সৌন্দর্য্য ও সম্প্রীতির এক অসাধারণ সন্নিবেশ কইফুল গ্রাম।
প্রকৃতি আর মানুষ এই দুই জনের ভিতর সম্পর্কটা অনেক বেশী মজবুত হওয়ার প্রয়োজন। আর এই সম্পর্কে যদি কোনো টানাপোড়েন দেখা দেয়, তাহলে আসবে নানা রকম অসুবিধা আর সেই রকম একটি অসুবিধার মধ্য দিয়ে আমরা এখন সবাই দিন গুজরান করছি। করোনা মহামারী প্রকৃতির নিষ্ঠুর প্রত্যুত্তর।আমাদের সকল অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে। আমরা প্রকৃতির সঙ্গে যে রকম যথেচ্ছা ব্যবহার করব প্রকৃতির ও তার হিসাব কড়ায় গণ্ডায় তুলে রাখে এবং সময় এবং সুযোগ বুঝে প্রকৃতি তা ফেরত দেয় ।যুগ যুগ ধরে অনেক উদাহরণ আছে কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাস এর থেকে বড় উদাহরণ আর কিছু নেই। বিগত দুবছর ধরে সারা পৃথিবীব্যাপী করোনাভাইরাস যেরকম ধ্বংস লীলা চালাচ্ছে তা থেকে এটা স্পষ্ট যে প্রকৃতিকে আমরা যথেচ্ছ ব্যবহার করলে প্রকৃতি ও আমাদের সঙ্গে বিরূপ ব্যবহার করবে।
বাংলার একটি সুন্দর সবুজে ঘেরা প্রানবন্ত গ্রামের কথা বলব আপনাদের ।গ্রামটির নাম কইফুল ।এই গ্রামটির সঙ্গে আরেকটি গ্রামের অনেকটা সাদৃশ্য রয়েছে ।সেই গ্রামটির সম্পর্কে আমি আগেই আপনাদের সঙ্গে কিছু কথা শেয়ার করেছিলাম,গ্রামটির নাম ছিল খড়িবাড়ি। খড়িবাড়ি মতই এই কই ফুল ও চারিদিকে জলরাশি দিয়ে ঘেরা। অর্থাৎ এই অঞ্চলটি বেড়ি বা ঘের অধ্যুষিত এলাকা।এখানে সবার জীবিকা মৎস্য চাষ উৎপাদন প্রতিপালন ও বাজারজাতকরণ ।বর্তমান যুগে পশ্চিমবঙ্গের কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ।
সরকার শিক্ষিত সম্প্রদায় কে চাকরি দিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ।এমতবস্থায় আমাদের শিক্ষিত সমাজ কে কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে হবে ।আর সেই দিক দিয়ে দেখলে এই মৎস্য চাষ একটি উৎকৃষ্ট কর্মসংস্থান। এখানে যেমন যথেষ্ট মুনাফা লাভের সুযোগ আছে তেমনি উন্মুক্ত হচ্ছে একটি বড় কর্মসংস্থান ।একজন ব্যক্তির একটি উদ্যোগ আরও দশটি ছেলের কর্মসংস্থান। তাই এই অঞ্চলের অধিবাসীদের মৎস্য চাষ অত্যন্ত প্রশংসার।এই ব্যবস্থাপনা রাজ্যের অর্থনীতিতে মূল্যবান ভূমিকা রেখে চলেছে।
এই গ্রামটি চারিদিকে যেহেতু জল আর জল তাই জলের মাঝখান দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে ছোট্ট একটি রাস্তা। আর এই রাস্তার দু'পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে জনপদ। এখানকার মানুষরা খুব শান্তিপ্রিয়। সব সম্প্রদায়ের মানুষ সুখে শান্তিতে একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে বছর বছর বসবাস করছে। গ্রামের মানুষের জীবন শহরের মানুষের জীবনের থেকে অনেকটা আলাদা। এখানে বাস্তবতা অনেক বেশি স্পষ্ট। শহরের সাজানো-গোছানো মেকি ভাবটা এখানে নেই ।এখানে যা কিছু দৃশ্যমান তাই প্রাকৃতিক এবং প্রকৃত। তাইতো শহর থেকে গ্রাম আমাকে বেশি টানে ।আমি বারবার খুঁজে ফিরি নতুন কোন গ্রাম নতুন জনপদ নতুন জীবন ধারা আর আমার কিছু অর্জিত হয় নতুন অভিজ্ঞতা।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ,এই প্রত্যাশা রেখে আমি শেষ করছি।
