আমার পুরোনো কবিতার খাতা থেকে : দুটি অনু কবিতা।।৩ সেপ্টেম্বর ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।
শহরের সবগুলো বিক্ষিপ্ত রোদগুলোকে নিয়ে
আমি পাড়ি জমিয়েছি হেমন্তের সোনালী মাঠে
যেখানে হঠাৎ হিম রোদে চড়ুইরা রোদ পোহাবে,
চঞ্চল আর চঞ্চলারা তেঁতুল খোসায় ভাত জুড়াবে।
সংকীর্ণ হয়ে আসা নদীর বুকে উষ্ণ আবেগে
আমি নিজেকে সমর্পন করবো অনেকটা দূরত্বে,
তুমি তখন দাঁড়াবে মধ্যাহ্ন ভোজের জড়তা কাটিয়ে
আমি তখন নিষ্পলক তোমার রূপের মোহনায় দাঁড়িয়ে।
কুয়াশার বুক চিরে ক্ষীণ আলোর রেখা ধরে
চলে গেছে যে ডাক উত্তরে হাওয়ায় চেপে
আমি এখন নামছি ব্যথার সিঁড়ি ধাপে ধাপে।
যতগুলো হাওয়া উড়ে যায় বিষণ্ণতায়
একটা হাত এখনো বিশুদ্ধ স্পর্শ জমায়
ক্ষীণ আশায় রৌদ্র ছায়ায় এক আলোর উৎসবে,
আমি ভাষা খুঁজে নিয়ে আসি নিঃশব্দ নীরবে।
তোমার কালো চুল তোমার প্রতিনিয়ত ভুল
আমার যন্ত্রণা আমার ভালো লাগার কাগজী ফুল।
সব ব্যস্ততা শেষ একখানি চিঠি নিয়ে
যখন তোমার আঙিনায় আমি দাঁড়ালাম
একটা মিষ্টি হাওয়া মুহূর্তে বাকরুদ্ধতা,
আমি আবার ফিরছি বিষাদ সিন্ধু অতল গভীরতা।
আমাদের কাহিনী চাপা পড়ে থাক সমকালীন অস্থিরতায়
সৃষ্টির কারিগর যখন ধ্বংস লীলায় মত্ত সভ্যতার বারান্দায়
আসিফা তখন জড় ভক্তিতে বিহবল রাত্রি আরো গভীর হয়,
আমাদের জঙ্গল হিংসায় ভরপুর কবির মৃত্যু অপারগতার কবিতায়।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
অনুকবিতাগুলি পড়তে বেশ ভালো লাগে দাদা।কিন্তু তোমার এই লেখাটি বেশ জটিল,তবুও কবিতায় যন্ত্রনা,প্রকৃতির কথা আবার নিজেকে সমর্পন করার আবেগ স্পষ্ট হয়েছে।সবমিলিয়ে অনবদ্য লেখা দাদা,তেঁতুল খোসায় ভাত রান্না করে ছোটবেলায় আমিও খেতাম,খুবই ভালো লাগতো।ধন্যবাদ দাদা।
আপনার প্রত্যেকটা কবিতার ভাষা অন্যদের একটু কঠিন হয়ে থাকে। বুঝতে বেশ সময় লাগে। তবে অসাধারণ দাদা। একেবারে মনের গভীরতা থেকে না আসলে এইরকম কবিতা লেখা সম্ভব না। দারুণ লিখেছেন কবিতা টা দাদা। আপনার কবিতার খাতাটা যেন কখনো বন্ধ না হয়।।
দাদা কবিতাটি আমার কাছে একটু জটিল মনে হয়েছে। এর কবিতায় যে রকম ব্যথা রয়েছে তেমনি গভিরতা রয়েছে। তবে দাদা তেতুল খোসার ভাত আমি কখনো খাইনি।
দাদা কবিতাটা আমার কাছে অনেক কঠিন মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে কবি নজরুল বা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়তেছি। বারবার পড়তেছি। ভাবার্থ অনেক কঠিন। যতটুকু বুঝলাম তা হলো প্রথমে খুব ভাল একটি প্রেম ছিল কিন্তুু সময়ের অস্থিরতায় সেটা চাপা পড়ে গেছে। ধন্যবাদ দাদা।
পৃথিবীতে প্রেমিক যুগলের ৯৫% আর সার্থকতা ৫%। অর্থাৎ ব্যর্থতার সংখ্যায় বেশি। যাই হোক আপনার কবিতায় সার্থকতায় ব্যর্থ হয়ে এক প্রেমিকের আকুতি প্রকাশ পেয়েছে। অসাধারণ কবিতাটি লিখেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
প্রিয় দাদা, অনু কবিতা দুটিতে খুবই কঠিন ভাব ফুটিয়ে তুলেছেন। দুইটি কবিতাতে মনে লুকিয়ে থাকা কষ্ট বা যন্ত্রণা গুলোর বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। প্রিয় দাদা আমি এ ধরনের কবিতা গুলো পড়তে খুবই পছন্দ করি। অসাধারণ কবিতা পোস্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক গভীর অর্থবহ দুটি অনু কবিতা আজ তুমি শেয়ার করেছ আমাদের সাথে দাদা ।পড়ে অনেক ভালো লাগলো কিন্তু এর ভাব অর্থ হয়তো আমি কমেন্টের মাধ্যমে বোঝাতে পারছি না কিন্তু সত্যি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে দ্বিতীয় কবিতাটি খুবই ভালো লেগেছে আমার।
বেশ শক্ত পরিপক্ক কথার চরণ ভাই কবিতার লাইন গুলো তবে , কবির অপরাগতা নয় বরং মাঝে মাঝে কবির ভালোবাসার জয় দেখতে পারছি স্বচক্ষে ।