পুরুলিয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের এক বিশাল লীলাভূমি ।
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। মহামারীর এই করাল গ্রাসে যখন সমগ্র পৃথিবীবাসী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পড়ে গেছে, তখন আশা জাগিয়েছে আবিষ্কৃত টীকা। সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে টিকার দ্রুত উৎপাদন সরবরাহ এবং টিকাকরণ। সেইসঙ্গে দরকার সঠিক পদক্ষেপ জনসচেতনতা এবং প্রশাসন ও সরকারের পরিকল্পনা মাফিক কার্যক্রম। আমরা মানব জাতি কখনো হারতে শিখিনি। যে কোন শক্তির বিরুদ্ধেই আমরা লড়াই করতে সক্ষম হয়েছি এবং শেষমেষ জয় আমাদেরই হয়েছে। এই অদৃশ্য শত্রু' করোনাভাইরাস যতই বড় হোক না কেন যতই আমাদের ক্ষতি করুক না কেন, তাকে আমরা জয় অবশ্যই করবো ।আর সুখের কথা আশার কথা আমরা সেই বিজয়ের পথে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছি।তাই বুকে আশা নিয়ে আজকে আমি শুরু করছি।
আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে পুরুলিয়া জেলার মানুষের জীবন যাপনের কয়টি ছবি ভাগ করে নেব। পুরুলিয়ার মানুষেরা অনেকটা মাটির কাছাকাছি। তাদের জীবনযাত্রা তাদের জীবন দর্শন অনেক বেশি প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। একসময় খাদ্যের এতই অভাব ছিল পুরুলিয়া বাঁকুড়ায় যে এই রাঙামাটি দেশের মানুষেরা তাদের পেটের ক্ষুধা মিটাতো বিভিন্ন গাছের শিকড় সিদ্ধ করে খেয়ে। পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়েছে আগের থেকে অনেকটা। সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন তাদের কিছুটা অভাব দূর করেছে। যদিও এখনো অনেক পথ বাকি অনেক পথ চলতে হবে ,তাদের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য। সবচেয়ে ভালো দিক উন্নয়নের গতি ধীর হলেও এটা চলমান।
অযোধ্যা পাহাড়ের খুব কাছাকাছি যেতেই এই বসতিগুলো চোখে পড়ল। দেখলাম এখানে জীবন কত প্রাকৃতিক ,কতটা অসাধারণ, কতটা প্রকৃতির কাছাকাছি। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না এখানকার মানুষরা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং সৎ। রাঙ্গামাটির মানুষদের মন রাঙা মাটির মতন নরম এবং উর্বর। পুরুলিয়া ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় জায়গা। যেকোনো ঋতুতেই পর্যটকরা এখানে ভিড় করে ।এই মহামারী সময়েও পরিস্থিতি যখনই একটু স্বাভাবিক হয়েছে মানুষ বেড়াতে এসেছে এই পুরুলিয়াতে। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এই পুরুলিয়া আর এখানকার জীবনযাত্রা সত্যিই আমাদেরকে অনেক কিছু শেখায় ।অনেক কিছু ভাবায় ,এখানে এলে মনে হয় আরো আরো কিছু কাজ করা দরকার ।আরও বেশি দিন বাঁচা দরকার। জীবনকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে উপভোগ করা দরকার। এখানে এলে মনের পবিত্রতা বাড়ে ,মনের গভীরতা বাড়ে ।এখানে আসলে চিন্তারা সঠিক পথে ভ্রমণ করে ,আসে অনেক বেশী কার্যকরী পন্থা ।যেগুলো আমাদের জীবনকে সুস্থ ভাবে সাজাতে এবং জীবনকে উৎকর্ষতায় পরিপূর্ণ করতে সহায়ক।
এইসব সরল মানুষদের জীবনযাত্রা সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করতে পারলে নিজের মনের অসঙ্গতিপূর্ণ আকাঙ্ক্ষাকে সহজে দূর করা যায়। অল্পতে কিভাবে তুষ্ট থাকা যায় সে শিক্ষা এদের কাছ থেকে পাওয়া যায়। শত অভাব-অনটনের মাঝে ও জীবনকে সত্যিকারের উপভোগ করা যায় ।পরিবারকে নিয়ে আনন্দে থাকা যায় ।সেই শিক্ষা এদের কাছ থেকে পাওয়া যায় ।যেকোনো ভ্রমণ আনন্দদায়ক সঙ্গে সেটা শিক্ষা সফর ও বটে।
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
