মধ্যবিত্ত মানুষ কে আনন্দ ও অনেক হিসেব করে করতে হয়।।১৯ শে সেপ্টেম্বর ২০২১,রবিবার।।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।আশা করি সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে আমার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নেব। এই ফটোগুলো পুরুলিয়ার পাহাড়ি রাস্তায় তোলা হয়েছে। অপার সৌন্দর্যময় এই জায়গাটি আমাকে দারুন ভাবে আকৃষ্ট করেছিল।অনেকটা সময় এখানে কাটিয়েছিলাম। প্রকৃতি যেন নিজের সমস্ত সৌন্দর্য টুকু এখানে উজাড় করে ঢেলে দিয়েছে।নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘ উড়ে বেড়াচ্ছে।তার নিচে সবুজ আর সবুজ এ যেন বিরাট সবুজের মেলা।এখন বর্ষাকাল আর বর্ষাকাল মানে পাহাড়ে কিছুটা ঝুঁকি থেকেই যায়, তবে পাহাড়ি সৌন্দর্য সবথেকে বেশি ধরা পড়ে এই বর্ষার সময়ে।পাহাড় প্রেমী মানুষেরা বর্ষার সময় পাড়ি দেয় পাহাড়ে।এখানে এসে একটি মজার অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
সেটা কিছুটা মজার কিছু শিক্ষনীয় বটেও বটে। এখানে এসে দেখা হয়েছিল একটি বাঙালি পরিবারের সঙ্গে। সেই পরিবারের যিনি কর্তা সেই ভদ্রলোক ৬০ ঊর্ধ্ব মানুষ।বেশ কিছু বছর হল চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন।তবে অবসর জীবনে তেমন ঘোরাঘুরি তিনি করতে পারেননি।সেটা ওনাকে দেখে বোঝা যায়।চাকরি জীবনে তিনি সময় বের করতে পারেননি ,পরিবারকে সময় দিতে পারেননি ।তাই এখন এই বৃদ্ধ বয়সে যতটা পারা যায় তিনি পরিবারকে সময় দিচ্ছেন।সুন্দর পরিবেশে পরিবারকে সময় কাটাচ্ছেন।
দুই বাঙালি পাশাপাশি থাকলে তাদের মধ্যে কোন কথা হবে না এটা হতেই পারে না।তাই একপ্রকার তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়ে গেল এবং কথায় কথা জানতে পারলাম ভদ্রলোক এখানে একদমই খাবারের পিছনে টাকা খরচ করছে না ।এবং উনার মেয়ে ছেলে এবং উনার স্ত্রী মোট চারজন এখানে এসেছেন।তারা তিনজন সবসময় তাকে এ বিষয় নিয়ে কথা বলছেন যে কি ব্যাপার তুমি একদমই টাকা খরচ করতে চাইছো না খাবারের পিছনে?এখানে ঘুরতে এসেছ তবুও তুমি কিপ্টামো করছো। ভদ্রলোক বললেন দেখো, তোমরা এখানে বেড়াতে এসেছ সুন্দর প্রকৃতি পরিবেশ উপভোগ করো ।এখানকার মানুষ সম্পর্কে জানো ,এখানে তোমরা ঘুরতে এসেছো।শুধু খেতে তুমি আসোনি।
ভালো খাবারের জন্য বাড়ি রয়েছে সেখানে খেতে পারবে। এখানে শুধু শুধু খাবারের পিছনে খরচ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।প্রথমে ভদ্রলোকের এই দর্শন আমার কাছে এক প্রকার হাস্যকর মনে হয়েছিল,পরবর্তীতে আমি চিন্তা করে দেখলাম না ভদ্রলোক নিজের দিক দিয়ে সঠিক বলেছেন। কারণ আমরা এখানে ঘুরতে এসেছি।খাবারের সঙ্গে আনন্দ থাকতেই পারে, সেই আনন্দকে ছোট করে দেখা উচিত ও নয়।বাঙালিরা খেতে পছন্দ করে কিন্তু একটা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে সারাজীবন কষ্ট করেছেন তার কাছে এই দর্শন সঠিক। তাই তিনি চেয়েছেন যে তার সন্তানরা সুন্দরভাবে এই পরিবেশ উপভোগ করুক। তাই তিনি খাবারের পিছনে বাড়তি খরচ করতে চাইছেন না।মধ্যবিত্ত মানুষ তার আর্থিক সঙ্গতি সীমিত।আমার বলার মানে এটা নয় যে ভালো খাওয়া-দাওয়া না করে শুধু ঘুরে বেড়ানো উচিত।
এই ঘটনা আমার কাছে কিছুটা শিক্ষনীয় বটে।এখানে অনেকক্ষণ ঘুরলাম
প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটালাম।এই পাহাড়ী রাস্তায় দেখা পেলাম বেশ কিছু গরুর।এই অঞ্চলের মানুষেরা,এখানে অনেক আদিবাসী মানুষ আছে যারা এই গরু লালন পালন করে।এখানে গরুর দুধের সাথে আমাদের সমতলের গরুর দুধের তফাৎ রয়েছে।আমি অবশ্য পুরোপুরি দুধ খাওয়ার সুযোগ পাইনি।কিন্তু এখানে চায়ে যে দুধ ব্যবহার করা হয় তা অনেক বেশি ঘন ও বিশুদ্ধ।অনেক সাধারণ ভাবে তৈরি করা হলেও এখানকার চা স্বাদে গন্ধে দারুন।প্রাকৃতিক পরিবেশের এই অপার সৌন্দর্য মন কে আনন্দে ভরে দেয়।এখানে সময় কাটালে অনন্ত সময় মনে হয় খুব স্বল্প সময়।
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
