মহাপীঠ তারাপীঠ এ আমাদের পুজো দিতে যাওয়া।।বৈশাখ মাসের প্রারম্ভে।।আজ ২৮ শে মে ২০২২।।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

IMG_20220416_105052.jpg


হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।বন্ধুরা আমি প্রায় দেড় মাস আগে তারাপীঠ দর্শন করতে গেছিলাম।আমি আগেই শান্তিনিকেতনে আমার ভ্রমণের কথা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছি।শান্তিনিকেতন থেকেই আমরা সবাই মিলে গিয়েছিলাম মহাপীঠ তারাপীঠ।৫২ পীঠের মধ্যে অন্যতম এই তারাপীঠ।তবে বীরভূমের এই তারাপীঠ কে বেশি বিখ্যাত করে গিয়েছেন মহাসাধক বামাক্ষ্যাপা।তারা মায়ের বড় প্রিয় সন্তান ছিলেন বামাক্ষ্যাপা।প্রচলিত নিয়ম নীতিকে উপেক্ষা করে শুধু অপার ভক্তি ও একাগ্রতা দিয়ে যে সত্যিকারের ঈশ্বরের দেখা পাওয়া যায় তার জ্বলন্ত উদাহরণ দক্ষিনেশ্বরের শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেব আর তারাপীঠের সাধক বামাক্ষ্যাপা।কিন্তু প্রথম দিকে সহজ ছিল না বামাক্ষ্যাপার সাধনা জীবন।নানা বাধা ও বিপত্তিকে পেরিয়ে নিজেকে মায়ের সন্তান প্রমান করে তিনি হয়েছিলেন সবার প্রিয়।দুস্থের জন্য তিনি স্বয়ং ঈশ্বর হয়ে গিয়েছিলেন।সারা জীবন মায়ের আরাধনা আর মানুষের সেবা করে গিয়েছেন এই মহাসাধক।

এই বামাক্ষ্যাপা কে নিয়ে অনেক অলৌকিক গল্প প্রচলিত আছে।সত্যি কি মিথ্যা সেটা অবশ্যই বিচার্য এই বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে।তবে একটা কথা বলবো বিশ্বাসে এ মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।যাই হোক এই বিশ্বাস নিয়েই আমার গিয়েছিলাম তারাপিঠে।প্রখর রোদ ও তাপমাত্রা কে উপেক্ষা করে আমরা পুজো দিতে হাজির হয়ে গেলাম মায়ের সামনে।বলা হয়ে থাকে তারাপীঠ খুবই জাগ্রত।


IMG_20220416_105059.jpg

IMG_20220415_200805.jpg


এখানে পুজোর দেয়ার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে।মন্দির যাওয়ার পথে প্রচুর দোকান আছে।সেখান থেকে পুজোর সামগ্রী ও একজন পান্ডা কে সঙ্গে নিতে হয়।এই পান্ডা একজন পূজারী যিনি মায়ের পুজো করে দেন পূর্ণ্যাথীদের হয়ে।তবে এখন অধিকাংশ ধর্মীয় স্থানে একটা ব্যবস্যা চালু আছে।আর এই বিষয়টা আমাকে দারুন ভাবে আহত করে।যাইহোক তবুও মনের প্রবল ভক্তি এইসব কে উপেক্ষা করে মায়ের মুখ দর্শন করতে আসে সবাই।


IMG_20220416_113028.jpg

IMG_20220416_113024.jpg

IMG_20220416_105103.jpg


আমরা পূজা সামগ্রী কিনে ৫০০ টাকা দিয়ে পুজোর ব্যবস্থা করে ফেললাম।ভালোভাবে মায়ের পুজো শেষ করে আমরা একটা রেস্টুরেন্ট এ ঢুকে পড়লাম।কারণ আমরা সকাল থেকে কেউ কিছু খাইনি।যাইহোক আমরা সবাই ভাত মাছ ও ডিম খেয়ে দিলাম।কারণ ততক্ষনে দুপুর হয়ে গিয়েছিলো।খেয়ে আমরা এগিয়ে এলাম বলির স্থানে।যেখানে মায়ের উদ্দেশ্যে পাঁঠা বলি দেয়া হয়।এই জীব বলির খুব একটা পক্ষে আমি নই।কারণ আমি মনে করি যা অন্যের জন্য কষ্টকর তা কখনো ঈশ্বরের খুশির কারণ হতে পারে না।

এরপর কিছু কেনাকাটা করে আমরা আস্তে আস্তে গাড়ির কাছে পৌঁছে গেলাম।সত্যি সেদিন ভয়ঙ্কর রোদ ও গরম ছিলো।তারপর ও তারা মায়ের ইচ্ছায় আমরা সব কিছু ভালো ভাবে সম্পন্ন করলাম।


IMG_20220416_113356.jpg

IMG_20220416_105102.jpg


|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

png_20211106_204814_0000.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

Sort:  
 2 years ago (edited)

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে মায়ের মন্দিরের কথা শুনলাম আপনার মুখে এটা সত্যিই অনেক বড় একটা পাওয়া ছিল আজকের। আমার নিজের ও খুব ইচ্ছা আছে মায়ের মন্দির দর্শন করার। জানিনা কবে নিয়ে যাবে মা। তবে দাদা আপনার কথার সাথে আমিও একমত ধর্ম ব্যবসায়ী সব জায়গাতে জায়গা করে নিচ্ছে এবং পরিবেশটাকে কেমন যেন দূষিত করে ফেলে এরা। মা সকলের মনে শুভবুদ্ধি দিক। পুরো জগতের কল্যাণ করুক 🙏

