বাঙালির রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায় গাফিলতি।।২৩ জুলাই ২০২৩

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।বাঙালি খাদ্যপ্রেমী।ভোজনরসিক আর পেটুক সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।পেটুকেরা মোটামুটি সবই খায় কিন্তু ভোজনরসিক মানুষেরা খুব রসিয়ে স্বাদ আরোহন করে খাবার খায়।অনুভব করে খাবার খায় আর সেটা পরিমাণে বেশি নয়।নতুন নতুন রেষ্টুরেন্ট গুলোতে খাবারের স্বাদ নেওয়ার প্রবণতা তাদের মধ্যে দেখা যায়।আর বাঙালিরা স্বভাবই ভোজন রসিক।বাড়িতে তো আছেন,এছাড়া বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট গিয়ে খাবার টেস্ট করার অভিজ্ঞতা প্রায় সব বাঙালির মধ্যেই আছে।আজকে আমি একটা বাস্তব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি।

image.png

Image taken from pixabay.com


বাঙালিরা মেধাবী এ কথা মানতেই হবে।অতীতে এবং বর্তমানে ও দেখা যায় বাঙালিরা সব কাজেই অনেক কৃতিত্বের পরিচয় দিচ্ছেন।কিন্তু কোনো কিছু তৈরি করা যেমন কঠিন তেমনি সেই জিনিসটা সুনামের সঙ্গে ধরে রাখা খুবই কঠিন কাজ।তবে অন্যান্য জাতির মধ্যে এই সুনাম ধরে রাখার একটা প্রবল প্রচেষ্টা দেখা যায়।আর মোটামুটি তারা এই কার্যে সফল ও বলা চলে।কিন্তু বাঙালিরা কোনো কাজে খুব কৃতিত্বের সাথে সফল হলেও সেটা বেশি দিন ধরে রাখতে পারে না।আমি যদি রেষ্টুরেন্ট গুলোর কথা চিন্তা করি তবে এই বিষয়ে একটা ধারণা পাওয়া যায়।

বাঙালিরা খুবই passion নিয়ে আয়োজন করে একটা রেস্টরেন্ট খোলে আর কিছুদিনের মধ্যে সেটা বেশ নাম করে ফেলে।আর সেই সুনাম ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।ফলে সব সময়ই রেষ্টুরেন্ট টা গেস্ট এ হাউসফুল থাকে।সারাবছর ধরে দিনের পর দিন এই ভাবে ধরে রাখা নিঃসন্দেহে খুবই কঠিন।তবে একটা কথা সুবিধা অসুবিধা লোকে দেখবে না,তারা বিচার করবে খাবারের মান দেখে।তাই কিছু দিন পর লক্ষ্য করা যায় যে রেষ্টুরেন্ট গুলো তাদের এই বিশাল সুনাম ও জনপ্রিয়তার সুযোগ নেই।তাই মাঝে মধ্যে খুবই জঘন্য খাবার গেস্ট দের পরিবেশন করে।এটা খুবই দুঃখজনক এবং বাঙালি হিসেবে আমাদের লজ্জার কারণ।

আমাদের বাঙালির দের মধ্যে কেন এই প্রবণতা দেখা যায়।যেটা বিদেশে সার্ভিস কে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় কিন্তু আমাদের দেশে দেখা হয় না। কাস্টমার দের স্বার্থ সুরক্ষার ব্যাপারে আমরা বাঙালি ব্যবসায়ীরা একদমই সচেতন নই।আমি আমাদের বাঙালি রেষ্টুরেন্ট গুলোর এই মানসিকতার কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছি।আর ব্যক্তিগত কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।সেগুলো আপনাদের সাথে আমি আলোচনা করবো।আপনাদের মতবিরোধ থাকলে অবশ্যই জানাবেন।

কারণ গুলো আলোচনা করি:

১.আত্মবিশ্বাসের আধিক্য:হঠাৎ নাম করে ফেলা রেষ্টুরেন্ট গুলো এক সময়ে মনে করে customer গুলো তাদের পার্মানেট।একপ্রকার জিম্মি করে রাখা হয়েছে।তাই মাঝে মাঝে অবহেলা করে খারাপ সেবা প্রদান করা হয়।

