিদিকে নিয়ে গেলেন মায়ের আশীর্বাদ আমার জন্য। বেশ সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন সেখানে। ফটোগ্রাফি কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। সব মিলিয়ে একটি দুর্দান্ত পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা আগামী আপনাদের ভালো কাটুক এবং ভালোবাসায় কাটুক।
দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের কথা অনেক শুনেছি। ওখানে যাওয়ার কারণ টা আজকে আপনার পোস্ট থেকে কিছুটা জানতে পারলাম। ওখানে গিয়ে আবার স্বাগতা দিদির মাথাব্যাথা শুরু হয়েছিল ব্যাপার টা বেশ খারাপ লাগল। পূজা দিয়ে আবার অন্য জায়গাই গিয়েছিলেন গঙ্গার জল আনতে। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ ছিল দাদা। সত্যি সুন্দর লাগছে।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
আসলেই এমন জায়গায় গেলে মনটা একেবারে পবিত্র হয়ে যায়। আপনারা মায়ের দর্শন করেছেন এবং আশীর্বাদ নিয়েছেন, এটা আসলেই ভিন্ন রকম অনুভূতি। দোয়া করি আপনাদের ভালোবাসার বন্ধন অটুট থাকুক সারাজীবন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রত্যেকটি ধর্মেই বিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম কানুন রয়েছে। বিয়ের পর দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে মায়ের দর্শন করতে গিয়েছেন, শুনে অনেক ভালো লাগলো দাদা। আশা করছি আপনাদের বৈবাহিক জীবন সবসময় যেন সুন্দর এবং ভালো থাকে। একে অপরের পাশে থাকবেন এবং একে অপরের যত্ন নিবেন এটাই কামনা করছি। সর্বোপরি আপনার ও দিদির জন্য শুভকামনা রইলো।
দিনের বেলায় মায়ের মন্দির লোকে লোকারণ্য থাকলেও রাত হলেই অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়, যার কারণে দুদন্ড বসে যে ধীরে সুস্থে পুজো দেওয়া যাবে সে উপায় নেই। তবে রাতের দক্ষিণেশ্বর অপূর্ব লাগে আর মাকে অনেকটা সময় ধরে দেখতেও পাওয়া যায়।
বিয়ের আগে আর পরে বেশ কিছু নিয়মনীতি থাকে। যা পালন করতে হয়।আপনারা দক্ষিনেশ্বর মন্দিরে গেলেন।আসলে রাতের বেলা সৌন্দর্য অনেক বেশি সুন্দর হয়।আর লোকজন ও কম থাকে।তাইতো সময়টা খুব সুন্দর কেটেছে।ফটোগ্রাফি গুলো ও চমৎকার লেগেছে। আপনাদের দুজনের জন্য রইলো অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ধন্যবাদ দাদা।ভালো থাকবেন সব সময়।
রাতের বেলায় মন্দিরে গিয়ে যে আপনারা অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন, তা আপনার লেখা পড়েই বুঝতে পেরেছি ভাই। তাছাড়া ফটোগ্রাফিগুলাও বেশ ভালোই উপভোগ করলাম।
শুভেচ্ছা রইল আপনাদের জন্য 🙏