একদিন সন্ধ্যায় কলকাতায় ।।২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি আপনাদের একটি সন্ধ্যাবেলায় কাটানো মুহূর্ত ভাগ করে নিতে চলেছি।কিছুদিন আগে হঠাৎ স্বাগতা বললো শাড়ি কিনতে যাবে তাই সাথে আমাকেই যেতে হবে।আমি বললাম আমি তো শাড়ির কিছুই বুঝিনি না তুমি অন্য কাউকে নিয়ে যাও।কিন্তু ও বললো তোমার কিছুই বোঝার দরকার নেই শুধু সাথে দেখো তাহলেই হবে।তাই দুজনে বিকেল বিকেল বেরিয়ে পড়লাম।
আমাদের গন্তব্য গড়িয়াহাট এর কনিস্ক শাড়ির দোকান।আমরা ওখানে গিয়ে খুব সহজেই কনিস্ক শাড়ির দোকানটি খুঁজে পেলাম।সঙ্গে সঙ্গে ভিতরে গিয়ে শাড়ি দেখতে শুরু করলাম।কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বেরিয়ে এলাম।কারণ শাড়ির প্রত্যেকটির দাম ২২০০০ থেকে ৫০০০০ টাকার মধ্যে।কিন্তু দামের তুলনায় শাড়ি গুলো তেমন একটা ভালো ছিলো না দেখতে।ওখান দিয়ে বেরিয়ে পাশে দেখলাম আরেকটি শাড়ির মল নাম শ্রীনিকেতন।স্বাগতা ওটাতেই ঢুকতে চাইলো।কারণ ও কখনো শ্রীনিকেতন থেকে কেনাকাটা করে না।তাই একটু নতুনত্বের জন্য ঢুকলো।
অনেক দেখার পর দুটো শাড়ি পসন্দ করলো ও।শাড়ি দুটো আসলেই খুব সুন্দর ছিলো।এরপর আমাদের বেশ খিদে পেয়ে গিয়েছিল।তাই ভাবলাম কিছু খাওয়া দরকার।আমার একটু বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছে করছিল,সেটা স্বাগতা কে বললেই ও রয়েল বিরিয়ানি তে যেতে চাইলো।কারণ ওটা খুবই ভালো বিরিয়ানি করে।ওখানে গিয়ে রেস্টুরেন্ট এর পরিবেশ দেখে আমার বেশ ভালোই লাগলো।
এরপর আমাদের খাবার অর্ডার করার পালা।আমি কোনোদিনই রেস্টুরেন্টে কি খাবার অর্ডার করবো বুঝতে পারি না তাই স্বাগতাই খাবার অর্ডার করে।অবশ্যই দাদা সাথে বেরোলে দাদা আর স্বাগতা মিলেই খাবার অর্ডার করে।বৌদি আর আমি শুধু খাওয়ায় অংশগ্রহণ করি।আর টিনটিন বাবু কোল্ড ড্রিংকস এই খুশি।
যাই হোক আমরা চিকেন টেংরী কাবাব ,চিকেন বিরিয়ানি ,রুমালি রুটি,চিকেন টেংরী কাবাব মাশালা ও একটি মাশালা কোল্ড ড্রিংকস অর্ডার করলাম।কিছুক্ষণ পরেই খাবার চলে এলো।চিকেন টেংরী কাবাব খেতে দারুণ ছিলো।বিরিয়ানি টাও ভালো ছিলো।চিকেন টেংরী কাবাব মাশালা ও ভীষণ ভালো ছিলো।
এরপর আমরা একটা সুন্দর সন্ধ্যা কাটিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম।সবাই ভালো থাকবেন।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
দাদা সবে তো শুরু। দিদির সঙ্গে থাকতে থাকতে ঠিকই পছন্দ করা শিখে যাবেন। তখন নিজেই পছন্দ করে দিদির জন্য শাড়ি কিনে নিয়ে যাবেন। খুব ভালো করেছেন প্রথম দোকান থেকে বের হয়ে এসে। একটা শাড়ির দাম এত ভাবা যায়। প্রথম যে খাবারের ছবিটি দিয়েছেন সেটি কি খাবার? দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার খাবার ছিল। যাইহোক অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা শুধু সুনামের কারণে তাদের পণ্যের দাম অতিরিক্ত রাখে। আপনারা প্রথমে যেখানে শাড়ি কিনতে গিয়েছিলেন আমার কাছে সেই প্রতিষ্ঠানটিকে তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান মনে হয়েছে। খুব ভালো একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে সেখান থেকে চলে এসেছেন। আর কেনাকাটার সাথে খাবার-দাবারের মনে হয় একটা নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমি খেয়াল করে দেখেছি বাঙালি মার্কেটে কেনাকাটা করতে গেলেই সাথে কিছু খাওয়া দাওয়া করবেই। খাবার গুলো দেখে জিভে জল চলে এসেছে। বিশেষ করে চিকেন টেংরি কাবাবটা। সময়টা ভালোই উপভোগ করেছেন বোঝা যাচ্ছে দাদা।
