NFT নিয়ে কিছু কথা।।১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি NFT সর্ম্পকে কিছু লিখতে চলেছি।আশা করি ভালো লাগবে।

NFT (Non-Fungible Token) কী?

NFT (Non-Fungible Token) হলো একটি বিশেষ ধরনের ডিজিটাল অ্যাসেট যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষিত থাকে এবং একটির সাথে অন্যটি বিনিময়যোগ্য নয়।সহজ ভাষায়, এটি একটি ইউনিক এবং অনন্য আইটেম যা প্রতিটি NFT-এর ভিন্ন ভিন্ন মূল্যমান এবং পরিচয় থাকে।এটি ব্লকচেইন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যেমন Ethereum বা Solana বা tron ব্লকচেইন।

Fungible vs Non-Fungible Token:

• Fungible Token: সাধারণ ক্রিপ্টোকারেন্সি যেমন বিটকয়েন বা ইথেরিয়াম হল ফাঞ্জিবল টোকেন।এর অর্থ হলো একটি বিটকয়েন বা একটি ইথেরিয়াম অন্য বিটকয়েন বা ইথেরিয়ামের সমান।এগুলো একে অপরের সাথে বিনিময়যোগ্য।

• Non-Fungible Token (NFT):এটি এমন একটি সম্পদ যা অন্য কোনো একই ধরণের সম্পদের সাথে বিনিময়যোগ্য নয়।যেমন একটি বিশেষ আর্টওয়ার্ক বা সঙ্গীত।প্রতিটি NFT অনন্য এবং প্রতিটির নিজস্ব মান এবং মালিকানা থাকে যা ব্লকচেইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

NFT-এর উপাদানসমূহ:

1. ব্লকচেইন:NFT-গুলি সাধারণত ব্লকচেইন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে কাজ করে। Ethereum ব্লকচেইনের ERC-721 এবং ERC-1155 প্রোটোকলগুলো NFT তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

2. ডিজিটাল সম্পদ:NFT যে কোনো ডিজিটাল সম্পদ হতে পারে যেমন ডিজিটাল আর্ট, ভিডিও, মিউজিক, গেমের আইটেম, ভার্চুয়াল জমি বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট।

3. অনন্যতা:প্রতিটি NFT ইউনিক আইডেন্টিফায়ার এবং মেটাডেটা নিয়ে তৈরি হয় যা এটিকে ভিন্ন ও অনন্য করে তোলে।

4. মালিকানা এবং প্রত্যয়ন:NFT-এর মালিকানা সম্পূর্ণভাবে ব্লকচেইনে সংরক্ষিত থাকে।একবার একটি NFT কেনা হলে তার মালিকানা ব্লকচেইনের মাধ্যমে যাচাই করা যায়।

5. অপরিবর্তনযোগ্যতা:একবার ব্লকচেইনে কোনো NFT মুদ্রিত হলে সেটি পরিবর্তন করা যায় না।এটি ডেটার সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

NFT Minting:

NFT Minting হলো প্রক্রিয়া যেখানে ডিজিটাল আর্ট বা অন্য কোনো ফাইলকে NFT-তে রূপান্তর করা হয় এবং এটি ব্লকচেইনের সাথে যুক্ত করা হয়। Minting করার জন্য নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়:

1. ব্লকচেইন নির্বাচন করুন: Ethereum, Solana বা Polygon বা tron-এর মতো ব্লকচেইন নির্বাচন করতে পারেন।
2. ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরি করুন:যেমন MetaMask, Trust Wallet বা Phantom Wallet তৈরি করে তাতে আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি সংরক্ষণ করতে হবে।
3. NFT Marketplace-এ অ্যাকাউন্ট খুলুন: OpenSea, Rarible, Mintable-এর মতো কোনো NFT মার্কেটপ্লেসে সাইন আপ করতে হবে।
4. ডিজিটাল ফাইল আপলোড করুন: আপনার ডিজিটাল ফাইল (ছবি, ভিডিও, বা অন্য কোনো আইটেম) মার্কেটপ্লেসে আপলোড করুন।
5. Mint করুন:আপলোড করা আইটেমটি NFT-তে পরিণত করতে মাইনিং ফি প্রদান করে মিন্ট করুন।

NFT কেনার প্রক্রিয়া:

1. ওয়ালেট তৈরি করুন:যেমন MetaMask বা অন্য ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরি করুন।
2. ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনুন:NFT কিনতে Ethereum (ETH), Solana (SOL) বা মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনুন।
3. NFT Marketplace-এ প্রবেশ করুন: OpenSea, Rarible, SuperRare বা অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে লগইন করুন।
4. NFT ব্রাউজ করুন:পছন্দের NFT আইটেম খুঁজুন।
5. কেনাকাটা করুন:আপনার ওয়ালেটের সাথে কানেক্ট করে সিলেক্টেড NFT-টি কিনুন। সেক্ষেত্রে ব্লকচেইনে ট্রানজাকশনের জন্য ফি প্রয়োজন হতে পারে যা গ্যাস ফি নামে পরিচিত।

NFT কোথায় ব্যবহৃত হয়?

