আমার প্রতীক্ষায় আছো শুধু তুমি। ১৫% বেনিফিসারীshy-fox এবংabb-school.
প্রিয় কমিউনিটির সদস্য ,আশা করি আপনারা সকলেই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় ।আজকে আমি আবারও আপনাদের সামনে সুন্দর একটি ছোটগল্প নিয়ে উপস্থিত হলাম। আসলে আমি আমার গল্পগুলোকে সব সময় সংক্ষেপে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। কারণ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই গল্পের যে মজা গুলো থাকে সেটি আমি সব সময় আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। আমি যখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি তখন থেকেই কিছু লেখার চেষ্টা করতাম ।কিন্তু সেই লেখাগুলো কারো সামনে কখনো প্রকাশ করা হয়ে ওঠেনি সেগুলো পড়ার টেবিলের বই খাতার মাঝেই লুকিয়ে রাখতাম। কারণ সবসময় ভাবতাম আমার গল্পগুলো মনে হয় ভালো হবে না আজও তেমনি ভাবি। কিন্তু ধারণার কিছুটা পরিবর্তন এনেছি কারণ হলো এই যদি আমি গল্পগুলোর লেখে পড়ার টেবিলে বা কাগজের ফাঁকে রেখে দেই তাহলে আমার এই প্রতিভা গুলা পড়ার টেবিলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু আমি চাই আমার গল্পগুলো সবাই পড়ুক এবং তারা ভালো কিছু অনুভব করুক।
প্রথম যেদিন রাকিব কলেজে যাই সেদিন খুব উৎসাহের সাথেই সে কলেজে প্রবেশ করেছিল। কলেজে প্রবেশ করার পরে ক্লাস গুলো খুব মনোযোগ সহকারে করল। এর মধ্যে একটি স্যার ছিল রাকিবের পূর্ব পরিচিত। সেই স্যার রাকিব কে দেখে বলল রাকিব তুমি এই কলেজে তারপরে রাকিব বলল হ্যাঁ স্যার আমি নতুন করে এখানে ভর্তি হয়েছি। রাকিব খুব মেধাবী ছিল তাই রাকিবকে স্যার সুনজরে দেখতো । এভাবে একদিন দুইদিন করে ক্লাস গুলা করতে লাগল হঠাৎ করে রাকিবের ক্লাসে নতুন একটি মেয়ে আসলো। মেয়েটি দেখতে অনেকটা শ্যাম বর্ণের ছিল তবে খুব স্মার্ট ছিল এবং ঝটপট কথা বলতো।
মেয়েটির নাম ছিল সুবর্ণা। এদিকে রাকিব বন্ধুবান্ধবের সাথে খুব হাসি রহস্য ও ঠাট্টা করতে পছন্দ করত সবকিছু মেয়েটির চোখে ধরা পরল। এবং সুবর্ণা মনে আস্তে আস্তে রাকিবকে পছন্দ করতে শুরু করলো। রাকিব এসব বিষয়ে কিছুই ভাবতে না কারণ সে সবসময় পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতো। কিন্তু একটি পর্যায়ে রাকিব এবং সুবর্ণার মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। তাদের মধ্যে প্রায় কথা হত এবং একটি পর্যায়ে যে তারা খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায়। এদিকে সুবর্ণার সাথে রাকিবের কথা না হলে ভালো লাগতো না। তখন রাকিব বুঝতে পারলেন ভালোবাসার অনুভূতি কিছুটা। যাইহোক একটি পর্যায় দুজন দুজনকে ভালবাসতে শুরু করল। এভাবেই নানা খুনসুটি ও তাদের মধ্যে খুব ভালোভাবেই সম্পর্কটা চলতে থাকে ।কেউ কাউকে না দেখে একনজর থাকতে পারেনা। এভাবে দুইটি বছর কেটে গেল এবং তাদের কলেজ জীবন শেষ হয়ে গেল। পরবর্তীতে রাকিব ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। এখনো ত
রাকিব সুবর্ণাকে আগের মতই ভালবাসে। কিন্তু সুবর্ণা রাকিবকে তেমন একটা আগের মত পাত্তা দিত না জানিনা কি কারনে। এজন্য রাকিব মাঝে মাঝে মন গম্ভীর করে থাকতো। পড়াশোনায় একটু অমনোযোগী হয়েছিল। এভাবে রাকিব বারবার সুবর্ণাকে ফোন দেয় ফোন ধরত না। মেসেজের উত্তর দিত না সবকিছুই দেখে রাকিব একেবারেই ভেঙে পড়ে। একটি পর্যায়ে যে দুজনের এই ভালোবাসার সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। রাকিব সব সময় সুবর্ণাকে ভালোবাসতো এবং ভালোবাসে। তাই রাকিব সুবর্ণার প্রতীক্ষায় আছে। এভাবে করে এক বছর দুই বছর করে পার হয়ে রাকিব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে একটি চাকরি পায় কিন্তু তখনও সুবর্ণার সাথে তার আর কোন কথা হয়না। হঠাৎ একদিন বাসের মধ্যে রাকিব এবং সুবর্ণা দেখা হল। প্রথমে রাকিব সুবর্ণাকে দেখে চিনতে পারছিল না পরবর্তীতে সুবর্ণা নিজেই পরিচয় দিল তার। দুজনে কথা বলতে বলতে রাকিব সুবর্ণাকে বলল তোমার বিয়ে হয়নি। তখন সুবর্ণ বলল-হ্যাঁ বিয়ে হয়েছিল কিন্তু সেখানে বেশিদিন সংসার করা হয়নি পরবর্তীতে আমি আমার বাপের বাড়িতে চলে আসি। এখন রাকিব বললো যে আমি তোমার সাথে কতবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনভাবেই করতে পারিনি। সেই থেকে আজও আমি তোমার প্রতীক্ষায় আছি। পরবর্তীতে সুবর্ণা তার গন্তব্য স্থানে পৌঁছে গেল এবং রাকিবকে কিছু না বলেই বাস থেকে নেমে চলে গেল। কিন্তু রাকিবের অপেক্ষা আর শেষ হলো না। এরপর আর সুবর্ণার সাথে রাখিবে দেখা হলো না কিন্তু রাকিব তার অপেক্ষায় এখনো আছে।
আমার প্রতীক্ষা শুধু তুমি গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ।কলেজ লাইফে এই ধরনের গল্প কাহিনী সবারই কম বেশি হয়ে থাকে। এই ধরনের রোমান্টিক গল্প করতে আমার খুব ভালো লাগে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ওয়াও! আপনার লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক গুছিয়ে লিখতে পারেন। আপনার লেখার মধ্যে প্রফেশনাল লেভেলের কিছু আর্ট দেখলাম। আপনার লেখা লেখি চালিয়ে যান। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
আমার ভালো লাগার জায়গা থেকেই লেখালেখি করে থাকি। ধন্যবাদ আপনাকে
বেশ ভালোই লিখেছেন।এমন করেই কতো রাকিব অপেক্ষার প্রহর গুণে।
ধন্যবাদ আপনাকে।