ছেলেবেলার একটি স্মৃতিকথা।।২৬ জুলাই ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজ বেশ ভালোই বৃষ্টিস্নাত দিন গেলো।ভরা শ্রাবণ মাস চলছে।কিন্তু সেই ভাবে তেমন একটা বৃষ্টি হচ্ছে না।আমরা আশা করি একটু বেশি বৃষ্টি হোক।কৃষকের মুখে হাসি দেখা যাক।বাংলার কৃষকই আমাদের খাবারের যোগান দাতা। রোদে পুড়ে জলে ভিজে তারা খাদ্য তৈরি করে।কৃষক না থাকলে দেশ চলবে না।
কিন্তু খুবই দুঃখের বিষয় গুলো কৃষকরা পায়না যোগ্য সম্মান।আমাদের দেশে চোর গুলো যে পরিমাণ সম্মান পায় সেই অনুপাতে কিন্তু আমরা কৃষকদের একদমই সম্মান দিতে পারি না।এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখের কথা। যাই হোক আমি আজকে ছেলেবেলার একটা স্মৃতির কথা বলতে চলেছি।আসলে কিছু কিছু জিনিস আমাদের নস্টালজিক করে তোলে।তখন অনেক আনন্দের স্মৃতি আমাদের মনে পড়ে।তেমনি একটা কথা আজ আমার মনে পড়লো।
আমি আগেই বলেছি আমি গ্রামের ছেলে।আর আমি নিজেকে গ্রামের ছেলে হিসেবে পরিচয় দিতে খুব গর্ব বোধ করি।কারণ একমাত্র একজন গ্রামের ছেলেই জীবনের সঠিক দিক গুলো দেখতে পারে।যারা শহরে জন্মগ্রহন করেন এবং পুরো শৈশব শহরেই কাটিয়ে দেয় তাদের জন্য আমি কষ্ট পাই।তারা সত্যি কথা বলতে জীবনের সঠিক আনন্দই উপভোগ করতে পারে না।তবে প্রত্যেকের জীবনবোধ আলাদা আর তাই সবাই সেই ভাবেই এগিয়ে যায়।নিজ নিজ জীবন নিয়ে খুশি সবাইকেই সাধুবাদ জানাই।সবাই খুব ভালো করে তাদের জীবনকে অনুভব ও উপভোগ করুক।
তো আজকে যেহেতু বৃষ্টি পড়ছিল তাই মনে পড়ে গেল জমিতে ধান রোপণের দিনগুলির কথা।আমরা গ্রামের ছেলেরা পারিপার্শ্বিকতায় মোটামুটি ছোট বড় সব কাজই পারি।আমি ও গাছে ওঠা থেকে শুরু করে জাল দিয়ে মাছ ধরা এমন কি জমিতে ধানের চারা রোপণ ও করতে পারি।আমাদের গ্রামে মোটামুটি বেশ কয়েক বিঘা জমি ছিলো।বর্ষাকালে আমন ধানের চারা রোপন করার সময়।আর শীতকালে মানে অগ্রহায়ণ মাসে এই সোনালী ধান কাটা হয়।সেই কারণে মোটামুটি দশ থেকে বারো জন লোক কে নেওয়া হতো প্রতিদিন জমিতে চারা রোপণ করার জন্য।সকালে তারা নিজেদের খাবার সাথে নিয়ে যেত আমাদের বাড়ি থেকে।আর দুপুরের খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব থাকতো আমার উপর।
আমাদের জমির দূরত্ব মোটামুটি বাড়ি থেকে ২৫ মিনিটের।চারিদিকে মাছের ঘের(ভেড়ি) আর তার মধ্য দিয়ে ছোট ছোট রাস্তা।আমি মাথায় বিশাল খাবারের বোঝা নিয়ে পৌঁছে যেতাম তাদের কাছে।আমাদের জমি একদম নদী লাগোয়া ছিলো।আমি পৌঁছেই খাবারটা রেখে তাদের সাথে কিছুক্ষন ধানের চারা রোপণ করতাম।এরপর সারা গায়ে কাদা মাখিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিতাম।সত্যি কি দারুণ ছিলো সেই সব দিনগুলি।এরপর নদী থেকে ওঠে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে তাদের সাথে বসে ভাত খেতাম খোলা আকাশের নিচে। এ এক অনন্য অনুভূতি।সময় আসবে যাবে।আমি উঠবো নামবো কিন্তু এই অনুভূতি রয়ে যাবে চিরকাল।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
সত্যি দাদা সময় আসবে যাবে কিন্তু ফেলে আসা সেই স্মৃতি মনে থেকে যাবে চিরকাল।আপনার লেখাগুলো পড়ছিলাম আর আপনার সেই অনুভূতি গুলো অনুভব করছিলাম।সেই ভালো লাগা দিন কি আর আসে, আসে না। সময়ের অতল গহবরে হারিয়ে যায় কিন্ত রেশ গুলো থেকে যায়।
আমাদের দেশেও একই অবস্থা দাদা। কৃষক রা পর্যাপ্ত সম্মান পায়না একদমই। সাথে তার ফসল এর মূল্য ও। যাক আপনার ছোট বেলার স্মৃতি পড়ে ভালোই লাগলো। শহরে বেড়ে উঠার কারণে এই জিনিশ গুলোই আমি মিস করে গিয়েছি। সেই দিন গুলো আপনার জন্য দারুন ছিলো দাদা।
শহরের পরিবেশে থাকলে অনেক কিছু থেকে নিজেকে মিস করতে হয়। কিন্তু গ্রামের পরিবেশে নিজেকে জড়ালে সবকিছুতেই একটি শান্তি
অনুভব হয় নিজের ভিতরে।শৈশবের স্মৃতিগুলো আসলে ভোলার নয়। আপনার পোস্টটি পড়ে শৈশবের কথাগুলো মনে পড়ছিল আর মনে হচ্ছিল সেই মজার ও আনন্দের দিনটি কি আর আসে আমাদের জীবনে। অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
দাদা আপনার লেখা গুলো পড়ে আমার ছোট বেলায় স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আমিও একজন গ্রামের ছেলে। আমাদের জমিতে আমি মাঝে মধ্যে বাবাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করতাম। ধান গাছের চারা রোপণ করেছি অনেক বার। কাঁদা মেখে বন্ধুদের সাথে নদীতে গোসল করার মহূর্ত গুলো এখনও মনে আছে। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
সত্যি দাদা কি মধুর ছিলো সেই স্মৃতিগুলো, কি চঞ্চলতা ছিলো আমাদের মাঝে তখন, বাবা-মা জোর করেও বাড়িতে ধরে রাখতে পারতেন না আমাদের, আর বর্তমান প্রজন্মকে জোর করেও বাড়ির বাহিরে নেয়া যায় না। সেদিন পত্রিকাল পড়লাম বৃষ্টির অভাবে আমন ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সত্যি এই সময়ে বৃষ্টির খুব প্রয়োজন, তার সাথে প্রয়োজন কৃষকের যথাযথ সম্মান। ধন্যবাদ
এ কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি ভাই।
হয়তো জীবনে বহু কিছুই পাওয়া যাবে, তবে শৈশবে গ্রামে কাটানো সময় গুলোর অনুভূতি হয়তো আগের মতো করে ফেরত চাইলে আর ফিরে আসবেনা। তা শুধু স্মৃতি হয়েই থাকবে। বেশ ভালো লাগলো ভাই, লেখাটা।