পুরোনো ছবি অনেক স্মৃতি বয়ে আনে হোক সেটা সুখের কিংবা দুঃখের।।২০ অক্টোবর ২০২১।।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)
_DSC0434.jpg

নাতনিকে নিয়ে দাদু বেড়াতে এসেছে

BoC- linet.png


সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছে সুস্থ আছেন।কথায় আছে সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না।তেমনি আমাদের জীবন ও থেমে থাকে না।নানা রকম চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়।কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি এটাই জীবনের নিয়ম।ভালো যেমন থাকবে মন্দ ও থাকবে।অন্ধকার যেমন থাকবে আলো ও তেমনি থাকবে।এই দুটি বিপরীত অস্তিত্ব আছে বলেই জীবন সুন্দর জীবনকে উপভোগ করা যায়।

আজকে বন্ধুরা আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই কিছু ছবি। ছবিগুলো আজকে আমি হঠাৎই আমার এ্যালবাম ঘাটতে গিয়ে পেলাম।তখনো করোনা আসেনি।করোনা আসার ঠিক প্রাক্কালে তখন ছিল শীতকাল আমরা বন্ধুরা মিলে একটি বিশেষ জায়গায় প্রায় সপ্তাহে দুই থেকে চার দিন বেড়াতে যেতাম।এই জায়গাটি আমার বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে।

BoC- linet.png


S1.jpg

তাই আমাদের বাইকে করে যেতে হতো।অবশ্য এতটা দূরে আমাদের সময় কাটানোর উদ্দেশ্য ছিল দুটি- একটি হলো বাইক চালানো বাইক রাইড করা আর দ্বিতীয়টি হলো শহর থেকে একদম দূরে নির্মল পরিবেশ নির্মল হওয়ায় নিজেদেরকে উজ্জীবিত করা।এই জায়গাটা আসলে একটি ফসলি মাঠ।এখানে এই মাঠের পাশেই একটি গ্রাম গড়ে উঠেছে।এখানে প্রত্যেকে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ এনারা প্রধানত কৃষি কাজ করেই জীবননির্বাহ করেন এবং এই বিশাল মাঠ যে মাঠ খড়ের মাঠ নামে পরিচিত।এই মাঠেই চলে তাদের বিশাল কর্মযজ্ঞ।সেখানে সরষে চাষ হয় তখন চারিদিকে সরিষার ফুলে আচ্ছাদিত হয়ে অসম্ভব সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে।

কোথাও অবারিত মাঠ সবুজে ভরে গেছে যেগুলো আসলে পিয়াজ গাছ।আবার এক পাশে ধান পেকে সোনালী রং ধারণ করেছে। এই বিশাল ফসলের মাঠের বুক চিরে এঁকে বেঁকে গেছে একটি মেঠো পথ।সত্যিই ছবির মতো এই জায়গাটি তেমনি ছবির মতো সুন্দর মনোরম এই জায়গাটি। বেড়াবেড়িয়া খড়ের মাঠ নামে পরিচিত হলেও অনেকেই এই মাঠকে বর্তির বিল বলে থাকে।কারণ বর্ষাকালে এটা পুরোটাই জলে ভরে যায় এবং পুরোটাই বিলীন হয়ে যায় ।তখন এখানে চলে নৌকো আর মাছ ধরা উৎসব।আমরা তিন চার জন বন্ধুরা কয়েকটি বাইক নেই এখানে উপস্থিত হতাম।


111.jpg

BoC- linet.png



এখানে আসার ঠিক আগে একটি গ্রাম আছে বেশ বড় গ্রাম এবং সেই গ্রামটার ঠিক মধ্যিখানে রয়েছে কি বাজার বেড়াবেরিয়া নামে পরিচিত।এই বাজার থেকে আমরা কিছু সিঙ্গারা চপ নিয়ে এখানে ঢুকতাম। গল্প করে সময় কাটে যেত আর সন্ধ্যা হতেই বাড়ি ফিরে যেতাম। সত্যিই সেই দিনগুলো ছিল অসম্ভব সুন্দর কারণ তখন মুখে musk লাগেনি।মাঝে মধ্যে আমরা ফটোগ্রাফিও করতাম। বলতে গেলে তখন সপ্তাহে চার দিন ফটোগ্রাফি করতে বেরিয়ে যেতাম।

