শীতের রাতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে ।।০৮ নভেম্বর ২০২২
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে একটা ধরাবাঁধা নিয়ম চলে আসে।আর জীবনের ধারাবাহিকতা চালু রাখতে আমাদের সব সময় ভালো না লাগলেও সেই নিয়মকে মান্যতা দিতে হয়।এই রকম ভাবেই জীবনের ভালো মন্দ নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়।মানব জীবন সত্যিই অদ্ভুত।নিজেকে খুঁজে পাওয়ার জন্য বা আমি কে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য সারাজীবন শেষ হয়ে যায়,তবুও উত্তর মেলে না। বেঁচে থাকাটাই সবটুকু স্বার্থকতা কখনোই নয়। বাঁচার মতো বেচেঁ থাকাটাই সত্যিকারের স্বার্থকতা।এখন বাঁচার মতো বাঁচা কাকে বলে?
এটা নিঃসন্দেহে একটা আপেক্ষিক প্রশ্ন।কারণ ভালো থাকার কোনো সাধারণ মানদণ্ড নেই, যার সাহায্যে কারো ভালো কিংবা মন্দ থাকাটা নির্ণয় করা যাবে।ব্যক্তি সময় ও স্থান বিশেষে এর ব্যাপক তারতম্য রয়েছে।ধরুন আপনি একটা সরকারি চাকরি প্রত্যাশী।চাকরিটা পেলে আপনি একটু সব গুছিয়ে নিয়ে একটা বিয়ে করবেন।তারপর বছরের পর বছর একটা নিয়মের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করতে লাগলেন।আপনি এই ভাবেই বাঁচতে ভালোবাসেন,আপনি আপনার জীবন নিয়ে যথেষ্ট খুশি ও আশাবাদী।কিন্তু এই অনুরূপ জীবনই অন্য কারো জন্য অসহ্য হয়ে আসে।সে চায় একটা মুক্ত জীবন।নিজের মতো করেই সে সব কিছু করতে চায়।
তাহলে দেখুন ভালো থাকাটা দুজন মানুষের কাছে দু'রকমের।তাই আপনি যে ভাবে থাকলে ভালো থাকবেন সেই ভাবেই থাকুন।লোকে কি বলবে তাতে কি যায় আসে।লোকের কাজই কিছু না কিছু নেতিবাক বা ইতিবাচক কথা বলা।তাই সেই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার কোনো দরকার নেই।শুরু যেটা ভালো সেটাই করুন।কিন্তু হ্যাঁ সমাজ,আইন ও মানবিকতায় কিছু বিধিনিষেধ আছে, সেগুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
আজকে গিয়েছিলাম স্বাগতা দের বাড়িতে।যাওয়ার একটা কারণ ছিলো ওকে হালিম খাওয়াবো বলে।সত্যি কথা বলতে এই খাবারটা ইন্ডিয়ায় খুব একটা জনপ্রিয় নয়,হয়তো এটা সেই ভাবে সব জায়গায় পাওয়া যায় না।আর পাওয়া গেলেও খাবার সেই মানের হয় না।আর তাই ওকে বৌদির হাতের রান্না করা চিকেন হালিম দিতে গেছিলাম।কিছুক্ষন ওদের বাড়ি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।বাড়িতে এসে সোজা পৌঁছে গেলাম ছাদে।ছাদে কিছুক্ষন থাকার পর হঠাৎ একটা গ্রামের দিকে যেতে ইচ্ছে করলো।আজকাল গ্রামের দিকে তেমন একটা যাওয়া হয় না।তাই স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম তখন সাত টার একটু বেশি বাজে ঘড়িতে।গ্রামের দিকে গিয়ে দেখলাম বেশ শীত।বুঝলাম সত্যি শীত এসে গেছে।এদিকে আকাশে দারুণ পূর্ণিমার চাঁদ।একটা ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে আগেই কিনে রাখা কিছু বাদাম খেতে লাগলাম আর আকাশে তাকিয়ে অপরূপ দৃশ্য দেখতে লাগলাম।সত্যি প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকতে ভালো লাগে।
তখন আমার মোবাইলের মাধ্যমে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম।এখন সেই গুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চলেছি।জানি অতটা ভালো হয়নি তবে চেষ্টা করেছি ভালো করে ধারণ করার l
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
আসলে একেক জনেন ভালো থাকা একেক রকম।কেউ সরকারি চাকরি করে নিজ নিজ ফ্যামিলি নিয়ে সুখী, কার ও আবার এই জীবনটা তিক্ততা। কেউ সারাদিন কাজ করে ঘরে এসে সন্তানের মুখ দেখলেই সুখী,কারো আবার মনে হয় ফ্যামিলি না থাকলেই ভালো।যাই হোক আমাদের বাংলাদেশে কিছু কিছু জায়গায় হালিম জনপ্রিয়,খাসি কিংবা চিকেনের হালিম দারুন ভালো লাগে।আসলেই গ্রামে শীত পড়ে গিয়েছে, ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমাদের কারোর কথায় কান দেওয়ার দরকার নেই কারণ ।আপনি ভালো অথবা খারাপ হন সমাজের মানুষেরা ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক মন্তব্য করে যাবে। যাই হোক আপনি আপনার প্রিয় মানুষকে বৌদির হাতের হালিম খাওয়াতে গিয়েছেন দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। হ্যাঁ দাদা গ্রামে তো এখন প্রায় শীত পড়েই গেছে।
শীতের রাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সতেজেতায় প্রাণ
দাদা তোমার ফটোগ্রাফি দেখে মন করে আনচান
সহজ সরল ভাষায় তুমি লিখো অনেক গুছিয়ে
অল্প লিখায় সবকিছু দাও সুন্দর করে বুঝিয়ে
দারুন ছিল ফটোগ্রাফি সাথে অনেক লেখা
তোমার মাঝে দেখতে পেলাম সুন্দর ঋতুর দেখা।
দাদা সত্যি অসাধারণ ছিল আপনার শীতের উষ্ণ প্রাকৃতির দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো। সেই সাথে আপনার মধ্যে দেখা মিলল সুন্দর ঋতুর দেখা। আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে শীতের রাতে খেলাধুলা ঘোরাফেরা আড্ডা মাস্তি। তবে সব সময় হয়ে ওঠে না, কর্মজীবনের কারণে। আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।
অনেক ভাল লাগলো দাদা পড়ে। 🥰 পাছে লোকে, কিছু বলে,তাদের বলতে দিন। আপনি দিদির জন্য হালিম নিয়ে গেছেন ভাল কিছু সময় কাটিয়েছেন, পড়ে ভাল লাগলো। 🥰💕 আমার মনে হয়, ভাল লাগাগুলোকে পূরন করা উচিত, কারন জীবন তো একটাই। জীবনটাকে একই গন্ডীতে বেঁধে ফেলে যারা, তারাই ভাল থাকার আনন্দকে হারিয়ে ফেলে।দাদা, মনের কথা শুনবেন সব সময়।অনেক ধন্যবাদ দাদা। আপনার আর দিদির জন্য অনেক শুভকামনা রইলো। 💞💞💞
ভালো থাকার যেমন কোনো মানদণ্ড নেই তেমনি ভালো থাকার নির্দিষ্ট মানদণ্ড থাকতেও পারে না। নিজের মধ্যে ভালো থাকাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি।
ঠিক বলেছেন দাদা একেকজনের ভালো থাকার সংজ্ঞা একেক রকম । কারো কাছে একটা জিনিস ভালো লাগলে অন্য কারো কাছে আবার সেই জিনিসটি খুব খারাপ লাগে। এজন্য আসলে আমাদের সকলের উচিত যা আমাদের ভালো লাগে সেভাবে থাকা। কে কি বলল তা নিয়ে চিন্তা না করা । স্বাগতা দিদিকে হালিম খাওয়াতে গিয়ে দিদিদের বাসায় খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। তাছাড়া গ্রামের দিকে কি দিদিকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন? তাইতো মনে হচ্ছে।
না,আমি একাই গিয়েছিলাম।
আসলে দাদা আমরা আমাদের প্রত্যেকটা কাজ সকলের কাছে ভাল হবেনা। কারো কাছে ভালো লাগবে কারো কাছে আবার মন্দ লাগবে। ভালো-মন্দ নিয়েই আমাদের এই সমাজব্যবস্থা। তো আপনার কাছে যেটা ভালো সেটাই করা উচিত। আমাদের কাছে যেটা ভালো সেটাই করা উচিত। আপনি খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন। দিদির জন্য হালিম নিয়ে গিয়ে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। ভালো লাগলো আজকে পোস্ট পড়ে।