লেবেল -২ হতে আমার অর্জন by @ biplopali।১০% বেনিফিসারী@ shy-fox।
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় কমিটির সদস্য আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন ।আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। আজকে আমি লেবেল-২ হতে অর্জিত জ্ঞান আপনাদের সামনে তুলে ধরব। লেভেল- 2 হতে অর্জিত জ্ঞান তুলে ধরার আগে abb-school এর সম্মানিত মডারেটরগণ কে ও আমার কমিউনিটির প্রত্যেকটি সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
লেবেল -২ হতে অর্জিত জ্ঞান নিচে ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরা হলো।
১- কি নিরাপত্তা (key-security)
২ -ডেলিগেশন(delegation)
৩-পাওয়ার আপ(power up)
৪-ওয়ালেট নিয়ন্ত্রণ(wallet controlling system)
কি নিরাপত্তা। (Key- security)
আমরা ভালো ভালো পোস্ট কমেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে স্টিম এবং sbd উপার্জন করে থাকি। যদি আমাদের অ্যাকাউন্টে কোনো নিরাপত্তা না থাকে তাহলে আমাদের এই উপার্জিত অর্থ নিমিষেই চুরি হয়ে যাবে। তাছাড়া ইস্টিমেট যেহেতু একটি বিকেন্দ্রীকরণ প্রতিষ্ঠান ।তাই এখানে কোন মালিকানা নাই। সুতরাং আমাদের এই অর্থম চুরি হয়ে গেলে আমরা কোন মালিক কে ধরতে পারবো না এজন্য আমাদের কি নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একাউন্ট কি (account-key)
আমরা যখন ইস্টিমেটে কোন অ্যাকাউন্ট তৈরি করি তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি বড় key তৈরি হয় ।এই key কে বলা হয় একাউন্ট key অথবা মাস্টার key।
এখন আমরা key কে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করতে পারি।
১-পাবলিক কি।
২-প্রাইভেট কি।
পাবলিক কি (public key)
এই কি টি হলো একটি উন্মুক্ত কি এটি আমাদের সংরক্ষণ করা এমন একটি প্রয়োজন নেই।
প্রাইভেট কি (private key)
প্রাইভেট key আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি key। এই key কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ।প্রত্যেকটি keyএর জন্য একটি নির্দিষ্ট লেয়ার রয়েছে এবং প্রত্যেকটি লেয়ারের একটি নির্দিষ্ট কাজ রয়েছে।
এই key কে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
• পোস্টিং কি(posting key)
১-পোস্ট করার জন্য এই key ব্যবহার করা হয়।
২-আপভোট এবং ডাউন ভোট দেয়ার জন্য।
৩-কোন পোস্ট রি স্ট্রিম করার জন্য।
৪-কাউকে ফলো আনফলো করার জন্য।
৫-কোন অনাকাঙ্খিত পোস্ট মিউট করার জন্য পোস্টিং কি ব্যবহার করা হয়।
•অ্যাক্টিভ কি (active key)
অ্যাক্টিভ কি এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।কারণ এই কিটি হারিয়ে গেলে যে কেউ আমাদের ইস্টিমেট ওয়ালেটে জমা থাকা লিকুইড স্টিম এবংSBD সহজেই নিয়ে যেতে পারবে।
১-ট্রান্সফারের কাজে।
২-পাওয়ার অপ এবং পাওয়ার ডাউন এর কাজে।
৩-SBD এবং স্টিম কনভার্সন।
৪-উইটনেস ভোট দেওয়া।
৫-কোন এক্সচেঞ্জে ক্রয়-বিক্রয়ের অর্ডার দেওয়া।
৬-একাউন্টের সামান্য কিছু পরিবর্তন করা।
৭-নতুন ব্যবহারকারী তৈরি করা।
• অনার কি (owner-key)।
এই key আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি key। অ্যাক্টিভ key এবং পোস্টিং কি অনার key এর মাধ্যমে রিকভারি করা হয়।
•মেমো কি (memo-key)
এনক্রিপ্ট করা কোন মেসেজ পাঠাতে অথবা কোন মেসেজ দেখতে মেমো কি ব্যবহার করা হয়।
মাস্টার পাসওয়ার্ড।
মাস্টার পাসওয়ার্ড দিয়ে সকল ধরনের কাজ করা যায় ।অর্থাৎ সকল কি এর কাজ আমরা মাস্টার পাসওয়ার্ড দিয়ে করতে পারব।
মাস্টার পাসওয়ার্ড নিরাপদ সংরক্ষণ।
প্রথমে মাস্টার পাসওয়ার্ড টি গুগল ড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখতে পারি। এছাড়া মাস্টার পাসওয়ার্ডটির যে পিডিএফ ফাইল তৈরি হয় সেই ফাইলটি এনক্রিপ্ট করে পেন ড্রাইভে রেখে দিতে পারি।
