গঙ্গার ঘাটে টিনটিন বাবুর সাথে ।।ডিসেম্বর। ২০২১।।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago
IMG_20210501_170645.jpg



BoC- linet.png


বন্ধুরা সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আজকে আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বেশ কয়েক মাস আগে গঙ্গা ঘাটে বেড়াতে যাওয়ার ছবি।আমরা কয়েকজন বেরিয়ে ছিলাম এই অল্প সময়ের ভ্রমণ এ।তখন করানোর দ্বিতীয় ঢেউ ধেয়ে আসছে।যদিও তখনো আর ভয়ংকর রূপ সামনে আসে না।এমনি তে করোনার জন্য সব রকম পাবলিক জায়গা এড়িয়ে চলা হতো।দিনের পর দিন এক প্রকার ঘরে বন্ধী থাকা ও কঠিন।তবুও উপায় নেই।নিজে সুস্থ থাকা ও অন্যকে সুস্থ রাখার জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিলো।


IMG_20210501_170842.jpg

আলোকযন্ত্র নিকন ক্যামেরা

গঙ্গার ঘাট
ব্যারাকপুর, পশ্চিমবঙ্গ।



তখনও লকডাউন জারি হয়নি।তাই সপ্তাহে একদিন একদম নির্জন দেখে মানে খুবই কম লোকের আনাগোনা সেই রকম জায়গায় একটু ঘুরে আসতাম।কারণ আমার ভাইপো টিনটিন অনেক ছোট তাই সারাদিন ঘরে থাকার তার মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলি।যদি ও তার থেকে পরিত্রাণ এর উপায় আমাদের একপ্রকার করোই ছিলো না।তবুও সব রকম সতর্কতা রেখে যত টুকু করা যায় তাই করতাম।


IMG_20210501_171711.jpg

টিনটিন ও তার ছোট কাকা

আলোকযন্ত্র নিকন ক্যামেরা
ব্যারাকপুর, পশ্চিমবঙ্গ

সেদিন বেশ রৌদ্র উজ্জ্বল দিন ছিল।আমার দুপুরের খাবার খেতে একটু বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম ব্যারাকপুর এর একটি গঙ্গা ঘাটের উদ্দেশ্যে।কারণ আমাদের ধারণা ছিল ওই জায়গাটি একটু নির্জন হবে।আনন্দের ব্যাপার গিয়ে দেখলাম জায়গাটিতে বেশ কম লোকই আছে।আমরা গাড়ি থেকে নেমে ঘাটের সামনে এগিয়ে গেলাম।

IMG_20210501_170920.jpgIMG_20210501_170650.jpg



এই গঙ্গা ভারতবর্ষের একটি উল্লেখযোগ্য নদী।এই নদীকে অত্যন্ত পবিত্র নদী হিসেবে ভারতীয় রা মনে করে।এই নদীকে মা গঙ্গার আরেক রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।এই নদীর জল এতটাই পবিত্র যে এর জলে সব পাপ বিনাশ হয়।এটাই বিশ্বাস যুগ যুগ ধরে মানুষের।কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।তাই আমাদের ও তর্কে গিয়ে লাভ নেই।এই নদীর পবিত্র জল ব্যতীত কোনো হিন্দু ধর্মের পুজো সার্থক হয় না।


IMG_20210501_170744.jpg

টিনটিন বাবু ও তার ভ্রমণ

সঙ্গে আমার কয়েকজন

এই গঙ্গা কলকাতা শহরকে এক অনন্যতা দান করেছে।এই গঙ্গার হওয়াতেই আছে অপার শান্তি ও ভালোলাগা।তাই মানুষ এখনো সময় পেলে গঙ্গার ঘাটে এসে সময় কাটিয়ে যায়।আমরা গঙ্গার ঘাটে বসে অপূর্ব সূর্যাস্তের মুহুর্ত উপভোগ করলাম।তারপর নিজেরদের বিশেষ করে টিনটিন বাবুর কিছু ছবি তুললাম।টিনটিন বাবু বেশ উপভোগ করেছিল দিনটি।

BoC- line.png

IMG_20210501_170712.jpgIMG_20210501_171654.jpg

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
break.png
standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
break.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

png_20211106_204814_0000.png

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

image.png

Sort:  
 3 years ago 

টিনটিন ও তার ছোট কাকা
আলোকযন্ত্র নিকন ক্যামেরা
ব্যারাকপুর, পশ্চিমবঙ্গ।

দাদা আপনার সাথে টিনটিন বাবুর এই ছবিটি খুবই সুন্দর হয়েছে। দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি টিনটিন বাবুকে নিয়ে খুবই সুন্দর জায়গা ভ্রমন করছেন। আসলে বাড়ির ছোট বাবুদের নিয়ে ভ্রমন করার কারণে বাবুরা অনেক খুশি হয়।ছোটরা আমাদের মতো ঘরে বসে থাকতে চায় না। তারা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠতে চায়। আসলে আমাদের উচিত বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ করা। তাহলে বাচ্চাদের মনে অনেক ভালো থাকবে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল এবং টিনটিন বাবুর জন্য রইল ভালোবাসা।