এই পৃথিবীতে যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য না থাকতো তাহলে কেমন হতো বিষয়টি অনেক ভাবায়। আল্লাহ এই পৃথিবীকে অনেক সুন্দর কর তৈরি করেছেন। কোথাও পাহাড় পর্বত আবার সমতল ভূমি কোথাও আবার অসংখ্য নদনদী ইত্যাদি। এক এক জায়গার সৌন্দর্য এক এক রকম। আপনার ভ্রমণের জায়গায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর লীলা ভূমি। আবার অবস্থান ভেদে মানুষের জীবন যাত্রা মান ভিন্ন হয়।অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা। আমাদের মাঝে এতো সুন্দর পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রকৃতি এবং তার চারপাশের মানুষের জীবন যাপনের পদ্ধতি, আমাদের অনেক কিছু দেখার এবং শেখার সুযোগ করে দেয়, জীবন নিয়ে অনেক কিছু উপলব্ধি করার সুযোগ কাছে এনে দেয়। সময়ের সাথে আমাদের সাথে তারাও এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের জীবনের মানও পরিবর্তন হচ্ছে, হয়তো কিছুটা ধীর গতিতে।
পাহাড়ঘেরা সবুজ ও সুন্দর দৃশ্যবলী দেখেই বুঝা যাচ্ছে গ্রামটির পরিবেশ কতটা সুন্দর, খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ
ভাই, অসাধারণ লিখেছেন আর সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দী করে আমাদের উপহার দিয়েছেন,সত্যি ই অনেক সুন্দর গ্রাম একটি গ্রাম,আপনার লিখুনির মাধ্যমে সেটি আরো ফুটে উঠেছে আমার বাংলা ব্লগ এ,
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের নিলাভূমি পারুলিয়া নিয়ে লিখলেও ১মে করোনা ভাইরাসের মহামারী এবং পরবর্তীতে গ্রামের মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রা নিয়ে উল্লেখ করে পরবর্তীতে সৌন্দর্য্যের বিষয়টি আলোকপাত করেছেন।এত সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটে তোলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পুরুলিয়ার নাম অনেক শুনেছি। দাদাগিরিতে পুরুলিয়া নিয়ে অনেকে খেলেছে। এবং এই জেলার মানুষের যে এতো খাদ্যের কষ্ট ছিল এটা আগে জানতাম না। এবং এদের দেখে আমার প্রথম অবস্থাই আফ্রিকার কোনো দেশের বাসিন্দা মনে হয়েছিল। খুব ভালো লিখেছেন দাদা। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।।
দাদা অনেক সুন্দর ছবি... প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে মনটা ভরে গেলো❤️❤️❤️❤️
প্রাকৃতিক লীলাভূমি ৯০% গ্রামেই রয়েছে বলে মনে করি আমি।গ্রামীণ পরিবেশে যেদিকেই তাকাই সেদিকেই সৌন্দর্যে ভরপুর।পারুলিয়া গ্রামের নামটা আমার কাছে বেশ পরিচিত পরিচিত মনে হচ্ছে।হয়তো এই নামটা আমি আগেও শুনেছিলাম।জীবনকে সাজিয়ে গুছিয়ে জীবনকে পরিচালনা করা এবং উপভোগ করার জন্য এই সৌন্দর্যের মূল্য যেন স্বর্ণ স্বরূপ।
অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা।শুভ কামনা রইলো অভিরাম😍
পুরুলিয়ার মানুষের জীবন -যাপন খুবই সাধারণ, মাটির সঙ্গে তাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে জানতে পেরে ভালো লাগলো।পুরুলিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই সুন্দর ও সবুজময়।ধন্যবাদ দাদা।
খুবই ভালো লাগলো পুরুলিয়া গ্রাম সম্পর্কে জেনে, গ্রামটি সত্যিই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। আপনার বেশিরভাগ পোষ্ট গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মাটির মানুষদেরকে নিয়ে যা দেখে মন ভরে যায়।
সত্যিই এখানে একটি বড় ধরনের শিক্ষা আমাদের সকলের জন্যই রয়েছে।
গ্রামটি আসলেই অনেক সুন্দর। এই ধরনের পরিবেশে ঘুরাফেরা করলে মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। দাদার ঘোরাফেরা করা দেখলে অনেক হিংসা হয়। যদি আপনার মত ঘুরে বেড়াতে পারতাম।