বৃষ্টিতে স্বস্তি।১৫% বেনিফিসারী@shy-fox, abb-school.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

|৭ বৈশাখ| ১৪২৯ বঙ্গাব্দ|২০ই এপ্রিল| ২০২২ খ্রিস্টাব্দ|

আসসালামু আলাইকুম /আদাব

image.png

Source

প্রিয় কমিউনিটির সদস্য, আশা করি আপনারা সকলেই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছেন ।আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। ভালো না থাকলেও নিজের থেকে ভালো থাকার চেষ্টা করতে হয় আমাদেরকে। কারণ সকলেই চাই নিজেকে ভালো রাখতে মানুষের সামনে। যদিও গুটিকয়েক মানুষ এর ব্যতিক্রম হয়ে থাকে কিন্তু তাদের জন্য অনেক কষ্ট হয়ে যায় এই সমাজে টিকে থাকতে। সমাজে টিকে থাকতে হলে প্রতিটি মুহূর্তই নিজেকে পরিবর্তনশীল অবস্থার সাথে মানিয়ে নিতে হয়। তা না হলে এই সমাজ আপনাকে ছিটকে ফেলে দিবে। যদি এই সমাজে টিকে থাকতে হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই সমাজের সাথে মিশে যেতে হবে তা না হলে এই সমাজ থেকে আপনাকে সরিয়ে নিতে হবে। ঠিক এমনই একটি অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানিনা এই সমাজের পরিবর্তন আসবে কবে কখন কার হাত ধরে। শুধুই এই সমাজের এই পরিবর্তনের জন্যেই অপেক্ষা করে যাচ্ছি। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর আর শেষ হচ্ছে না কবে যে শেষ হবে তাও বুঝতে পারছি না। তবে সমাজের এই অবস্থার পরিবর্তন হোক এই আশা সব সময় করে যাচ্ছি।যাই হোক মূল আলোচনার দিকে যাওয়া যাক।

image.png

Source

আজকে আমি এই তীব্র গরমের মধ্যে বৃষ্টির আবির্ভাব এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।বিগত কিছুদিন যাবৎ তীব্র গরম পড়েছে। গ্রাম থেকে শহর শহর থেকে গ্রাম সবখানের মানুষই গরমের জন্য অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। এই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে সকল মানুষ হাই হুতাশ করছে। আবার এদিকে রমজান মাস এই তীব্র গরমের মধ্যে রোজা রাখা সবার জন্যই কষ্টকর। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় রোজা রাখার ফলে সকলেই পানি পিপাসার বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন। এই তীব্র গরমের মধ্যে সবাই বৃষ্টির জন্য একটু আশা করছিল কিন্তু বৃষ্টি ধরা দিয়েও যেন ধরা দিচ্ছিল না আর গরমের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। যদিও বৈশাখের প্রথম দিনে উল্টাপাল্টা বাতাস সাথে দু'এক ফোঁটা বৃষ্টি অনুভব করা গিয়েছিল কিন্তু সেই বৃষ্টি মানুষের গরমের ক্লান্তি দূর করতে পারেনি। তাই আমরা সকলেই বৃষ্টির জন্য খুব আশা করছিলাম। আজ সকাল থেকেই বৃষ্টির কিছুটা ভাব অনুভব করছিলাম। একই সাথে হালকা বাতাস চারদিকে ।

image.png
Source

সকাল থেকেই থেমে থেমে এভাবে বৃষ্টি নামতে থাকলো। কিছু সময় বৃষ্টি হয় আবার কিছু সময় রোদ্রের কিছুটা ভাব দেখা গিয়েছে তবে রদ্র খুব বেশি উঠেনি। সারাদিন যেন আকাশ গম্ভীর হয়ে ছিল। কিন্তু এই বৃষ্টি স্বস্তির সুবাতাস বয়ে নিয়ে এসেছিল আমাদের জন্য। বৃষ্টির প্রভাবে দুপুরের দিকে শরীরটা খুব ঠান্ডা হয়ে গেল এবং হালকা হালকা শীত লাগলো। সত্যিই অসাধারণ লাগছিল। তাই আজকে দুপুর টা একটু অন্যরকম কেটেছিল। এরপর দুপুর গড়িয়ে বিকাল আসলো বিকাল গিয়ে সন্ধ্যা আসলো সুন্দর মত ইফতারি করলাম । পরবর্তীতে কিছু সময় রেস্ট নিলাম। তার পরবর্তীতে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সে জন্য প্রথমে বাসা থেকে নেমে একটি রিকশায় করে বাসস্ট্যান্ডে আসলাম। এর পরবর্তীতে বাসে উঠলাম। এবং আসার সময় বাসের মধ্যে তেমন একটা শীত অনুভব করিনি। কিন্তু যখন বাস থেকে নামলাম তখন ভালোই শীত অনুভব করছিলাম। এবং রাস্তার দিকে তাকাতেই পানি বেঁধে থাকতে দেখলাম সেটা দেখে বুঝতে পারলাম যে বৈশাখের বৃষ্টির ছোঁয়া এখানেও লেগেছে।