প্রচুর ছবি আছে যদিও মাঝে ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক ক্রাশ করে অনেকগুলো ছবি মিস করেছি।অলসতার কারনে ছবিগুলো কোন ব্যাকআপ রাখা হয়নি। অনেক ছবি আমি হারিয়েছি তার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আপলোড করার সুবাদে কিছু বেঁচে গেচে।

ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

image.png

Sort:  
 3 years ago 

আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। গ্রমের দৃশ্য গুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



 3 years ago 

FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvqu89YMGX4zmjMibbw684SHiuBeEpe4us2FgHxzChYx11aXW4SfgeM3REYyVzBaPBTPmJS1dcGyspZcRnmYJdfbJYDZEoofPoL.jpeg

এই ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে ছবিটা ক্যালেন্ডারের পাতার কোনো অনেক বড় ফটোগ্রাফার এর তোলা ছবি। অবশ্য আজ দাদার পোস্ট পড়েই বুঝেছি আপনি অনেক বড় মাপের ফটোগ্রাফার।
আচ্ছা এই বেড়াবেরিয়া জায়গাটাতেই না শেষবার গাড়ি নষ্ট হয়েছিলো আপনাদের?

আমি যে কবে এভাবে ঘুরতে যেতে পারবো। 🥺

 3 years ago 

এই বেড়াবেড়িয়া গ্রামটি সত্যিই অনেক সুন্দর।ছবিগুলো খুব মনমুগ্ধকর।আগের একটি পোষ্টে দেখেছিলাম বড়ো তাল গাছের বাগানের নীচে কৃষকের মাছ ধরার অপূর্ব দৃশ্য।এইসব গ্রামগুলো যতই দেখি ততই মুগ্ধ হই।কিছু হারানো সত্যিই বেদনাদায়ক।ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

ছবিতে বাস্তব জীবনের চিত্র তুলে ধরেছেন যা সত্যি অসাধারণ লেগেছে। সুন্দর পোস্ট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 3 years ago 

আমাদের জীবন ও থেমে থাকে না।নানা রকম চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়।কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি এটাই জীবনের নিয়ম।
করোনা আসার ঠিক প্রাক্কালে তখন ছিল শীতকাল আমরা বন্ধুরা মিলে একটি বিশেষ জায়গায় প্রায় সপ্তাহে দুই থেকে চার দিন বেড়াতে যেতাম।সত্যিই সেই দিনগুলো ছিল অসম্ভব সুন্দর কারণ তখন মুখে musk লাগেনি।

তোমার প্রতি বাক্য অনেক বাস্তবতা । করোনার আগের সময় টা দারুন ছিলো। বন্ধুরা মিলে অনেক চমৎকার মুহূর্ত কেটেছে। শহর থেকে 20 কিলোমিটার দূরে নির্মল শান্তিময় প্রকৃতির মাঝে। সত্যিই অপুর্ব। গ্রামের এই দৃশ্য গুলো দেখে মনে ভরে যায়। পুরানো স্মৃতির সাথে ও গ্রাম বাংলা চালচিত্র আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অনেক ধন্যবাদ বন্ধু।তোমার জন্য সবসময়ই শুভ কামনা রইলো।

পুরনো স্মৃতির পাতা থেকে অনেক সুন্দর গল্প শেয়ার করেছেন দাদা। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে সর্বশেষ ছবিটি। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছবি ব্যাক আপ রাখতে ভুলে যাই।আর এসব সুন্দর ছবিগুলো হারিয়ে গেলে নিজেকে খারাপ লাগে।
যাইহোক অনেক সুন্দর হয়েছে পোস্টটি সহ ফটোগ্রাফি গুলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

ছবিগুলি দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার ফটোগুলি তুলেছে। গ্রামের দৃশ্যও খুব সুন্দর ছিলো।এইসব গ্রামগুলো যতই দেখা যায় ততই মুগ্ধ হয়ে যাই।শুভেচ্ছা রইল দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 65744.86
ETH 3466.75
USDT 1.00
SBD 2.62