Device | Location | Date |
---|---|---|
Nikon Camera | Koiful | 31.08,2021 |
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.Discord- https://discord.gg/RX86Cc4FnA
দাদা আপনার ফটোগ্রাফির হাত কিন্তু সুন্দর। এই গ্রামটি আমার এলাকা থেকে 270 কিলোমিটার দূরে। ভিন্ন দেশ বলে অনেক দূর মনে হয়। কিন্তু দূরত্ব হিসাব করলে তেমন একটা দূর মনে হয় না। মনের দিক থেকে আবার আমরা একেবারেই নিকটে।
প্রত্যেকটা ছবি অনেক সুন্দর ছিল। কিন্তু দুই নম্বর ছবিটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
প্রকৃতির লীলাময় রূপ রস যেনো আমাদের মুক্ত হস্তে সৌন্দর্য ও ভালোবাসা দান করে। সত্যিই অপূর্ব প্রকৃতির ছবিগুলি
সত্যি মনোমুগ্ধকর প্রকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখলাম। আর আপনার একটি কথা আমাকে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। সেটি হলো যে একজনের উদ্যোগ ও আরও দশজনের কর্ম সংস্থান। অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।💗
কইফুল নামটাই আমার ভালো লাগার কেন্দ্র বিন্দু তাছাড়া গ্রামীণ প্রকৃতির সৌন্দর্য। সবমিলিয়ে অসাধারণ। শুভেচ্ছা রইলো ভাই।
কইফুল গ্রামটা একেবারে আমার স্বপ্নের গ্রামের মতো লাগল। সবুজে ঘেরা সুন্দর প্রবাহিত নদী অসাধারণ। এবং আমরা যেভাবে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছি। কোনদিন প্রকৃতি তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে। এটা হলে মানবজাতি অনেক বড় সংকটকের মুখে পড়বে।
খুব সুন্দর লিখেছেন দাদা।দাদা আপনার গ্রাম গুলির নাম অন্য রকম অসাধারণ হয়।গ্রাম আমার কাছেও খুব ভালো লাগে।কিন্তু গ্রামে যাওয়া হয় না দীর্ঘ দিন।আপনার মাধ্যমে মাঝে মাঝে গ্রামে ঘুরে আসি ভালোই লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্টগুলো পড়লে আমার মাঝে মাঝে বেশ হিংসে হয়।কত সুন্দর সুন্দর জায়গাতেই না সময় কাটান।
নতুন করে বলার কিছুই নাই। এবারো হিট।🔥
খুবই সুন্দর নাম গ্রামটির, কইফুল!
শিক্ষিত তরুণদের চাকরির এই বেহাল দশা শুধু ওপার বাংলাতেই না, এপার বাংলাতেও প্রবল। এটাকে সরকারে ব্যর্থতা ছাড়া আর কিইই বা বলার আছে?
দাদা আপনি আপনার লেখাগুলো অনেক গোছালোভাবে ফুটে তুলেছেন।একটি বিষয়ের সাথে অন্য বিষয়ের সাদৃশ্যতা খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আধুনিক শিক্ষা মানুষকে যতটুকু দিয়েছে তার থেকে বেশী কেড়ে নিয়েছে কারন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষজনের অধিকাংশই এখন পর্যন্ত অসংস্কৃতিতে বড় হয়েছে, সৎ বিষয়টি তাদের মাঝে দারুণভাবে অনুপস্থিত। কিন্তু প্রকৃতির মাঝে বেড়ে উঠা মানুষগুলো হয়তো অশিক্ষিত কিন্তু সবুজের সতেজতায় তাদের মন ও হৃদয় দুটোই সর্বদা সৎ থাকে।
গ্রামের দৃশ্যগুলো সত্যি সুন্দর, যেন চিরচেনা সেই রূপ। ধন্যবাদ