২.ব্যাবসায়িক নীতির অভাব:এদের ব্যাবসায়িক নীতির বড় অভাব।এই এই সব নীতিহীন কাজকে খুব হালকা ভাবে নেওয়া হয়।

৩.সচেতনার অভাব:বাঙালিদের মধ্যে সচেতনতার বড় অভাব।তাই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে আস্তে আস্তে নিজেদের ব্যবসা নষ্ট করে ফেলে।


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

png_20211106_204814_0000.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 last year 

দাদা বাঙালি রেস্টুরেন্ট নিয়ে যে কথাগুলো লিখে শেয়ার করেছেন।একদম সত্যি এবং বাস্তবতা।বাঙালি সুনাম ধরে রাখতে পারেনা।কারন যখন তাদের ব্যবসা রমরমা তখন তারা আরো টাকার নেশায় সুনাম ধরে রাখার কথা একদমই ভুলে যায়।তারা যদি খাবারের মান ঠিক রেখে আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যায় তবে সফলতা অর্জন করতেই পারে। কিন্তু না তাদের মধ্যে কিছুদিন গেলেই নীতিবোধ তারা হারিয়ে ফেলে।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য।

 last year 

একদম বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন দাদা। আমাদের বাঙ্গালীদের এটাই হয়তো স্বভাব, বেশি নাম ডাক হলে কাস্টমারদের খুব একটা বেশি গুরুত্ব দেয় না। বাংলাদেশেও এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে দাদা। হঠাৎ করেই নাম ডাক হয়েছে কিন্তু সেই নামটা তারা তাদের সার্ভিসের জন্য ধরে রাখতে পারেনি।।

 last year 

একদম বাস্তবতার কথা নিয়ে লিখেছেন দাদা। একটি ব্যবসায় প্রথম ও প্রধান কথা হলো সততা সর্বকৃষ্ট পন্থা । সেই সুনাম প্রথমে হয়তোবা বাঙালিরা ধরে রাখতে পারে পরে আস্তে আস্তে কমিয়ে দেয় এটা আমাদের জন্য আসলেই লজ্জার ব্যাপার। রেস্টুরেন্টে খাবারের মান ঠিক রেখে সঠিকভাবে যদি সার্ভিস দিয়ে যায় তাহলে হয়তোবা এই ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় না।
ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

 last year 

আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ভাই, যে কারণগুলো আপনি দেখিয়েছেন এটা একদম শতভাগ সত্য। আমাদের শেষবার বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান যেখানে করেছিলাম, হয়তো এর আগেও সেখানে বহুবার গিয়েছিলাম। তবে তাদের আলোকসজ্জা আর ডেকোরেশন আর পূর্বের কথা ভেবেই গিয়েছিলাম, তবে বাস্তবিকভাবে খাবারের মান এবার খুব জঘন্য ছিল। আমি নিজেই এটার ভিকটিম।

খুব যুক্তিযুক্ত একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাই । 🙏

 last year 

কথা গুলো একদম ঠিক। বাঙালিরা খাবারের দোকান খুলে একবার নাম হয়ে গেলেই হয়েছে। ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায়। সাথে বেশ কিছু জায়গার খাবারের মানও। আমারও মনে হয় ব্যবসায়িক নীতি ঠিক না থাকার জন্যই এগুলো করে।

 last year 

খুব সুন্দর একটা বিষয় উপস্থাপন করেছেন দাদা, সত্যি একটা খুবই দুঃখজনক একটা বিষয় আমাদের জন্য। তবে এটা শুধুমাত্র যে রেষ্টুরেন্ট এর ক্ষেত্রে ঘটছে সেটা কিন্তু নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রেই এটা ঘটছে। আপনার পয়েন্টগুলোর সাথে আমিও সহমত। আর হ্যা, ব্যবসায়ীক নীতির অভাবের সাথে সাথে অধিক লোভও অনেকটা দায়ী। ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66740.62
ETH 3336.11
USDT 1.00
SBD 2.72