তকদীর একটি অসাধারণ ওয়েবসিরিজ -ব্যক্তিগত রিভিউ
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
তকদির একটি থ্রিলার পূর্ণ ওয়েব সিরিজ। এটি পরিচালনা করেছেন সাঈদ আহমেদ। এটি হইচই ও টি টি প্লাটফর্মে ১৮ ই ডিসেম্বর ২০২০ মুক্তি পায়। এই ওয়েব সিরিজ টিতে অভিনয় করেছেন তকদির চরিত্রে খ্যাতনামা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ।
সানজিদা প্রীতি নামে একটি সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফসানা আনজুম
চিত্রগ্রাহক রানা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনোজ কুমার প্রামাণিক
মন্টু চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন সোহেল মন্ডল হিটম্যান চরিত্রে অভিনয় করেছেন খ্যাতনামা গায়ক পার্থ বড়ুয়া।এছাড়া আরো অনেক অভিনয় করেছেন এবং প্রত্যেকে দারুন অভিনয় করেছেন। প্রোডাকশন কোম্পানি নয়ার এর ব্যানারে এই ওয়েব সিরিজ টি তে একটি সিজন ও আটটি পর্ব রয়েছে।
সারসংক্ষেপ বা মূল কাহিনী
তকদির বাংলা ওয়েব সিরিজে এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী কাজ। বাংলাদেশের যে কয়জন অত্যন্ত শক্তিশালী অভিনেতা আছেন তাদের মধ্যে চঞ্চল চৌধুরীর অন্যতম। ভারতের ও টি টি প্ল্যাটফর্ম এ মুক্তি পাওয়া তকদীর সত্যিই একটি অসাধারণ কাজ ।চঞ্চল চৌধুরী যিনি তকদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই ওয়েব সিরিজ তিনি নওয়াজ সাব নামে একজন ব্যক্তির আন্ডারে কাজ করেন । তকদির ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকের আত্মীয়-স্বজনের মৃতদেহ বহন করে পৌঁছে দেন তাদের বাড়ি ।এটাই তার চাকরি ,এটাই মূল কাজ।
এই কাজের পাশাপাশি তিনি লুকিয়ে আরেকটি কাজ করে থাকেন ।সেটা হচ্ছে তারই বন্ধু এবং ছোট ভাইয়ের মতো মন্টুর মাছের আড়ৎ এর মাছ বিভিন্ন বাজারে সাপ্লাই দেওয়া ।কিন্তু মৃত লাশ ডেলিভারি কোম্পানির মালিক নয় এ বিষয়টি জানেন না। এরকমই একদিন তকদির একটি পরিবারের আত্মীয়ার লাশ পৌঁছে দিয়ে ফিরছেন নওয়াজ সাহেবের কোম্পানিতে। ফেরার পথে তিনি পৌঁছে যান মন্টুর মাছের ডিপোতে ।সেখান থেকে তিনি মাছ পৌঁছে দেবেন মাছের বাজারে ।তারপর তিনি সেখান থেকে গাড়ি জমা দেবেন নওয়াজ সাহেবের কাছে। মাছ ডেলিভারি করতে গিয়েই তকদির লক্ষ্য করেন তার গাড়ির ভিতরে অপরিচিত মহিলা লাশ ।আর এখান থেকেই শুরু গল্পের টান টান উত্তেজনা।
এই লাশ কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই গল্পের প্রত্যেক টি মোড়।আসলে একজন খ্যাতনামা সাংবাদিক শরীয়তপুর সম্বন্ধে প্রতিবেদন তৈরি করতে সেখানে গিয়েছিল।একটি নারীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছিল।মেয়েটি একটি জমি দখলকে কেন্দ্র করে গণধর্ষিত হয়েছিল।এই খ্যাতনামা মহিলার সঙ্গে ছিলেন চিত্রগ্রাহক রানা ।একটি মেমরি কার্ডে ওই ধর্ষিত নারীর সাক্ষাৎকার এবং অন্যায় ভাবে বহু পরিবারকে বিতাড়িত করে অত্যাচারিত করে জমি দখলে নেয় খান গ্রুপ এবং তার সহযোগী সাইমন চেয়ারম্যান।
এটা ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় ।ফলে সাইমন চৌধুরীর লক্ষ্য থাকে যেকোনো প্রকারে এই মেমরি কার্ড উদ্ধার করা এবং সেটা উদ্ধার করতে গিয়ে মারা যান বিখ্যাত সাংবাদিক সানজিদা প্রীতি ।এরপর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে চঞ্চল চৌধুরী[তকদীর] সেই লাশ সহ গাড়ি পৌঁছে দেন ঢাকা শহরে।এরপর মেমোরি কার্ডটি হস্তান্তর করেন সানজিদা প্রীতির স্বামীর কাছে যা পরবর্তীতে প্রচারিত হয়।ফলে এই জমি দখলের কেলেঙ্কারি সামনে আসে এবং অপরাধীরা গ্রেপ্তার হয়।
শিক্ষা
এই ওয়েব সিরিজ টিতে একটি শিক্ষনীয় বার্তা রয়েছে যে অপরাধীরা একদিন উচিত শিক্ষা পাবেই।ন্যায়বিচার পাবে বঞ্চিত ও নিপীড়ন মানুষ।