ভাইয়া আপনি খুব ভালো ছবি তুলেন। আজকে আপনি খুব শিক্ষনীয় একটি ব্যাপার শেয়ার করেছেন। আপনি খুব সুন্দর একটি ব্যাপার আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। গরুগুলা রাস্তায় খুব সুন্দর শান্ত ভাবে দাড়িয়ে আছে। দেখতেই মায়া লাগে।
দাদা যারা সত্যিকারের ট্রাভেলিং করতে পছন্দ করে তাদেরকে আমি দেখেছি। তারা ঘোরাফেরার সময় সমস্ত রকম বাড়তি খরচ এড়িয়ে চলে। তাদের চিন্তাধারার সাথে এই লোকের চিন্তা ও হুবহু মিলে যায়। জায়গাটি খুবই সুন্দর আপনার ছবিগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে। আপনার পোষ্ট পড়ার এই একটা মজা। অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গার ছবি দেখা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্ট মানে স্পেশাল কিছু হিসেবে আপনি সুন্দর বর্ণনা করেছেন এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সুন্দর লেখনি গল্প বর্ণনা করেছেন
পুরুলিয়ার পাহাড়ের সৌন্দর্য্য সত্যিই মনমুগ্ধকর।আর আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বেশ সাদামাটা জীবন যাপন করতে ভালোবাসে,অবশ্য বাঙালিদের সংস্পর্শে এসে কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে এখন।আর বৃদ্ধ লোকটি ঠিক কথায় বলেছেন।কারণ তিনি ভবিষ্যতের দূরদৃষ্টি সম্পর্কে উপলব্ধি করেছিলেন বা অবগত ছিলেন।ধন্যবাদ দাদা।
চরুলিয়া গ্রাম প্রাকৃতিক এক অপূর্ব লীলাভূমি এর আগে একটি পোস্টে এই গ্রাম নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাইয়া। আর পাহাড় মানেই সবুজ ছড়াছড়ি আর সবুজ মানেই মনের অজান্তে ভালো কাজ করে। পাহাড় আর লেকের ছবিটি অনেক ভালো লাগছে। সব থেকে একটা বিষয় জানতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে সেটি ঘুরতে এসে খাবার দাবার প্রতি আকর্ষণ না দেওয়া। তাইলে ভ্রমণের আনন্দ বৃথা হয়ে যায়। বাসায়তো ভালো খাবার খাই। দারুন দাদা।
ধন্যবাদ এতো সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য তুলে ধরার জন্য।
আমার মতে বয়স্ক বাঙালি যে বিষয়টা বলেছে সেটা অনেকটা যুক্তিযুক্ত ভাবেই বলেছে, কারণ বাড়িতে তো ভালো খাবার খাওয়াই যায় কিন্তু বাড়িতে তো আর পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না। যাইহোক সব মিলিয়ে আপনার ফটোগ্রাফি ও বাঙালি ভদ্রলোকের কথাগুলো অনেক যুক্তিযুক্ত ছিল আমার কাছে। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
বৃদ্ধ ভদ্রলোকের মতে- খাওয়ার সময় খাওয়া বেড়ার সময় বেড়া।শুধু বাড়ীতে খাওয়া যাবে বাহিরের খাওয়া যাবে।একদিক দিয়ে উনি ঠিকই বলছেন।কারণ বাহিরের খাবার পরিবেশ সম্মত নয়। যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফি সহ পোস্টটি খুব সুন্দর হয়েছে এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি ভাই, মধ্যবিত্তের মানুষদের অনেক কিছু আগ পিছ চিন্তা করে চলতে হয়, কারন উপায় নেই, সীমিত আয়ে সব কিছু সম্ভব হয় না।
তবে দৃশ্যগুলো বেশ দারুন ছিলো, উপভোগ করার মতো সুন্দর ও সবুজ একটা জায়গা নিঃসন্দেহে বলা যায়। আর খাঁটির বিষয়টি সব সময়ই সঠিক থাকে, কারন ওরা মাটির মানুষ তাই বিশুদ্ধ বিষয়টির প্রতি সব সময়ই সৎ থাকে। ধন্যবাদ
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা।
এটা আমাকেও অনেকটা আকৃষ্ট করেছে, নিজ চোখে দেখার জন্য বেশ আগ্রহ বোধ করছি।
মধ্যবিত্ত দের নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর কথা বলেছেন পোস্ট টিতে।মধ্য বিত্ত মানেই সব দিক দিয়ে হিসেব করে চলা।কখনো কখনো নিজের ইচ্ছা গুলোকে মাটি চাপা দেওয়ার নাম ই মধ্যবিত্ত।
অনেক সুন্দর লিখেছেন দাদা।অনেক ভালোবাসা ও শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। পাহাড়ি অঞ্চল নীরব নিস্তব্ধতা বিরাজমান থাকে। রাস্তার উপর গরু গুলো শান্তশিষ্ট ভাবে দাড়িয়ে ছিল। খুবই সুন্দর একটা পরিবেশ। আপনার লেখনির গল্প অনেক মধুর।এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।