হঠাৎ দেখা হয়েছিল তোমার সাথে। ১৫% বেনিফিসারী@shy-fox, abb-school.
আসসালামু আলাইকুম/ আদাব। |
---|
প্রিয় কমিটির সদস্য, আশা করি আপনারা সকলেই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। আজকে আমি আপনাদের সামনে সুন্দর একটি গল্প নিয়ে উপস্থিত হলাম। আসলে গল্প বললে একটু ভুল হবে ।বলতে হবে ছোট গল্প। কয়েকদিন যাবত একটানা খুব খাটুনি যাচ্ছে একেবারেই শরীরের সঙ্গে হচ্ছে না তার পরেও সবকিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। মানিয়ে না নিয় কি উপায়। যদি পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারি তাহলে তো চলবে না। তাই সব সময় চেষ্টা করছি নিজেকে এই পরিবর্তনশীল অবস্থার সাথে মানিয়ে নিতে। একদিকে রোজা আবার আর একদিকে একটা না ডিউটি। সবমিলিয়ে নাজেহেল অবস্থা তারপরেও কিছু বলার নেই। যাই হোক মূল গল্পটি দিকে ফিরে আসা যাক। আজকে আমি যে গল্পটি বলবো সেটি হল হঠাৎ দেখা হয়েছিল তোমার সাথে।
রাফি খুব শান্তশিষ্ট স্বভাবের একটা ছেলে পড়াশোনা পড়াশোনার বাইরে ঘর থেকে খুব একটা বের হতো না। বিকালবেলা ঘরেই থাকতে বেশি পছন্দ করতাম কিন্তু আস্তে আস্তে রাফির মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেল। রাফি এখন বন্ধু-বান্ধবের সাথে একটু একটু মেলামেশা শুরু করলো। রাফি বিকাল হলে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা আড্ডা এগুলো শুরু করলো। হঠাৎ রাফিন মধ্যে এত বড় পরিবর্তন দেখে সকলেই একটু অবাক হয়েছিল। বিশেষ করে রাফির বন্ধুরা একটু বেশি রাফির এই ঘোরাঘুরি বিষয় নিয়ে মাথা ঘামিয়ে ছিল। রাফি যে এলাকায় থাকতো সেই এলাকাটা ছিল শিল্প অঞ্চল এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে কাজ করতো অনেকে আবার এখানে ভাড়া থাকতো। এই সুবাদে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের এখানে আসা-যাওয়া করত। হঠাৎ এক বিকেল বেলায় রাফি ঘুরতে বের হয় তখন বাতাসে চুল উড়িয়ে একটি মেয়ে আসছিল এটি দেখে রাখি একটানা তার দিকে তাকিয়ে থাকলো। পাশের রাফির এক বন্ধু ছিল। সে রাফিকে চিমটি কেটে বলল কি হয়েছে মামা তুমি এক নজরেই মেয়েটির দিকে তাকিয়ে রয়েছে কি ব্যাপার তুমি তো এমন না।
তখন রাফি একটু মুচকি হেসে বলল আরে মেয়েটিকে আমার প্রথম দেখাতেই পছন্দ হয়েছে। এখন মেয়েটি হেঁটে তার বাসায় চলে গেল । রাফি ও পিছনে পিছনে গিয়ে মেয়েটির বাসা কোথায় সেটার খবর নিল। এই দিন রাফি বাড়িতে ফিরল।
রাফির চিন্তা-চেতনায় মেয়েটি বিশাল একটি জায়গা দখল করে নিয়েছিল। তাই মেয়েটির নাম জানার জন্য রাফি পাগলের মত হয়ে গেল কিভাবে মেয়েটির নাম জানা যায়। পরিশেষে রাফি তার এক বান্ধবীকে ঠিক করলো মেয়েটির নাম জানার জন্য। কিন্তু এই বান্ধবীও রাফিকে মনে মনে একটু একটু পছন্দ করতো কিন্তু বলতে পারতো না। অবশেষে রাফির অনুরোধে রাফির বান্ধবী মেয়েটির নাম বলল। মেয়েটির নাম ছিল সুমি। তো মেয়েটির নাম শুনে রাফি বেশ খুশি হলো। বান্ধবী আরো কিছু তথ্য দিলো সেটা হল মেয়েটি প্রতিদিন প্রাইভেট পড়ে বিকাল ৪ টার দিকে বাসায় আসে। সেই মোতাবেক রাফি প্রতিদিন বিকাল চারটায় সেখানে গিয়ে মেয়েটির জন্য অপেক্ষা করতো। রাফি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকতো আর ওকে নিয়ে একটু একটু করে স্বপ্ন