image.png

Source

যাইহোক একটা রিকশা ডাক দিলাম নাওজোর থেকে বাইপাসে আসার জন্য।বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে একটি রিকশা পেলাম। রিক্সা টি আমাকে নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে শুরু। সামনের দিকে যতই অগ্রসর হচ্ছিল আমার শরীর ততই হিমশীতল হয়ে আসছিল মনে হয়েছিল যে আমি তীব্র শীত অনুভব করছি। এর পিছনে কারণ ছিল সেটা হল বৃষ্টি পরিবেশকে অনেক ঠান্ডা করে দিয়ে গেছে। যা প্রভাব আমি রিকশায় উঠে অনুভব করতে পারছিলাম ‌। যাই হোক এভাবে করে সামনের দিকে অগ্রসর হলাম এবং বাসায় এসে পৌঁছালাম। আগে ভাবছিলাম হয়তো বা আমার কিছু সমস্যার কারনে আমি শীত অনুভব করছি। কিন্তু বাসায় এসে আমার ধারণাটি পাল্টে গেল। কারণ আমি এখানে যে বাসায় থাকি সেটি একটি ফ্যামিলি বাসা এর পাশের রুমের একটি বাবুকে দেখলাম বড় মোটা গেঞ্জি পরিয়ে রাখছে। এটা দেখে আর আমার বুঝতে বাকি থাকল না যে আজকের বৃষ্টি পরিবেশটাকে হিমশীতল করে দিয়ে গেছে এবং মানুষের জীবনে স্বস্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়ে গেছে। এরপর ঘরে এসে বিশ্রামের জন্য একটু শুলাম কিন্তু দূর থেকে একটি আওয়াজ ভেসে আসছিল আমি একটু খেয়াল করতেই বুঝলাম যে ব্যাঙগুলো ডাকছে সত্যিই প্রকৃতি সময়ের সাথে সাথে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়। যেমন আজকের বৃষ্টিতে একদিকে যেমন পরিবেশ হিমশীতল হয়েছে অন্যদিকে ব্যাঙের ডাক শোনা যাচ্ছে সবকিছুই প্রকৃতির কারণেই হয়েছে। সত্যি বলতে কি এই বৃষ্টি একদিকে যেমন গরমের ক্লান্তি দূর করেছে অন্যদিকে আমাদের স্বস্তি প্রদান করেছে । যদিও অন্যদিকে কৃষকেরা একটু ভয় ভয় রয়েছে কারণ যদি বৃষ্টির সাথে শীল পরে তাহলে তাদের ধানক্ষেত একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে। তাদের সারা বছরের সকল পরিশ্রম বৃথা হয়ে যাবে। এছাড়া আকাশ গম্ভীর হয়ে থাকলে ধান পাকতে একটু অসুবিধা হবে। সব মিলিয়ে বলা যায় যে পরিবেশের উপাদান কখনো কারো জন্য আশীর্বাদ নিয়ে আসে আবার এই উপাদানই অন্য কারো জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif
@biplopali

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAHkykY3jBdZmCxJjk6ztifZuRFBV7zoGPBbLN7Lkye6VFmom81baPfeUCEyY7A...YVvDBETk3mJPgn7FZvEHUXrxkZzx8XXwvxZ1XaAXaUKMY1J4Jnwp1qFNdww2VMXKd9tbLkXzNUZiDGZRtCm2dynbYGBzJduBamEPX9ALJK2XX9TDqYeaKh8Gtd.gif

Sort:  
 2 years ago 

জ্বী ভাই আজকে একটু স্বস্তি পেলাম খুবিই ভালো একটি দিন গেছে।আমরা যারা রোজা ছিলাম বিশেষ করে তাদের ঈদের দিন গেছে।সব মিলিয়ে আজকে ভালো সময় কাটছে আর আপ্নিও দুন্দর একটি পোস্ট করছেন ধন্যবাদ ভাই

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে।

চার দিকে যখন গরম আর গরম, গরমে মানুষের অতিষ্ঠ অবস্থা আজ বৃষ্টিতে সেই গরমের অবসান ঘটলো। আপনি ঠিকই বলেছেন বৃষ্টিতেই স্বস্তি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আসলেই ভাই একদম ঠিক বলেছেন, এই তীব্র গরমের মধ্যে এই বৃষ্টিটা যেন একটা শান্তি নিয়ে আসলো আমাদের মাঝে। আজকে সারাটা দিন পরিবেশটা এত ঠান্ডা ছিল যে সারাদিন রোজা থাকার পরেও একটু ক্লান্তি বোধ মনে হয়নি।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে।

বৃস্টি মানে আনন্দ,বৃস্টি নতুন সজীবতা,, আর এই বৃস্টি নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট লেখেছেন।খুব ভালো লাগলো

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 57027.00
ETH 2353.59
USDT 1.00
SBD 2.38