ঝরা পাতা। ১০% বেনিফিশিয়ারি@shy-fox এবং 5 % বেনিফিশিয়ারি@ abb-school.
আগে একটা সময় ছিল যখন নিজের লেখাকে ডায়েরির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই পদ্ধতির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আগে যেমন আমরা শুধু বই পড়ে জ্ঞান আহরণ করতাম এখনও করি কিন্তু এই ব্যবস্থার সাথে আরো নতুন নতুন জ্ঞান আহরণের মাধ্যম যোগ হয়েছে। ঠিক তেমনই একটি মাধ্যম হলো স্টিমেট প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে যদি থাকে নিজের মাতৃভাষায় ব্লগিং করার মতন একটি কমিউনিটি তাহলে তো কথাই নেই। সেই কমিউনিটিতে হল আমার বাংলা ব্লগ।এই মাধ্যম ব্যবহার করে আমরা যেমন আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি ঠিক তেমনি আমরা অন্যের কন্টেন পড়ে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করতে পারি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদের সামনে সুন্দর একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। সেই গল্পটির নাম হল ঝরাপাতা।চলুন তাহলে গল্পটা শুরু করা যাক।
ঝরা পাতা
যখন আমরা একটি বৃক্ষের বীজ রোপন করি তখন সেটাকে আমরা খুব যত্ন করি। প্রতিদিন পানি দেই চারিপাশে ঘিরে দেই যাতে কোনো কিছুতে সেই গাছটিকে নষ্ট না করতে পারে। এভাবে কয়েক দিন কয়েক মাস যেতে থাকে এবং বৃক্ষটি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। একটি পর্যায়ে গাছটি পরিপূর্ণতা লাভ করে। ফলশ্রুতিতে গাছটিতে ফুল আসে ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে আবার এই ফুল থেকেই গাছে ফল আসে।
ডিভাইস-Samsung galaxy A12
https://what3words.com/backers.ship.brownish
আর এই ফল থেকেই আমরা আমাদের প্রয়োজন মিটিয়ে থাকি। এভাবে আস্তে আস্তে করে বৃক্ষটি তার সবকিছু দিয়ে যায় আমাদের উজার করে। একটি পর্যায়ে বৃক্ষটির বয়স হয়ে যায় অনেক ।সে ঠিকঠাক মতো ফল দিতে পারেনা যদিও বা ফল দেয় সেই ফল ভালো হয় না কখনো বা পোকা হয়। এক কথায় বলতে গেলে বৃক্ষের উপযোগিতা আমাদের কাছে কমে যায়। এর পরবর্তীতে বৃক্ষের শাখা-প্রশাখা সবকিছুই আস্তে আস্তে শুকিয়ে যেতে থাকে একটি পর্যায়ে বৃক্ষের পাতা গুলা ঝরতে শুরু করে। এই ঝরা পাতাগুলোর আমাদের কাছে কোন মূল্য থাকে না ।তাই আমরা এগুলোকে হয়তোবা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করি না হয় ফেলে দেই। এক কথায় বলতে গেলে বৃক্ষটি তখন আমাদের কাছে একেবারে মূল্যহীন হয়ে পড়ে।
ঠিক তেমনি মানুষের জীবন ঝরাপাতার মতনই। একটি শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তখন তার বাবা-মা খুব আদর যত্ন করে তাকে বড় করে তোলে। প্রাথমিকের গণ্ডি পার হয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে যায়। মাধ্যমিকের পর্যায় পার হয়ে পরবর্তীতে কলেজ ভার্সিটি লাইফ শেষ করে ।এর পরবর্তীতে তার সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে সে সমাজের প্রতিটি স্থানে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। একটি পর্যায়ে যে তার বয়স হয়ে যায় অনেক ।সমাজে তার কদর আস্তে আস্তে কমতে থাকে। এভাবে করে একটি পর্যায়ে তার কদর এমন হয় যে, সে সকলের কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়ে। এক কথায় সে সমাজের বোঝা হয়ে পড়ে তখন আর তার কোন মূল্য থাকে না। এভাবেই মানুষের জীবন এবং ঝরাপাতা একই সূত্রে গাঁথা।
কিছুদিন আগে বাংলা চলচ্চিত্রের এক পরিচিত মুখ প্রবীর মিত্র তিনি বলেছিলেন যে আমি এখনো এখনো এফডিসিতে যেতে চাই শুটিং করতে চাই কিন্তু ওরা আমাকে এখন আর শুটিং করতে নেয় না।
আমি মোঃ বিপ্লব আলী। স্টিমিটে আমি@biplopali নামে পরিচিত। আমি পেশায় একজন চাকরিজীবী। আমি নিজেকে বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি অবসর সময়ে লেখালেখি করতে এবং ড্রইং করতে খুব পছন্দ করি।
খুব সুন্দর বলেছেন আসলে আমাদের জীবনটা এমন কখন ও পাতার মতো ঝরে যায় আবার কখনো সময়ের পালাবদলে নতুন করে গজিয়ে ওঠে। সুন্দর ছিল আপনার লেখনি চালিয়ে যাবেন এভাবেই শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জীবনে শুধুমাত্র পরিবর্তন স্থিতিশীল। সত্যিই বলেছেন, ঝরা পাতার মতো মতোই আমাদের পৃথিবীতে আসা ও কিছু সময় ধরাধামে কাটিয়ে চলে যাওয়া।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।