বোনতো। কিন্তু কখনোই রাফি মেয়েটিকে বলতে পারিনি আমি তোমাকে ভালোবাসি এমনকি মেয়েটির সাথে একবারের জন্য কথা বলতে পারিনি। এর পিছনে একটাই কারন ছিল রাফি ছিল একটু লাজুক স্বভাবের। এজন্য রাফির বন্ধুরা রাফিকে অনেকবার বলেছে মামা মেয়েটিকে পছন্দ করো তাহলে একবার ওকে বলেই দেখো আমি তোমাকে ভালোবাসি। রাফি কারো কথা না শুনে প্রতিদিনই মেয়েটির জন্য অপেক্ষা করতে লাগল এবং মেয়েটিকে একতরফা ভালবাসতে লাগলো। সুমিও প্রতিদিন রাফিকে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতো এবং সুমিও ফলো করতো যে রাফি সব সময় সুমির দিকে তাকিয়ে থাকতো। সুমি ও ছিল একটু সাহসী টাইপের মেয়ে। তাই একদিন রাফিকে সুমি সাহস করে বলে ফেলল আপনি প্রতিদিন এখানে দাঁড়িয়ে থাকেন কেন। রাফি বলল এমনি দাঁড়িয়ে থাকি। তখন সুমি বলল আমি কিন্তু আপনাকে ফলো করেছি আপনি আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন। এখন রাফি একটু কাঁপতে কাঁপতেই বলে ফেলল হ্যাঁ আপনার দিকে তাকিয়ে থাকি। এভাবে দু এক কথায় রাফি এবং সুমির মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়। যাই হোক এরপর থেকে রাফি
এবং সুমির মধ্যে প্রায় কথা হত এবং তাদের মধ্যে খুব সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়ে উঠলো। এখনো এই সম্পর্কের নাম দেয়া হয়নি। তাই বেশ কিছুদিন পরে তারা দুজন অনুভব করলো যে তারা একে অপরকে ভালবাসে। এভাবেই সম্পর্ক ভালবাসায় পরিনত হয়। বেশ ভালোই চলছিল রাফি এবং সুমীর সময়। কিন্তু হঠাৎ একদিন বিকেলে রাফি আর সুমিকে দেখতে পায়না। রাতে খুব টেনসনে পড়ে গেল ঐদিন আর রাফি কোন খোঁজ খবর নিল না। পরের দিন বিকেলে আবার রাফি সুমির জন্য অপেক্ষা করছে কিন্তু সুমির সাথে রাফির আর কোনো দেখা হলো না। তখন রাফি নিজে থেকেই সুমির বাসার সামনে গেলেন সেখানে গিয়ে রাফি শুনতে পারল সুমিরা এই শহর ছেড়ে চলে গেছে। আসলে সুমি কোন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো না। কারণ সুমির পরিবার থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ছিল । এজন্য রাফি যখন শুনলো সুমি এই শহরে নেই তখন রাফির মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। এভাবে বেশ কয়েকদিন রাফি অপেক্ষা করতে লাগল সুমির জন্য। কিন্তু সুমির আর কোনো খোঁজ পেল না রাখি। তাই রাফি মনে মনে ভাবছিল হঠাৎ দেখেছিলাম তোমায় আবার হঠাৎই তুমি চলে গেলে আমায় একা রেখে।
এমন সুন্দর পোস্ট গুলো পড়তে খুবই ভালো লাগে। এ থেকে অন্যের কথা জানতে পারা যায়,কিছুটা উৎসাহ-উদ্দীপনা মনের ভেতর কাজ করে। ফিরে পায় পুরনো সেই স্মৃতি গুলো, যা ফেলে এসেছি অনেক আগে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
হঠাৎ দেখা হয়েছিল তোমার সাথে গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি গল্পটি তৈরি করেছেন। এরকম গল্প মাঝে মাঝে পড়লে মন ফ্রেশ হয়ে যায়। আপনার জন্য দোয়া করি যেন ভবিষ্যতে আরো সুন্দর সুন্দর কিছু নেই আমার সাথে শেয়ার করেন
ধন্যবাদ আপনাকে।
হঠাৎ আসা মানুষগুলো হয়তো এভাবে হঠাৎ করেই চলে যায়। সুন্দর লিখেছেন আজকে আপনি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
এই ধরনের পোস্ট গুলো করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।।
ধন্যবাদ আপনাকে।