আজকে কাটানো একটি সুন্দর বিকেলবেলা : মনোরম পরিবেশ ও নির্মল হাওয়া ।
বন্ধুরা,সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন।বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে আমার একটি সুন্দর বিকেলবেলা শেয়ার করব।আজকে একটি অত্যন্ত মানসম্মত বিকেলবেলা কাটালাম।গত দু'দিন ধরে নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টি হয়েছে।আমাদের বাড়িটি যে পাড়ায় সে অঞ্চলটি যথেষ্ট উঁচু তাই আশেপাশের অংশগুলোতে সব জল জমে ছিলো।চারিদিকে শুধু জল মনে হচ্ছে যেন শহরের বুকে নদী নেমে এসেছে।কেউ বৃষ্টিকে উপভোগ করেছে কেউ লিখেছে কবিতা।কেউ গান গেয়েছে আবার কেউ দুর্বিসহ যন্ত্রনা নিয়ে দিন কাটিয়েছে কারণ ঘরে জল ঢুকে খাটের উপর সব মালপত্র তুলে বসে ছিল, কখন জল নামে ।অর্থাৎ কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ এটাই প্রকৃতির নিয়ম এটাই সমাজের উঁচু নিচু ভেদাভেদ ।এটাই সমাজের ভারসাম্য।
আকাশের দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে শরৎ এসে গেছে। আগামী শুক্রবার গেলেই শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শরৎকালের সূচনা হবে। তবে এখন থেকেই শরতের আমেজ হাওয়ায় হাওয়াই ভেসে বেড়াচ্ছে ।চারিদিকে কাশ ফুলের সমারোহ আর আনন্দ হাওয়ায় খবর আসছে উৎসব আসছে। হ্যাঁ বন্ধুরা আর কিছুদিন পরেই বাঙ্গালীদের সার্বজনীন উৎসব দুর্গোৎসব পালিত হবে ।এই দুর্গা দেবী হিন্দুদের আরাধ্য দেবী হলেও এই উৎসব হিন্দুদের একার নয় ,এই উৎসব ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে পালিত হয়। তাই দুর্গাপূজোকে সার্বজনীন দুর্গোৎসব বলা হয়।কোন ভেদাভেদ নেই এই উৎসবে অংশগ্রহণের ,নেই কোন বিধিনিষেধ ।যদিও বর্তমান সময়ে করণা মহামারীর জন্য সব রকম উৎসবে এক ধরনের বাধ্যবাধকতা এসে গেছে। উৎসবগুলো শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার কারণ হয়ে গেছে ।
যুগ যুগ ধরে চলে আসায় উৎসব আমাদের সমাজে এক ধরনের ঐতিহ্য ও সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতেই এই বিষয়গুলো আমরা সর্বদা সযত্নে বজায় রাখার চেষ্টা করি। তাই এ বছরে ও সকল রকম স্বাস্থ্যবিধি ও কোভিড বিধি মেনে দুর্গোৎসব পালিত হবে। সবার মুখে হাসি ফুটুক আবার ,উৎসব হয়ে উঠুক বাঙালির জীবন এ প্রত্যাশাই করি এই স্বপ্ন দেখি।এই বিশ্বাসেই শক্ত করি আমাদের ভীত।আজকে গেছিলাম ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি এরিয়াতে। ইউনিভার্সিটি টা একদম গ্রামীণ পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে ।সাধারণত ইউনিভার্সিটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে হয়ে থাকে সেখানে যোগাযোগব্যবস্থা জন্য এই ইউনিভার্সিটিগুলোর স্থাপন করা হয়।কিন্তু এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম। এই গ্রামীণ পরিবেশে উন্মুক্ত পরিবেশে বিশাল ক্যাম্পাস নিয়ে গড়ে উঠেছে এই ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটির আন্ডারে অনেক গুলো কলেজ রয়েছে এবং অধিকাংশ কলেজ অত্যন্ত উন্নতমানের। ইউনিভার্সিটি এলাকা নীলগঞ্জ নামে পরিচিত। এই জায়গাটির নাম নীলগঞ্জ হওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে। যদিও আমি সঠিক জানিনা তবে আমার ধারণা ইংরেজদের নীল চাষ সংক্রান্ত কোনো কারণে এই জায়গাটার নাম নীলগঞ্জ ।তো এখানে আজকে একটি পড়ন্ত বিকেল বেলায় ঘুরে এলাম ।তখন সুন্দর হাওয়া বই ছিল ।
