আমাদের কিছু বিষয় এর প্রতি সজাগ থাকতে হবে ওমিক্রন কে নিয়ে।।জানুয়ারী ,২০২২।।
হ্যালো, বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার আজকের লেখা শুরু করছি।বন্ধুরা আজকে আমি যে বিশেষ পোস্টটি লেখা শুরু করছি এতে আমার একান্তই ব্যক্তিগত কিছু কথা থাকবে।এর পক্ষে বিপক্ষে জানি ভিন্ন ভিন্ন মত থাকতেই পারে।তবে প্রত্যেকটি গঠনমূলক বক্তব্য সর্বদা গ্রহণীয় ও প্রশংসনীয়।তাহলে আসুন আজকের পোস্ট লেখা শুরু করা যাক।
আমরা প্রত্যেকেই অবগত আছি যে হঠাৎ করেই আমাদের ভারতবর্ষে ওমিক্রম খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে ,শুধু ভারতবর্ষের নয় এই করোনার নয়া প্রজাতি ইউরোপ ও আমেরিকাতে আরো ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।এখন ইউরোপে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা এতটাই বেশি যে ইউরোপ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা ওমিক্রন কে সাধারণ সর্দি কাশি হিসেবেই নিয়ে চলবে।কারণ তাছাড়া তাদের কাছে আর কোনো ভালো উপায় নেই।
এই মুহূর্তে lockdown করা কার্যত আর সম্ভব নয়।কারণ দেশ দেশ অর্থনৈতিক যে সঙ্কটজনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা খুবই উদ্বেগজনক।বেকারত্ব খুব দ্রুত বেড়েছে এই করোনার দুই বছরের মধ্যে।যখনই পুরো পৃথিবী একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে অমনি করোনার কোনো নতুন ভ্যারিয়ান্ট সব কিছু ওলটপালট করে দিয়েছে।
জানি এই রকম ভয়ানক পরিস্থিতিতে করোনা থেকে আমাদেরকে রক্ষা করা খুবই কঠিন।তবু ও আমাদের প্রত্যেককে করোনা নিয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সবরকম কাজ করে যেতে হচ্ছে। কারণ আমরা জানি ওমিক্রন বেশি সংক্রামক ডেল্টার থেকে।
যেখানে একজন ডেল্টা সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে ৫ জন সুস্থ মানুষ সংক্রামিত হতেন সেখানে ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সর্বাধিক ৩০ জন মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন।তাহলে এর থেকে বোঝা যাচ্ছে ওমিক্রন একটি মারাত্মক সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট।
আমাদের পরিবারের প্রত্যেককে সুস্থ রাখতে বিশেষ করে পরিবারের বয়স্ক ও শিশুদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য আমাদের নিজেদের অত্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে হবে।করোনা আক্রান্ত হলে আমাদের মাধ্যমে শিশুরা ও বয়স্করা আক্রান্ত হবে এবং তাদের জন্য এটি বিপদজনক।
কিন্তু আশার কথা এই শিশুরা বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শিশুরা দুই থেকে চার দিনের ভিতরে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।তাদের জটিল কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না ,এটা একটা অত্যন্ত আশার কথা।এখন প্রশ্ন হচ্ছে এত নিরাপত্তা এত কঠোর বিধিনিষেধ পালন করার পর ও যদি করোনা আমাদের পরিবারের ঢুকে যায় তাহলে আমাদের কি করণীয়?করণীয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো কি ভাবে এতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকতে ও আমাদের পরিবারে সংক্রমণ ঢুকে যেতে পারে।
বাড়িতে যিনি পরিচালিকা কাজ করেন অর্থ্যাৎ যে ভদ্রমহিলা আপনার বাড়িতে রান্নার কাজে সহযোগিতা করেন তিনি যদি আপনার বাড়িতে থেকে কাজ না করেন বরং তিনি বাইরে থেকে কাজ করে বাইরে থেকে এসে কি
আপনার বাড়িতে কাজ করেন।
সেক্ষেত্রে তার মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার একটা প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়।এই ক্ষেত্রে আমরা কি করতে পারি?ভদ্র মহিলাকে কিছু দিনের জন্য অর্ধেক বেতনে ছুটি দিয়ে দিতে পারি।আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই পরিচালকের মাধ্যমে সংক্রমিত হই তাই সতর্ক থাকা অত্যন্ত আবশ্যক।হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই দুর্দিনে একজন মানুষকে এভাবে কর্ম থেকে ছাড়িয়ে দেয়া একটি অমানবিক কাজ তবে আপনাদের কাছে এটা বলে রাখি যে আমরা তাকে কাছ থেকে অব্যহতি দিচ্ছি না বরং তাকে অর্ধেক আর্থিক বেতনে কাজ এ রাখা হচ্ছে বিনা ডিউটি পালন করে।কারণ থাকে পুরো বেতনে support করা এক পরিবারের পক্ষে ও অসম্ভব।
