টাইটানিক।।০২ অক্টোবর ২০২৪

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি টাইটানিক এর ডুবে যাওয়া নিয়ে কিছু আলোচনা করতে চলেছি।

টাইটানিকের ডুবে যাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকটি conspiracy theory প্রচলিত আছে যা অনেকেই বিশ্বাস করে থাকেন,যদিও এগুলো বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক তথ্যের সাথে মেলে না।

প্রথমত, একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব হলো যে টাইটানিক আসলে টাইটানিক ছিল না বরং এটি ছিল তার সহোদর জাহাজ "আরএমএস অলিম্পিক"।এই তত্ত্ব অনুসারে, অলিম্পিক জাহাজটি আগে একটি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং এর মেরামত খরচ অনেক বেশি ছিল।তাই অনেকে বিশ্বাস করেন যে টাইটানিকের মালিক কোম্পানি হোয়াইট স্টার লাইন অলিম্পিককে টাইটানিকের নামে চালিয়ে দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল যাতে ইন্স্যুরেন্স দাবি করা যায়।তবে এই তত্ত্বের পক্ষে কোনো শক্তিশালী প্রমাণ নেই।অলিম্পিক ও টাইটানিকের মধ্যে অনেক মিল থাকলেও উভয়ের নির্মাণ ও স্থাপত্যে বেশ কয়েকটি পার্থক্য ছিল যা এই তত্ত্বকে অসার প্রমাণ করে।

দ্বিতীয় একটি conspiracy theory হলো টাইটানিককে ইচ্ছাকৃতভাবে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল জেপি মরগানের মতো ধনী ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে।এই তত্ত্বের প্রস্তাব অনুযায়ী টাইটানিকে এমন কয়েকজন ধনী ব্যক্তি ভ্রমণ করছিলেন যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করতেন।তাদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে জাহাজটি পরিকল্পিতভাবে আইসবার্গের সাথে সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।তবে, ঐতিহাসিকভাবে দেখা যায়, জেপি মরগান নিজেও শেষ মুহূর্তে টাইটানিকের যাত্রা বাতিল করেছিলেন এবং ফেডারেল রিজার্ভ প্রতিষ্ঠা তখনও চলমান ছিল যা এই তত্ত্বের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

তৃতীয়ত, আরেকটি তত্ত্ব হলো যে টাইটানিকের ডুবে যাওয়া আসলে কোন প্রাকৃতিক বা দুর্ঘটনাজনিত কারণ ছিল না বরং এটি ছিল জার্মানদের একটি ষড়যন্ত্র।তত্ত্বটির মতে, জার্মানরা একটি নৌযুদ্ধের অংশ হিসেবে টাইটানিককে ডুবিয়ে দিয়েছিল যাতে তারা বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে পারে এবং তাদের সামরিক শক্তি দেখাতে পারে। যদিও এর কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং জার্মানির সাথে এ ঘটনার সময় কোনও প্রত্যক্ষ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা যায়নি।

একটি চতুর্থ তত্ত্বের কথা বলা যায় যা কিছুটা অলৌকিক।এই তত্ত্ব অনুসারে টাইটানিকের ডুবে যাওয়া ছিল অভিশপ্ত।অনেকেই বিশ্বাস করেন জাহাজে থাকা একটি প্রাচীন মিশরীয় মমির অভিশাপের কারণে টাইটানিক ডুবে যায়।যদিও বাস্তবে টাইটানিকের যাত্রী তালিকায় এমন কোনো মমির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি তবুও এই তত্ত্বকে ঘিরে অনেক রহস্যের গল্প রচিত হয়েছে যা সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে।মিশরীয় অভিশাপের ধারণাটি মূলত জনপ্রিয় কল্পকাহিনীর ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

এছাড়াও, আরেকটি তত্ত্ব হলো যে টাইটানিকের ক্রুরা একটি আগুনের ঘটনা গোপন করেছিল।কিছু গবেষক প্রস্তাব করেন যে জাহাজের ইঞ্জিন রুমে একটি দীর্ঘমেয়াদী আগুন লেগেছিল যা কাঠামোগত ক্ষতি সৃষ্টি করে।এই আগুন জাহাজের শক্তির ক্ষমতা দুর্বল করে ফেলে এবং তাই সংঘর্ষের পরপরই এটি দ্রুত ডুবে যায়।যদিও কিছু প্রমাণ আগুনের ঘটনাকে সমর্থন করে, তবুও একে টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

এইসব তত্ত্ব টাইটানিকের রহস্যময়তা বাড়িয়ে তোলে তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এবং ঐতিহাসিকভাবে টাইটানিকের ডুবে যাওয়া মূলত একটি দুর্ঘটনাই ছিল।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

---

ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

|| Community Page | Discord Group ||

---

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

PUSS COIN:BUY/SELL