 3 years ago 

ছোটদের সাথে বেড়াতে যাওয়ার মজাই আলাদা।ওদের নানারকম উদ্ভট কাজকর্ম আর ছোটাছুটি দেখলে মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তাছাড়া নদীর তীর বেড়ানোর জন্য অতি মনোরম স্থান। টিনটিন বাবুর সময়ে ভালোই কেটেছে মনে হচ্ছে। প্রার্থনা করি আপনাদের আনন্দময় ঘোরাঘুরি চলতে থাকুক সবসময়।

 3 years ago 

সত্যিই লকডাউনের সময় সবথেকে বেশি প্রভাব বাচ্চাদের মনে ও শরীরে পড়েছে।বাচ্চাদের শরীর ও মনের জন্য আলো ও নির্মল বাতাসের ভীষণ প্রয়োজন।টিনটিন বাবু নিশ্চয়ই গঙ্গার পাড়ের নির্মল হাওয়া উপভোগ করে খুবই খুশি হয়েছিল।এছাড়া দারুণ সময় পাড় করেছেন আপনারা সবাই।বাচ্চাদের মাঝে মাঝেই এইরকম প্রকৃতির কোলে সময় কাটানোর জন্য নিয়ে যাওয়া ভীষণ দরকারি।ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

দাদা আপনি ঠিকই বলেছেন ছোটদের দীর্ঘদিন গৃহবন্দি করে রাখলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। আপনারা খুবই ভালো করেছেন টিনটিন কে নিয়ে বাইরে গঙ্গার ধারে ঘুরতে গিয়েছেন। গঙ্গার ধারের নির্মল বাতাস নিশ্চয়ই সে প্রাণ ভরে উপভোগ করেছে। সে নিশ্চয়ই অনেক দিন পর খোলা পরিবেশে যেয়ে আনন্দ পেয়েছে। তার সময়টা অনেক ভালো কেটেছে, সঙ্গে আপনাদের সকলেরও ।আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

গঙ্গার ঘাটে টিনটিন বাবুর সাথে অসাধারন এবং আনন্দঘন একটি মুহূর্ত কাটিয়েছে। টিনটিন হচ্ছে আপনার কলিজার ধন তাই না দাদা এবং আমাদের ও। টিনটিন বাবুর ছবি গুলো এত সুন্দর লাগে যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না ব্লাক দাদা। আপনার এবং টিনটিনের তাকিয়ে থাকা মুভমেন্টই সেই ছিল ব্লাক দাদা। এবং আপনি অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত লিখেছেন খুবই ভালো লেগেছে। আপনাদের আনন্দঘন মুহুর্তটি আপনার সাথে আমরা উপভোগ করলাম। আপনার জন্য ভালোবাসা অবিরাম।

করোনার সময় ঘরে থাকতে থাকতে আসলে সবার মধ্যে একটি বিরক্তিকর ভাব চলে এসেছিল।আর বাচ্চাদের মাঝে এর প্রভাব পড়েছিল সবচেয়ে বেশি ।এজন্য বাইরেও বাচ্চাদের নিয়ে গেলে ভীষণ খুশি হয় । টিনটিন বাবুকে দেখে বোঝা যাচ্ছে সে নিশ্চয়ই খুব আনন্দময় কিছু সময় কাটিয়ে ছিল ।ধন্যবাদ এত সুন্দর কিছু সময়ের ফটোগ্রাফি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

জি দাদা, করোনা ভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউ আসার পূর্বে আমরাও বেশ কয়েক জায়গায় ভ্রমণ করেছি। গঙ্গা নদীর তীরে কাটানো সময়টুকু বেশ উপভোগ করেছিলেন বলে মনে হচ্ছে পোস্টটি পড়ে। গঙ্গা নদীর পবিত্র জলে সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি টি দেখতে আমার কাছে সবচাইতে ভালো লেগেছে। আর গঙ্গা নদীর জলে গোসল করলে সকল পাপ ধুয়ে মুছে যায় এটা আমি অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দেওয়ার জন্য ‌।

 3 years ago 

টিনটিন সোনার সাথে বেশ চমৎকার সময় কেটেছে আপনার বোঝাই যাচ্ছে দাদা ♥️
আর সত্যিই তাই আমরা আমাদের কাজ নিয়ে এতটাই ব্যাস্ত থাকি যে বাচ্চাদের সময় দেয়ার মতো সময় আমাদের নেই। এতে শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক সাধুবাদ জানাই ভাতিজাকে কিছুটা সুন্দর সময় উপহার দেয়ার জন্য ♥️

 3 years ago 

টিনটিন বাবু ও তার ছোট কাকু দুজনকেই অনেক সুন্দর লাগছে । সবার জন্য শুভেচ্ছা রইল। ভালোবাসা অবিরাম ❤☺🙏

 3 years ago 

করোনার কারণে অনেকটা সময় আমরা নিজেদের জীবনে বন্দী হয়ে ছিলাম। অনেককে হারালাম,তার সাথে অনেক কিছু। তবে বাচ্চাদের তখন বেশি খারাপ অবস্থা ছিল,সবসময় বাসায় থেকে একঘেয়েমি চলে এসেছিল। ধন্যবাদ দাদা,এই মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64768.36
ETH 3436.88
USDT 1.00
SBD 2.51