আর একটা বড় কারণ হতে পারে কোন আত্মীয়ের হঠাৎ বাড়িতে আগমন।এক্ষেত্রে আত্মীয়র অনেক কারণে আসতে পারে বিশেষ করে চিকিৎসা করার জন্য।শুধুমাত্র বেড়ানোর জন্য কেউ আসবে না এই সংকট সময়ে এটা নিশ্চিত।যিনি বা যারা এসে বাড়িতে থাকবেন তাদের এই চিন্তা থাকবে না আমরা একটু অসতর্ক হলে পুরো পরিবার বিপদে পড়ে যাবে।বরং তারা খুব হালকা ভাবেই নেবে এবিং বাইরের বেরিয়ে আসবে।
এদের মধ্যে কেউ সংক্রমিত হলে আপনি ও আপনার পরিবার ও আক্রান্ত হবে।ওই ব্যক্তির মধ্যে নিজে আক্রান্ত হওয়ার দুশ্চিন্তা থাকলে ও আপনার পরিবার কে নিয়ে বিশেষ কোনো চিন্তা থাকবে না।কারণ মানুষ বিপদের সময় আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যায়।তাই দিন শেষে বিপদ ও কষ্ট আপনার পরিবার কেই ভোগ করতে হবে।তাই এটা ভালো যে এই করোনার মুহূর্তে বাইরের কাউকেই ঘিরে জায়গা না দেয়া।বরং তাদের জন্য আলাদা কোনো থাকার জায়গার বন্দোবস্ত করে দিতে হবে।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
একদম সময় উপযোগী পোস্ট। আত্মরক্ষা ও সচেতনতাই হতে পারে মূল মন্ত্র ভাইরাস থেকে দূরে থাকার। যুক্তি গুলো ভালো ছিল ভাই । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
হ্যা,দাদা ওমিক্রন জন্য,আমাদের অনেক সাবধানে থাকা দরকার।আমি কাল খবরে দেখলাম আমেরিকার শোরুমে কোন প্রয়োজনীয় জিনিস স্টোর নেই। মাছ,মাংস ও অন্যানো প্রয়োজনীয় পন্য।দাদা আপনি ঠিকই বলেছেন,আমাদের উচিত গৃহকর্মে কে কিছু দিনের জন্য ছুটি দেওয়া।
ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে আলোচিত একটা নাম।এর ভয়ানক সংক্রমন হতে বাঁচতে সকলের উচিৎ ব্যক্তিপর্যায় থেজে সচেতন হওয়া।আপনি যথার্থই বলেছেন,নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় কাজের পরিচায়িকাকে সন্মানী দিয়ে ছুটি দিতে হবে।শিশু ও বয়স্কদের সবচেয়ে কঠোর নিরাপত্তায় রাখতে হবে।ধন্যবাদ আপনাকে,সময়উপযোগী, সচেতনত মুলক পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বাহ দাদা বেশ ভালো এবং উপকারী একটি পোস্ট ছিল। বাংলাদেশেও প্রতিনিয়ত ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। আবার যে নতুন করে লকডাউন সে পরিস্থিতিও নেই। এবং এই ওমিক্রন থেকে কীভাবে নিরাপদে থাকব কী কী সাবধানতা অবলম্বন করব এই তথ্য সম্বলিত আপনার পোস্ট টা খুবই ভালো ছিল। ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে এত সচেতনতা মূলক একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।।
আপনি অনেক সচেতন মূলক একটি পোস্ট করেছেন দাদা। আসলেই অমিক্রন যে হারে বেড়ে চলেছে তা আমাদের জন্য দিন দিন ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। আর এই অমিক্রণ আমরা কিভাবে মোকাবেলা করতে পারি আপনি তো অনেক সুন্দর করে তথ্য দিয়েছেন। ইউরোপের দেশ গুলোর দিকে তাকিয়ে দেখলে অনেক খারাপ লাগে। ধন্যবাদ দাদা এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক সুন্দর কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। আসলেই এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে আমরা নিজেদের সুরক্ষিত রেখে চলাটাই উত্তম। তাছাড়া আমরা যদি অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাহিরে যাই সঙ্গে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। নিজের সুরক্ষিত থাকি এবং দেশকে সুরক্ষিত রাখি। এটাই হোক আমাদের শ্লোগান। ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনি একদম ঠিক বলেছেন করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট এর কারণে পুরো বিশ্ব আবারো বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। আমাদের নিজেদের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। আমাদের সচেতনতাই আমাদের বাসার বৃদ্ধ ও শিশুদেরকে রক্ষা করবে। দাদা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা সকলেই নিরাপদ থাকার চেষ্টা করবো এবং আপনিও নিরাপদে থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করছি।
আমার মনে হয় বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট এটি দাদা। ঈশ্বর কবে যে আমাদের এই রাক্ষসের হাত থেকে রক্ষা করবে 🙏😥। কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখন আবার আগের মতো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। বাড়ির বাইরে কেউ গেলে অথবা বাইরে থেকে কোন নতুন মানুষ আসলে সবসময় একটা আতঙ্ক নিয়ে থাকতে হয়। তবুও যতটা পারছি সাবধানতার সাথে চলাফেরা করছি। ঈশ্বর আমাদের সবাইকে এই অসুখের হাত থেকে মুক্তি দান করুন এই প্রার্থনা করি 🙏🙏
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community