Fibonacci sequence এবং প্রকৃতি।।২১ আগস্ট ২০২৪
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি ফিবোনক্কি সিকোয়েন্স নিয়ে লিখতে চলেছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ফিবোনাক্কি সিকোয়েন্স (Fibonacci sequence) এবং প্রকৃতির মধ্যে বিভিন্ন মিল এবং সম্পর্ক রয়েছে, যা প্রকৃতির বিভিন্ন কাঠামো এবং প্যাটার্নে দেখা যায়। ফিবোনাক্কি সিকোয়েন্স একটি সংখ্যা ধারা যা ০ এবং ১ দিয়ে শুরু হয়, এবং প্রতিটি পরবর্তী সংখ্যা আগের দুইটি সংখ্যার যোগফল। অর্থাৎ, ধারা হচ্ছে: 0, 1, 1, 2, 3, 5, 8, 13, 21, 34, 55, 89...
প্রকৃতিতে ফিবোনাক্কি সিকোয়েন্সের মিল বা উদাহরণ:
ফিবোনাক্কি সিকোয়েন্স প্রকৃতিতে সবচেয়ে সাধারণভাবে পাওয়া যায় ফুলের পাপড়ির সংখ্যা হিসেবে। উদাহরণস্বরূপ:
লিলি ফুলের পাপড়ি ৩টি।
ডেইজি ফুলের পাপড়ির সংখ্যা হতে পারে ৩৪, ৫৫, বা ৮৯।
বাটারকাপ ফুলের পাপড়ির সংখ্যা ৫টি।
ফিবোনাক্কি সিকোয়েন্সের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি সংখ্যা বৃদ্ধির একটি প্যাটার্ন নির্দেশ করে, যা অনেক সময় ফুলের পাপড়ির বিন্যাসে দেখা যায়।
গাছের শাখা এবং পাতার বিন্যাসে ফিবোনাক্কি সিকোয়েন্সের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। উদাহরণস্বরূপ:
যদি আপনি একটি গাছের মূল কাণ্ড থেকে শাখাগুলি গণনা করেন, তাহলে আপনি দেখতে পাবেন যে, শাখাগুলি ফিবোনাক্কি ধারার মতো করে বিভক্ত হয়। প্রতিটি নতুন শাখা পূর্ববর্তী দুটি শাখার যোগফল হিসেবে বৃদ্ধি পায়। এটি গাছের শাখা বৃদ্ধির একটি যুক্তিসঙ্গত পদ্ধতি, যা গাছটিকে পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং বায়ুপ্রবাহ পাওয়ার সুযোগ দেয়।
সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে যেমন শামুক এবং নটিলাসের খোলসের গঠন ফিবোনাক্কি সিকোয়েন্সের সর্পিল গঠন অনুসারে ঘটে। খোলসের প্রতিটি নতুন কুণ্ডলী আগেরটির চেয়ে একটি নির্দিষ্ট হারে বড় হয়, যা প্রকৃতিতে দেখা যায় ফিবোনাচ্চি ধারা অনুসারে।
সূর্যমুখীর কেন্দ্রে বীজগুলি সর্পিলভাবে বিন্যস্ত থাকে। এই সর্পিল বিন্যাসটি দুটি বিপরীতমুখী সর্পিল গঠনে বিভক্ত, যা ফিবোনাক্কি ধারার সংখ্যায় মেলে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি সূর্যমুখীর বীজের সর্পিল সংখ্যা গণনা করেন, তাহলে দেখতে পাবেন যে, একটি দিকের সর্পিল সংখ্যা ২১ এবং অন্য দিকের ৩৪, যা ফিবোনাক্কি ধারার দুটি পরপর সংখ্যা।
পাইনএপেল এবং শঙ্কুজাতীয় গাছপালার ফলের মধ্যে ফিবোনাক্কি সিকোয়েন্সের প্যাটার্ন দেখা যায়। পাইনএপেলের উপরিভাগে থাকা খাঁজগুলি ফিবোনাক্কি ধারার সংখ্যা অনুসারে বিন্যস্ত থাকে। একইভাবে, শঙ্কুর বীজের সর্পিল গঠনেও ফিবোনাচ্চি ধারার সংখ্যা পাওয়া যায়।
ফিবোনাক্কি সিকোয়েন্সের প্রতিটি পরবর্তী সংখ্যার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট অনুপাত দেখা যায়, যা একটি স্থির সংখ্যার দিকে ধাবিত হয়, এটি হলো গোল্ডেন রেশিও বা স্বর্ণ অনুপাত (প্রায় ১.৬১৮)। এই অনুপাত প্রকৃতির বিভিন্ন স্থানে যেমন শামুকের খোলস, গাছের শাখা, এবং পশুপাখির শরীরের গঠনে পাওয়া যায়। স্বর্ণ অনুপাত প্রকৃতিতে ভারসাম্য এবং সৌন্দর্যের নিদর্শন হিসেবে কাজ করে।
ফিবোনাক্কি সিকোয়েন্স এবং প্রকৃতির এই মিলগুলি কেবল একটি গাণিতিক প্যাটার্ন নয়, বরং প্রকৃতির অভ্যন্তরীণ কাঠামোর একটি অনন্য রূপ। এটি প্রমাণ করে যে, প্রকৃতির বিভিন্ন জ্যামিতিক প্যাটার্ন এবং গঠনগুলির পিছনে একটি গাণিতিক যুক্তি থাকতে পারে, যা প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিকাশ লাভ করেছে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
গোল্ডেন রেশিও আমাদের জীবনের প্রতিটা অংশে জড়িয়ে রয়েছে যা আমরা বুঝতেও পারি না। স্থাপত্য, ছবি আঁকা এমনকি লোগো ডিজাইনেও এই গোল্ডেন রেশিও সবচাইতে বেশি কাজে আসে। অত্যন্ত তথ্য বহুল একটা পোস্ট।
বাহ্! বেশ তথ্যবহুল একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা। ফিবোনাক্কি বা ফিবোনাচ্চি সংখ্যা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা আছে। তবে ফিবোনাক্কি সিকুয়েন্স এর সাথে যে প্রকৃতির মিল রয়েছে, সেটা জানা ছিলো না। বেশ কয়েকটি উদাহরণ এর মাধ্যমে দারুণভাবে বিষয়টি আলোচনা করেছেন দাদা। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। যাইহোক এমন তথ্যমূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ফিবোনাক্কি সিকোয়েন্স সম্পর্কে দারুণ কিছু তথ্য পেলাম দাদা, যা বিগত সময়ে খুব একটা ভালো জানা ছিল না।