পূজার শপিং চলছে দাদা খুবই ভালো লাগলো। পূজা নিয়ে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করবেন আশা করছি। আসলে পূজার শপিং করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেক সুন্দর সুন্দর শাড়ি কেনা হয়েছে দেখতে পাচ্ছি। তবে শাড়ি কেনার আইডিয়া আমারও নেই। বিশেষ করে ছেলেদের শাড়ি সম্পর্কে কোন আইডিয়া থাকে না। মেয়েরা এই বিষয়টা খুবই ভালোই বুঝতে পারে। আর রেস্টুরেন্টে গেলে আমারও একই অবস্থা কি দিয়ে কি অর্ডার করবো বুঝতেই পারিনা। তখন পাশের বন্ধু থাকে কিংবা অন্য কেউ সে যেটাই অর্ডার তেই খেতে ভালো লাগে। যাই হোক দাদা আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করছি।
বাহ,সবমিলিয়ে দারুণ একটি সন্ধ্যা কাটিয়েছো দাদা দুজনে মিলে।শ্রীনিকেতন ও বেশ ভালো শপিংমল।শপিং করার পর কিছু না খেলে ঠিক জমে না।রেস্টুরেন্টটি বেশ পরিপাটি ও খাবার-দাবার ও বেশ সাজানো গোছানো।মাশালা কোল্ড ড্রিংকস খুবই সুন্দর ও লোভনীয় ছিল দেখেই বোঝা যাচ্ছে।খাবার অর্ডার করাটা বেশ ঝামেলা।
দাদা ও স্বাগতা দিদি খাবারের অর্ডার করে আর আপনি এবং বৌদি শুধু খাওয়ায় অংশগ্রহণ করেন। ব্যাপারটা অনেক ইন্টারেস্টিং। আসলেই অনেক সুন্দর একটি সন্ধ্যা উপভোগ করেছেন। আর শাড়ি কেনার বিষয়টা আস্তে আস্তে শিখে যাবেন কেবল তো শুরু। প্রত্যাশা করছি পুজোকে সামনে রেখে এরকম অনেক কেনাকাটা বারবার করতে পারবেন। সুন্দর একটি সন্ধ্যায় কেনাকাটা করতে গিয়ে অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
পোস্ট পড়ে দাদা যা বুজতে পারলাম। আপনার সাথে আমার অনেকটাই মিলে, কারণ রেস্টুরেন্টে গেলে আমি খুজে পাই না কি আর্ডার করব, পাশে বন্ধুরা থাকে, যা আর্ডার করে তাই ভাল লাগে। আধিকাংশ ছেলেদেরই একই অবস্থা, শাড়ি সমন্ধে কোন ধারণা থাকে না তেমন।
দাদা একটা সুন্দর সন্ধ্যা কাটিয়েছেন। শাড়ি কিনতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। আর দাদা খাবার গুলোও কিন্তু লোভনীয় ছিলো। আপনার সুন্দর সময় গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খাবারের ফটোগ্রাফি গুলা বেশ লোভনীয় লাগছিল, আমার কাছেও খাবার অর্ডার করার থেকে খাবার খাইতে বেশি মজা লাগে কারন আমার কাছে খাবার অর্ডার করাটা একটু বিরক্ত লাগে। সুন্দর সন্ধ্যার মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ।
প্রিয় মানুষটিকে সাথে নিয়ে যদি শাড়ি কিনতে যাওয়া হয় তাহলে বেশ ভালই লাগে। তাই তো আপু আপনাকে সাথে নিয়ে গেছেন। আপনি এবং আপু মিলে শাড়ি কিনেছেন এবং অনেক খাবার খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার অর্ডার করা সত্যি অনেক ঝামেলার কাজ দাদা। সেই দায়িত্বটি যখন আপু পালন করে তাহলে তো কোন ঝামেলাই নেই।
সব ছেলেরা শাড়ির কিছুই বুঝে না,শুধু পাশে থাকলেই হয়।😜😜হা হা।টিনটিনের মত আমার ছেলেও কোল্ড ড্রিংকস পেলেই খুশি।খাবারের অর্ডার সম্পর্কে আমি নিজেও কম বুঝি।খাবারের ছবি গুলো বেশ লোভনীয়।শাড়ি দুইটা কি কেনা হয়েছিলো? দাদা।যাই হোক সব মিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