ব্যক্তিগত মতামত
ব্যক্তিগত ভাবে আমি এই ওয়েব সিরিজটি কে অত্যন্ত একটি সুন্দর কাজ হিসেবে মনে করি ।পরিচালকের মুন্সিয়ানা এবং অভিনেতাদের অসাধারণ পারফরম্যান্স ওয়েবসিরিজ টিকে দারুণ জনপ্রিয় এবং সুপার ব্লকবাস্টার করেছে ।এর চিত্রনাট্য এবং গল্পের ধারাবাহিকতা অসাধারণ ছিল এবং প্রত্যেকের অভিনয় ছিল অনেক বেশি ন্যাচারাল এবং চরিত্রের সঙ্গে তারা প্রত্যেকে দারুন ভাবে মিশে গেছিলেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
আমি ব্যক্তিগতভাবে অন্যান্য বাংলা ওয়েব সিরিজ দেখার পরিপেক্ষিতে এবং সেগুলোর সঙ্গে এটির একটি তুলনা করে ১০ এর ভিতরে ৮.৫ দিলাম।
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
সিরিজটি আমি দেখেছি।আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল দাদা।সিরিজ সম্পর্কে সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন।
দুইবার দেখেছি মুভিটা।চঞ্চলের পাশাপাশি মন্টু চরিতের অভিনয়টা ছিল নজরকারা।ভালো লাগার আর উত্তেজনাপূর্ন একটা মুহুর্ত ছিল বরফকলের ভেতার।
যাইহোক,ভালো উপস্থাপন করেছেন দাদা🥰
দাদা আপনারা আমাদের এপার বাংলার কাজগুলি দেখেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। এই ওয়েব সিরিজটি দেখার খুব ইচ্ছা আমার ছিলো কিন্তু ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি দেয়ার জন্য এখন পর্যন্ত দেখা হয়নি। কিন্তু এর রিভিউ শুনেছি অনেক। চঞ্চল চৌধুরী আমাদের দেশের একজন দুর্দান্ত অভিনেতা। যেকোনো চরিত্রে সে অনবদ্য অভিনয় করে। এই ওয়েব সিরিজটির সবাই খুব প্রশংসা করেছে। খুব তাড়াতাড়ি হয়তো ওয়েব সিরিজটি দেখব। তবে আপনার রিভিউ থেকে ওয়েব সিরিজ সম্বন্ধে ভালো একটা ধারণা পেলাম। ধন্যবাদ দাদা। চমৎকার রিভিউ দিয়েছেন।
মনটুর চরিত্র টা আমার খুব ভাল লেগেছিল।আর এই ওয়েব সিরিজটাও অসাধারন ছিলো।ধন্যবাদ সুন্দর একটি রিভিউ দিয়েছেন।
তকদীর ওয়েব সিরিজ আমি দেখেছি! চঞ্চল চৌধুরী আমার পছন্দের একজন অভিনেতা তার অভিনয় আমার বেশ ভালো লাগে। আপনি চাইলে আয়নাবাজি চলচ্চিত্র এবং চঞ্চল চৌধুরীর নাটক দেখতে পারেন ইউটিউব থেকে দেখতে পারেন।
আয়নাবাজি দেখেছি । "সবার জন্য সব সত্যি আমার জন্য অভিনয়।"ব্যাপক মুভি।
ধন্যবাদ ভাই 🙂
দাদা চঞ্চল চৌধুরী মানেই চমক। তার অভিনীত সব নাটক মুভি আমি দেখেছি ছিল তার অসাধারণ একটা কাজ। খুব সুন্দর রিভিউ করেছেন।
এখন পর্যন্ত চঞ্চল চৌধুরীর সবগুলো ছবি সুপারহিট হয়েছে।তকদির তার মধ্যে অন্যতম একটি সিরিজ।সিরিজ ২ এর অপেক্ষায় রইলাম।খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে।ধন্যবাদ দাদা।
আমি মুভিটা প্রায় মনে হয় দুই বার বা তিন বার দেখেছি।এতো সুন্দর যে কি আর বলবো!!সত্যিই অপরূপ।অনেকে বলে বাংলায় আর কি হয়!তখন বলতে ইচ্ছে করে একটু এইগুলো দেখো তাহলে বুঝবে বাংলার চলচ্চিত্র আজো মরে যায়নি।
চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়ের অনেক বড় একজন ভক্ত আমি।মনপুরা সিনেমা দেখার পর থেকে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনীত সকল নাটক ও মুভি দেখতে শুরু করেছি।যদিও তকদীর ওয়েবসিরিজটি এখনও দেখা হয়নি।তবে খুব শীঘ্রই দেখব। ওয়েবসিরিজটির বিবরণ খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাংলা ওয়েব সিরিজ গুলোর মধ্যে তকদিরই প্রথম এবং এটি বাংলার ওয়েব সিরিজে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় ছিল অসাধরণ। এক লাশবাহী গাড়ির ড্রাইভাবের জীবনের সংগ্রামের কথা ফুটে উঠেছে এবং সত্যকে উন্মোচন করার যে প্রচেষ্টা সেই দিকটাও লক্ষনীয়। পাশ্ব চরিত্র হিসাবে তার বন্ধ বা ছোট মন্টুর চরিত্র দর্শকের মন কেড়েছে। এক কথায় একবসাতেই পুরো সিরিজ না দেখে ওঠার উপায় নাই