হস্তশিল্প মেলা।।নিউটাউন।।১২ ডিসেম্বর ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে ঘুরে এলাম ইকোপার্ক সংলগ্ন নিউটাউন হস্তশিল্প মেলা থেকে।এই মেলায় গিয়ে দেখলাম প্রান্তিক মানুষের মধ্যে কত ক্রিয়েটিভিটি।কিন্তু কদর নেই বলে এদের দুইবেলা খাবার জোগাড় করতে কত কষ্ট হয়ে যায়।আর আমাদের আশেপাশে কত মানুষ কোনো যোগ্যতা নেই শুধু চালাকি ও অসৎ বুদ্ধি খাটিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
যাই হোক আমরা সবাই যখন মেলায় পৌঁছলাম তখন মোটামুটি সাত টার একটু বেশি বেজে গেছে।আর মেলার অফিসিয়াল টাইম হলো রাত আট টা অবধি।কিন্তু সত্যি কথা বলতে রাত দশটা অবধি বেলায় যথেষ্ট ভিড় থাকে।আর এই মেলায় যারা জিনিস বিক্রি করতে আসে তারা সবাই মোটামুটি অনেক দূরের জেলা থেকে আসে।ফলে মেলার সব কয়টা দিন এরা এই ভাবেই স্টল এ কাটিয়ে দেয়।
নানা জিনিসের উপর এরা তাদের শৈল্পিক মনের পরিচয় দিয়েছে।কেউ কাঠের উপর দারুণ মর্তি ঘটেছে আবার মাটি আর কাছ দিয়ে তৈরি গহনা ও ঘর সাজানোর জিনিস নিয়ে এসেছে।একটা ইউনিক জিনিস দেখলাম সেটা হলো ধানের তৈরি অর্নামেন্ট।গলার হার আর কানের দুল।সত্যি মানুষের চিন্তা ভাবনা কতটা গভীর ও শিল্পসম্মত।আমরা কয়েকটা ধানের তৈরি অলঙ্কার কিনে এলাম।এরপর এগিয়ে যেতে লাগলাম আর যাই দেখে এতো ভালো লেগে যায় যে কিনতে ইচ্ছে করে।কিন্ত সেটা তো আর করা যায় না। তাও ঘর সাজানোর জন্য একটা বিশাল মা দুর্গার মাটির তৈরি poster নিলাম।দাম পড়লো ৮০০০ টাকা।করো কিছু ছোট বড় শোপিস কিনলাম ঘরের জন্য।
এরপর এগিয়ে গেলাম food park এর দিকে।আসলে কিছু না খেলে বাঙালির কোথাও যাওয়াটা ব্যর্থ হয়ে যায়।আর এখন শীতকাল তাই পিঠের স্টল তো থাকবেই।আর ফুড পার্কে ঢোকা মাত্র কয়েকটা পিঠে খেয়ে নিলাম।এরপর ডিম ডেভিল ,বাসন্তী পোলাও আর ফিশ পাতুরি।কিছু মোমো সঙ্গে চিকেন পাকোড়া।
এরপর সবাই বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।সত্যি একটা খুব ভালো সময় কাটানো হলো।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
নিউ টাউনে হস্ত শিল্প মেলায় সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দাদা।এটা ঠিকই বলেছেন এই গুনী শিল্পীদের কদর কেউ করেনা।এরা এতো সুন্দর সুন্দর কারুকাজ করেও আজ অবহেলিত হয়ে পরে থাকে।আর অযোগ্য মানুষেরা চালাকি করে অনেক বেশি ভালো থাকে।।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
সত্যি দাদা, বর্তমান সময়ে অসৎ ব্যক্তিরা চালাকের মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে অনেক টাকার পাহাড় তৈরি করছে। অথচ আমাদের চারপাশের সৃজনশীলতায় পরিপূর্ণ মানুষেরা তাদের দু মুঠো ভাত জোগাড় করতে পারছে না। যাহোক নিউটাউনের অনেক সুন্দর একটি মেলা ভ্রমণ করেছেন। নিউটাউনের মেলায় বিক্রয় করতে নিয়ে আসা বিভিন্ন প্রকারের জিনিসপত্র গুলোর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সব থেকে বেশি ভালো লাগলো আপনি মা দুর্গার মাটির তৈরি poster ৮ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন এটা জেনে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