পাওয়ার আপ করার কারণ।
আমাদের একাউন্টের ভ্যালু বৃদ্ধি করার জন্য আমরা পাওয়ার আপ করে থাকি। এছাড়া পাওয়ার আপ করার ফলে আমরা যখন অন্য কাউকে ভোট দেবো তখন সেই ভোটের একটি ভ্যালু থাকবে।
পাওয়ার আপ করার পদ্ধতি।
প্রথমে আমরা বাই স্টিম এ যাব পরবর্তীতে পাওয়ার আপ অপশন আসবে সেখানে ক্লিক করব। নিচে দুটি পিকচার এর মাধ্যমে পাওয়ার আপ করা দেখানো হলো।
মেমো ফিল্ডের কাজ।
আমি যখন কোন মেসেজ এর মাধ্যমে কোন গিফট অথবা ট্রানস্ফার করতে চাই তখন মেমো ফিল্ডের ব্যবহার করব।
ডেলিগেশন কেন করব।
১-steemit এ ভালো ভালো কনটেন যারা তৈরি করে তাদেরকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য তাদেরকে উৎসাহ প্রদান করার ফলে ইস্টিমেট গুগোল রেংকিং এ উপরের দিকে আসবে ফলে স্টিম এর দাম বৃদ্ধি পাবে যা আমাদের সকলের জন্যই ভালো।
২-আমাদের অ্যাকাউন্টে কম এসপি থাকলে।
৩-সঙ্গবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য।
৪-কম এসপি থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ মুনাফা পাবার জন্য ডেলিগেশন করব।
ডেলিগেশন করার নিয়ম।
ডেলিগেশন দুটি পদ্ধতিতে করা হয়ে থাকে ।আমি সাধারণত স্টিম ওয়ার্ল্ড এর থেকে করে থাকি ।প্রথমে স্টিম world.com এ ঢুকতে হবে। পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো নিচে ছবির মাধ্যমে দেখানো হলো।
ডেলিগেশন ক্যানসেল করার নিয়ম।
সাধারণত ডেলিগেশন করা 5 দিন পরে ডেলিগেশন কার্যকর হয়। ঠিক একই ভাবে ডেলিগেশন ক্যানসেল করা 5 দিন পরে ডেলিগেশন ক্যান্সেল হবে।
- 0 লিখে দিয়ে ডেলিগেশন করলে ডেলিগেশন ক্যান্সেল হয়ে যাবে।
@Heroism কে 200 এসপি ডেলিগেশন করেছি পরবর্তীতে 100 এসপি যদি ডেলিগেশন করতে চাই তাহলে আমাকে লিখতে হবে সর্বমোট 300 এসপি।
ওয়ালেট নিয়ন্ত্রণের নিয়ম।
১-ওয়ালেটে যে নির্দিষ্ট কি গুলো যে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য আছে সেই নির্দিষ্ট লেয়ার এর জন্য নির্দিষ্ট কি ব্যবহার করতে হবে। মাস্টার কি কখনোই ব্যবহার করা ঠিক হবে না।
২-মাস্টার পাসওয়ার্ড একটি নির্দিষ্ট স্থানে সেভ করে রাখতে হবে। এছাড়া গুগোল ড্রাইভের সেভ করে রাখতে হবে।
৩-অপরিচিত কোন ওয়েবসাইটে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা যাবেনা।
৪-এমন কি জিনিস স্টিমেটে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে তাকেও এই পাসওয়ার্ড দেখানো যাবে না।
৫-একাউন্ট রিকভারি 30 দিনের মধ্যে করতে হবে।
লেভেল 2 হতে প্রত্যেকটি বিষয়ে আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। এবং দেখে বোঝা যাচ্ছে লেভেল টু এর প্রত্যেকটি বিষয় খুব ভালোভাবেই আপনি আয়ত্ত করেছেন। এবং লেভেল টু এর ট্যাগ পেয়ে গেছেন। এগিয়ে চলো এভাবে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এবিবি স্কুলের level-2 থেকে আপনি যা অর্জন করেছেন সেগুলো আমাদের মাঝে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। শিখতে থাকুন আর এগিয়ে যান।
ধন্যবাদ আপনাকে।
লেভেল টু এর ক্লাস থেকে অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পেরেছেন ।আপনার অর্জিত জ্ঞানের আলোকে অনেক কিছু আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। যেটার দ্বারা অনেকে উপকৃত হবে আমার কাছে আপনার পোস্টটি খুবই ভাল লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাই আমার বাংলা ব্লগের প্রতিটি লেভেল থেকে আমরা যথেষ্ট পরিমাণ জ্ঞান অর্জন করতে পারি যা ধরা স্টিমেট প্লাটফর্মে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারবো।
অর্জিত কোন কিছু হয়না বর্জিত এই কথাটা আমি সবসময় বলি। আপনার অর্জন পরে আপনারই কাজে লাগবে, এটি কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। এজন্য লেগে থাকুন এবং এবিবির ক্লাস করে নিজেকে গড়ে তুলুন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।