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



 2 years ago 

দাদা টিভিতে একটা সিরিয়াল দেখানো হয় মহাপীঠ তারাপীঠ নিয়ে। তারাপীঠ বামাক্ষ্যাপার কাহিনী দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনার পোস্টটি দেখে তারাপীঠের মন্দির দেখার খুব ইচ্ছে জেগেছিল। দেখতে চেয়েছিলাম টিভিতে যা দেখানো হয় মিলে যায় কিনা। যাই হোক দাদা তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়ে খুব ভালোভাবে দিতে পেরেছেন এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আমি জানতে পেরেছিলাম বামাক্ষ্যাপা নাকি মহাদেবের মানব অবতার এটা সত্যি নাকি দাদা। আর হ্যাঁ বলির কথা শুনলে আমার কাছেও খুব খারাপ লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

একই অবস্থা দাদা আমাদের এখানকার মাজার গুলোতে । যেখানে অনেকটাই ধর্মীয় ব্যবসা চলে । আপনার কথায় বেশ যুক্তি আছে । তবে বেশি ভালো লেগেছে এই লাইন গুলো । একদম সহমত পোষণ করছি ।

এই জীব বলির খুব একটা পক্ষে আমি নই।কারণ আমি মনে করি যা অন্যের জন্য কষ্টকর তা কখনো ঈশ্বরের খুশির কারণ হতে পারে না।

 2 years ago 

যেখানে মায়ের উদ্দেশ্যে পাঁঠা বলি দেয়া হয়।এই জীব বলির খুব একটা পক্ষে আমি নই।

দাদা,আমিও এটির পক্ষে নয়।জীব হত্যা মহাপাপ।কিন্তু জীবকে হত্যা করে মায়ের পূজা খুবই অদ্ভুত লাগে।যদিও এর পিছনে অনেক গল্প আছে।কারণ পূর্বে ডাকাতরা জ্যান্ত মানুষ বা নর বলি দিত সেটাকে বাদ দিয়ে মনে হয় জীবকে বলি দেয় যতদূর আমার মনে হয়।যাইহোক তারা মা তোমাদের মনের ইচ্ছে পূরণ করুক এবং তোমাদের মঙ্গল করুক এই কামনায় করি।

Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 2 years ago 

এই জীব বলির খুব একটা পক্ষে আমি নই।কারণ আমি মনে করি যা অন্যের জন্য কষ্টকর তা কখনো ঈশ্বরের খুশির কারণ হতে পারে না

দাদা নমস্কার,
ঠিক কথা দাদা আপনার কথায় আমিও একমত প্রশন করছি ৷সত্যি তো বলি দেয়া একটা জীব কে মেরে ফেলা এটা কী ধরনের রীতি ৷আবার স্বামী বিবেকানন্দ বলেছে জীবে প্রেম করে যেইজন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর ৷তাহলে আমরা যে জীব কে নিজ হাতে বলি দিচ্ছি এটা এটা আমিও বুঝি না ৷তবে আমি যেটা এটা আগের পূর্বের রীতি আগে কোনো কিছু মানত করলে যদি সেই মানত পূর্ন হয় ৷তাহলে না কি পাচঁ বলি বা দশ বলি দিতো ৷যা আজও চলছে৷

যাই হোক দাদা
মহাপীঠ তারাপীঠ এ পুজো দিতে যাওয়ার কাহিনী টা সম্পুর্ণ পড়লাম ৷আমি প্রায় অনেক বার টিভিতে দেখেছি এই মহাপীঠ তারাপীঠ সম্পর্কে৷আর ভালো ভাবে পুজো দিতে পারছেন শুনে ভালো লাগলো ৷

 2 years ago 

এই তারাপীঠ আমাদের বাড়ি থেকে খুব বেশি দূর নয়। আমিও বেশ কয়েকবার তারাপীঠে পুজো দিতে গেছি। আপনি ঠিকই বলেছেন তারাপীঠে সাধক বামাক্ষ্যাপা কে নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে তার সাধক হওয়ার পেছনে। আজীবনের সাধনা করে তিনি হতে পেরেছিলেন মায়ের প্রিয় পাত্র।
তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়েছেন। তাই বলি, আপনার মনোবাঞ্ছা পূরণ হোক। ঈশ্বর আপনার সমস্ত ইচ্ছে পূরণ করুক। এই কামনা করি। সাথেই আপনি যে আলোকচিত্রগুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো, যারা পূর্বে যায়নি, পরবর্তীতে যেতে চায় তাদের পক্ষে খুবই সুবিধের হবে।

 2 years ago 

তবে একটা কথা বলবো বিশ্বাসে এ মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।

এটা সত্যি কথা দাদা, বিশ্বাস করলেই অনেক কিছু পাওয়া যায় আর অবিশ্বাস করলে সেখানে কিছুই থাকে না। আমাদের সমাজেও এই রকম একটা কথা প্রচলিত রয়েছে, বিশ্বাসে বিষ কাটে আর অবিশ্বাসে বাঁধ টুটে। ফটোগ্রাফিগুলো দারুণ লেগেছে। ধন্যবাদ

 2 years ago 

দাদা শান্তিনিকেতনে পর আপনারা গিয়েছেনমহা মহাপীঠ তারাপীঠ। ৫২ পিঠের মধ্যে তারাপীঠ অন্যতম। ভালোভাবে পূজা সমাপ্ত করে পরবর্তীতে একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়েছেন এর কারণ ছিল আপনারা সকলেই ক্ষুধার্ত ছিলেন। কিন্তু এখানে ঘুরতে যাওয়ার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি ভালো ছিল এবং যে তথ্যগুলো দিয়েছেন সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66937.04
ETH 3270.78
USDT 1.00
SBD 2.74