আমরা গ্রাম্য পরিবেশ ে যে মেলা গুলো হয়ে থাকে। সেই মেলায় হস্তশিল্পের ধারা তৈরি জিনিসপত্র গুলো দেখে থাকি। দাদা আপনি আজকে নিউ টাউনে হস্তশিল্পের মেলায় গিয়ে মানুষের ক্রিয়েটিভিটি সম্পর্কে যে মনোনিবেশ করেছেন। সত্যিই তাদের কাজে যথাযথ মূল্যায়ন হয় না তবুও তারা এই ধরনের কাজকে ভালোবেসে করে যায়। মেলায় গিয়ে সেই দৃশ্যগুলো উপভোগ করেছেন। যেটা আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। খুবই ভালো লাগলো বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় যেটা হারিয়ে যাচ্ছে।
হস্তশিল্প মেলায় গেলে হাতে তৈরি অনেক জিনিসপত্র দেখা যায় এবং সেগুলো দেখলে আসলেই খুব ভালো লাগে। কিন্তু এসমস্ত ক্রিয়েটিভ মানুষদের সত্যিই কোনো কদর নেই আমাদের সমাজে। তারা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। যাইহোক মেলায় ঘুরাঘুরি করে কিছু কেনাকাটা ও করে নিলেন দাদা। তারপর বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন। আসলে কোথাও ঘুরতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া না করলে একেবারেই হয় না। যাইহোক সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দাদা। এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ ভালো একটি পোস্ট আজ দেখলাম। আমার কাছে এমন হস্তশিল্প মেলা গুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে। হাতে বানানো হাজারও রকমের ানান্দিক জিনিস ওঠে এমন মেলা গুলোতে। বেশ নিখুঁত করে এসব হস্তশিল্প তৈরি করা হয়ে থাকে। বেশ পরিশ্রমও হয়। আপনারা পরিবারের সকলেই গেলেন এমন মেলা দেখতে। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এটা সম্ভবত লেকটাউনের মেলা, যদি আমি ভুল না বলি। কেননা আপনারা সম্ভবত পুরো পরিবার নিয়েই সেখানে মেলা দেখতে গিয়েছিলেন, এটা ছোট দিদির পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম। মেলায় গিয়ে আপনার সময়টা যে বেশ ভালো কেটেছে ভাই, তা আপনার লেখা পড়েই বুঝতে পেরেছি।
শুভেচ্ছা রইল।
আসলেই দাদা এই রকম মেলায় গেলে খুব কাছ হতে গভীরভাবে উপলব্ধি করা যায় প্রান্তিক মানুষগুলো কতটা সৃজনশীল এবং কতটা দক্ষতার সাথে সব কিছু করে থাকে। আমি কাছে হস্তশিল্পের মেলাগুলো এই জন্য বেশী ভালো লাগে, ব্যতিক্রম এবং নতুন কিছু দেখা যায়। অনেক ধন্যবাদ ।
দিন দিন হস্তশিল্প কোথায় যেন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।সত্যিই প্রতিভাসম্পন্ন জিনিসের কদর কমছে,তার মধ্যেও যে এত সুন্দর হস্তশিল্প মেলা দেখতে পারবো সেটা ভাবিনি।সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো এত সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখে।কানের দুলগুলি ও মায়ের প্রত্যেকটি মূর্তি অসাধারণ ছিল।দারুণ একটা সময় পার করেছ দাদা,ধন্যবাদ।