আকাশে শরতের মেঘের মেলা ।পাশে কাশফুলগুলো হাওয়ায় দুল ছিল। সত্যিই অতন্ত সুন্দর একটি পরিবেশে অত্যন্ত সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছি। এই সব পরিবেশে এলে স্বাভাবিক ভাবেই মন হালকা হয় পবিত্র হয়। আমাদের এই শহুরে জীবনে শত ব্যস্ততা আর ঝামেলায় আমাদের মন সর্বদা ভারাক্রান্ত থাকে।এই রকম গ্রামীণ পরিবেশে এলে আমাদের মনটা অনেক হালকা হয়। এবং আমরা আরো কাজ করার শক্তি অর্জন করি ।তাই আমার মনে হয় আমাদের মাঝে মাঝে নিজেদের মনকে ফ্রেশ করার জন্য এরকম একটি সুন্দর পরিবেশে আমাদের কিছু সময় কাটানো উচিত ।
আমি লক্ষ্য করলাম আমি ছাড়াও এখানে আরো অনেক লোক বেড়াতে আসে। ওরা বাইকে করে এখানে আসছে এবং কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। এখানে একটা বিষয় খেয়াল করলাম যে এইখানে কেউ তেমন দলবেঁধে আসে না ।সবাই একা আসছে ,একাকী বসে নিভৃতে একটি দারুণ সময় কাটিয়ে যাচ্ছে। আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই নিজের সঙ্গে কিছু সময় কাটানো খুব জরুরী। আর এই মানুষগুলো সেইরকমই নিজেদেরকে একটু সময় দিয়েছে। সুন্দর পরিবেশে নিজেদেরকে একটু সময় উপহার দিয়েছে। যাইহোক সুন্দর একটি দিন কাটালাম।
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
কাশফুল আমার খুবই ভালো লাগে আমরা বান্ধবীরা মিলে মাঝে মাঝে কাশফুলের বাগানে লুকোচুরি খেলতাম।
আপনার আনন্দময় স্মৃতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
বৃষ্টির নিম্ন চাপের পর অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। আপনার শহরের চারিদিকের পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল। শরৎকাল আমাদের জন্য খুবই আনন্দের মাস।আবার আপনাদের সামনে দূর্গা পূজা খুবই উৎসব মুখর পরিবেশে তৈরি হবে।
আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য আপনাকে জানাই ধন্যবাদ ।আসলে শরৎ মানেই একটা অন্যরকম অনুভূতি ,শরৎ মানই আনন্দ ,শরৎ মানেই উদ্দীপনা।
❤️❤️❤️❤️
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফির পাশাপাশি আপনার লেখনীতে রয়েছে এক অদ্ভুত রকমের জাদু। শরৎকালে চারদিকে কাশ ফুলের সমারোহ এ যেন এক প্রকৃতির অপরূপ দান। শরতের কাশফুলের মাঝে প্রকৃতি যেন নিজেকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলে। আপনি একজন প্রকৃতি প্রেমী মানুষ তাই এত সুন্দর করে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনি খুব সুন্দর একটি বিকেল কাটিয়েছেন। আপনাকে ধন্যবাদ দাদা আপনার কাটানো বিকেলের সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
প্রথমে আপনাকে জানাই অফুরন্ত শুভেচ্ছা। আসলে প্রকৃতি অপার শান্তি দান করে তাই প্রকৃতির কাছে থাকতেই আমি অনেক বেশি আগ্রহী।ভালো থাকবেন সর্বদা।ধন্যবাদ।
আপনি খুব সুন্দর একটি বিকেল অতিবাহিত করেছেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে আবেদন করি এ রকম সুন্দর বিকেল আপনার প্রতিদিন পার হক।ভাই কাশফুল গুলো অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।
ধন্যবাদ
আপনাকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন দাদা।বিকেল বেলা বাহিরে এরকম সুন্দর পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে খুব ভালো লাগে আমার।বিকেলের প্রকৃতি খুব সুন্দর ছিল।অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার মূল্যবান মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলেই বিকেল বেলায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দই আলাদা।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
"গত দু'দিন ধরে নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টি হয়েছে।আমাদের বাড়িটি যে পাড়ায় সে অঞ্চলটি যথেষ্ট উঁচু তাই আশেপাশের অংশগুলোতে সব জল জমে ছিলো।চারিদিকে শুধু জল মনে হচ্ছে যেন শহরের বুকে নদী নেমে এসেছে।কেউ বৃষ্টিকে উপভোগ করেছে কেউ লিখেছে কবিতা।কেউ গান গেয়েছে আবার কেউ দুর্বিসহ যন্ত্রনা নিয়ে দিন কাটিয়েছে কারণ ঘরে জল ঢুকে খাটের উপর সব মালপত্র তুলে বসে ছিল, কখন জল নামে ।অর্থাৎ কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ এটাই প্রকৃতির নিয়ম এটাই সমাজের উঁচু নিচু ভেদাভেদ ।এটাই সমাজের ভারসাম্য।" জীবন যেখান যেমন ভাই । ভালো লিখেছেন । শুভেচ্ছা রইল।
আপনার সর্বদা সুন্দর মন্তব্য আমাদের অনুপ্রেরণা আমাদের ভালো লেখার উদ্দীপক ।ভালো থাকবেন ।সুস্থ থাকবেন
অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আর কাশফুলের ছবি গুলো ভিশন পছন্দ হয়েছে। আপনার সুন্দর মহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সর্বদা ভাল থাকবেন।
💖💓💐
ভাইয়া এটা মনে হয় দিয়াবাড়িতে তাই না
না, এটা নীলগঞ্জ উত্তর 24 পরগনায় অবস্থিত একটি পঞ্চায়েত।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১.শরৎ সকল অশুভকে ফেলে শুভকে নিয়ে আসুক আমাদের মাঝে। প্রাণোবন্ত করে তুলুক এ ধরাধামকে । আবার সুস্থ হয়ে উঠুক রুগ্ন এ পৃথিবী ।
২. খুবই ভালো লাগছে এটা জেনে যে, প্রকৃতির উদারতায় আপনি আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো কাটাতে পেরেছেন। আমি খুব বুঝতে পারছি,আপনিও প্রকৃতি পাগল মানুষ দাদা । সত্যি বলতে, মানুষের ব্যস্ততা থাকবেই কিন্তু আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি, এই ব্যস্ততার মাঝেও নিজের স্ট্যামিনাকে পাওয়ার আপ করার জন্য মাঝে মাঝেই প্রকৃতির কাছে যাওয়া উচিত ।নীরবে-নিভৃতে কিছু সময় কাটানো উচিত প্রকৃতির সাথে । এতে করে যেমন রিফ্রেশ একটা অনুভূতি হয় ঠিক তেমনি নিজের ফুরিয়ে যাওয়া ফুয়েল আবার পরিপূর্ণ হয়। শুভকামনা আপনার জন্য দাদা।
সত্যি আপনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে দারুন উপস্থাপনা করেছেন ।আসলেই প্রকৃতির মাঝে একটু সময় কাটালে আমাদের সকল রকম হতাশা ক্লান্তি দূর হয়ে যায় এবং আমরা নতুন উদ্যমে সব কিছু শুরু করতে পারি।ধন্যবাদ।
শরতকালের অগ্রিম শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। তার সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি এবং মনমুগ্ধকর ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য ভালোবাসা অবিরাম।
আপনাকেও জানাই শরতের শুভ্র অভিনন্দন ।সুন্দর পরিবেশে আপনিও সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা রাখি। ধন্যবাদ।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা অভিনন্দন এবং অবিরাম ভালোবাসা। বেঁচে থাকুক পৃথিবীতে এবং বেঁচে থাকেন সবথেকে সুন্দরতম মর্যাদাবান স্থানে
ভালোবাসা শ্রদ্ধা এবং সর্বোত্তম মর্যাদার অধিকারী হন।
অনেক অনেক প্রীতি এবং ভালোবাসা রইলো