NFT-এর ব্যবহারের ক্ষেত্র দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নলিখিত কয়েকটি প্রধান ক্ষেত্র যেখানে NFT ব্যবহার করা হয়:

1. ডিজিটাল আর্ট:NFT-এর সবচেয়ে পরিচিত ব্যবহার হলো ডিজিটাল আর্ট।আর্টিস্টরা তাদের কাজের জন্য ইউনিক NFT তৈরি করে এবং বিক্রি করতে পারেন যা ব্লকচেইনে মালিকানার প্রমাণ হিসেবে থাকে।

2. গেমিং:গেমের ভেতরকার আইটেম যেমন অস্ত্র, চরিত্র, স্কিন অথবা অন্যান্য সম্পদ NFT হিসেবে তৈরি করা হয়।প্লেয়াররা এগুলো কিনতে এবং বিক্রি করতে পারে।

3. ভার্চুয়াল জমি:কিছু প্ল্যাটফর্ম যেমন Decentraland এবং Sandbox ভার্চুয়াল জমি NFT হিসেবে বিক্রি করে।ব্যবহারকারীরা এই জমি কিনতে তৈরি করতে এবং ভাড়া দিতে পারে।

4. মিউজিক ও মিডিয়া:সঙ্গীতশিল্পী এবং মিডিয়া প্রযোজকরা তাদের সৃষ্টিকর্ম NFT হিসেবে বিক্রি করতে পারেন।এটি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের তাদের কাজ সরাসরি ভক্তদের কাছে বিক্রি করতে সাহায্য করে।

5. ক্রীড়া ও সংগ্রহযোগ্য আইটেম:ক্রীড়া ভক্তরা তাদের প্রিয় খেলোয়াড়দের মুহূর্ত বা খেলায় ব্যবহৃত বিভিন্ন আইটেম NFT আকারে সংগ্রহ করতে পারেন।

NFT-এর সুবিধা:

1. মালিকানার নিশ্চিতকরণ: NFT-এর মাধ্যমে যে কোনো ডিজিটাল আইটেমের মালিকানা ব্লকচেইনে স্থায়ীভাবে নিশ্চিত করা যায়।

2. ডিজিটাল সম্পদের বাজার:NFT একটি মুক্ত বাজার সৃষ্টি করেছে যেখানে আর্টিস্ট, গেমার এবং অন্যান্য কনটেন্ট ক্রিয়েটর সরাসরি তাদের কাজ বিক্রি করতে পারে এবং নিজের কাজের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।

3. বিরলতা এবং অনন্যতা:NFT বিরলতা নিশ্চিত করে।প্রতিটি NFT ইউনিক এবং সীমিত সংখ্যক হতে পারে যা এর দাম বাড়াতে সাহায্য করে।

4. পারসোনালাইজেশন:NFT মালিকেরা তাদের সংগ্রহে থাকা আইটেমগুলো অনলাইনে প্রদর্শন করতে পারে যা তাদের ডিজিটাল পারসোনা তৈরি করতে সাহায্য করে।

NFT-এর সীমাবদ্ধতা:

1. গ্যাস ফি:NFT মাইনিং বা ট্রেডিংয়ের জন্য ব্লকচেইনের লেনদেন ফি দিতে হয় যাকে গ্যাস ফি বলা হয়।কখনও কখনও এই ফি অনেক বেশি হতে পারে।

2. বাজারের অস্থিতিশীলতা:NFT-এর বাজার খুবই অস্থিতিশীল হতে পারে।দাম খুব দ্রুত বাড়তে এবং কমতে পারে।

3. পরিবেশগত প্রভাব:ব্লকচেইন প্রযুক্তি বিশেষ করে Ethereum, অনেক বেশি শক্তি খরচ করে যা পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এখন নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে যা এই সমস্যার সমাধান করছে।

NFT প্রযুক্তি নতুন ধরনের ডিজিটাল সম্পদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ তৈরি করেছে। এটি আর্টিস্ট, গেমার, এবং অন্যান্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি নতুন রাজস্ব উৎস তৈরি করেছে। যদিও এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, তবে এর সম্ভাবনাগুলি ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

---

ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

|| Community Page | Discord Group ||

---

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord