তবুও কেনো চাকার মতো ঘুরছে জীবন।১০% বেনিফিসারী@shy-fox.
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন ,আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই আমাদের ঘুম থেকে উঠতে হয়। তাড়াহুড়া করে ওয়াসরুমে যেতে হয় এবং গোসল শেষ করতে হয় কখনোবা সাবান নেয়া হয় আবার কখনো বা সাবান নেয়া হয় না গায়। খুব তাড়াহুড়া করে কিছু রান্না করতে হয়। আবার অনেকেই পান্তা ভাত অথবা হালকা কিছু খেয়ে দুপুর পর্যন্ত কাটিয়ে দেয়। এবং অনেকেই না খেয়ে থাকে দুপুর পর্যন্ত। এ তো গেল কেবল ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা।
এর পরবর্তীতে শুরু হয় অফিসে যাওয়ার জন্য আরেক যুদ্ধ ।এ যুদ্ধে কেউবা শামিল হয় পায়ে হেঁটে আবার কেউ বা শামিল হয় যানবাহনে করে। কিন্তু যাত্রা টা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয় কারণ পদে পদে বাধা থাকে।সেই বাধার আর এক নাম হলো যানজট। এই যানজট ঠেলেই আমাদেরকে প্রতিনিয়ত অফিসে যেতে হয়। সেখানে
ও বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় লেট পাঞ্চের।
এর পরবর্তীতে যে যার মত তার কাজে বসে যায় ।এভাবে কাজ করতে করতে কখন যে সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যায় কেউ একেবারেই বুঝতে পারেনা। দুপুরবেলা সকলেই খাবার খেয়ে হয়তোবা যে যার টেবিলের নিচে অথবা মেশিনের নিচে অথবা টেবিলের উপরে একটু মাথা রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করে কিন্তু ঘুম আসতে না আসতেই সকলকে আবার কাজে বসে যেতে হয়।
এখন এই কাজ করতে করতে কখন যে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায় তাকেও একেবারেই বুঝতে পারেনা। এর কারণ হলো প্রত্যেকটা মানুষেরই প্রতি ঘন্টায় তার প্রোডাকশন বুঝিয়ে দিতে হয়। এ বিষয়ে না হয় আর বেশি কথা বলি গল্পের সামনের দিকে যাওয়া যাক। পাঁচটা বেজে যায় ছুটির সময় হয়ে যায় কিন্তু তবুও ছুটি হয় না তাদের। ওভারটাইমের নামে চলতে থাকে মেশিনের চাকা সেই সাথে সাথে প্রতিটি মানুষ কাজ করতে থাকে। এভাবে কাজ করতে করতে ছয়টা বেজে যায় তারপরে সাতটা বেজে যায় আটটা বেজে যায় তারপরেও ছুটি হয় না ।
আটটার দিকে একটু টিফিন টাইম দেয় টিফিন খেয়ে নিয়ে সকলেই আবার যে যার মত কাজ শুরু করে। এভাবে কাজ করতে করতে রাত দশটা বেজে যায়। দিনের আলোর মুখ দেখা হয়না কারোর। এর ফাঁকে যদি কেউ অসুস্থ হয় তাহলে হয়তো বা কোন কোন অফিসে ওষুধ দিয়ে থাকে কিন্তু কোন কোন অফিসে কোন ওষুধ দেয় না সে যদি চায় সে ওষুধ আনতে বাইরে যাবে তাহলে হয়তোবা সে যেতে পারে না এভাবেই তার জীবন আটকে থাকে কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা বেড়া জালে। পকেট এ টাকা থাকতেও সে যেন পারেনা তার চাহিদা মিটাতে। সবকিছু দেখে আমার কাছে মনে হয় এটা যেন তালা শিকল ছাড়া জেলখানার মতো একটি জীবন ব্যবস্থা। এটা দেখে আমার কাছে মনে হয় স্বইচ্ছায় নিজেকে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী করে রাখার মত একটি জীবন ব্যবস্থা।
এর পরবর্তীতে রাতে বাসায় ফিরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমাতে ঘুমাতে প্রায় রাত বারোটা একটা বেজে যায়।
আবার পরের দিন কাকডাকা সকালে ঘুম থেকে উঠে তাকে পুনরায় কর্মজীবন শুরু করতে হয় ।এভাবে চাকার মতো চলতেই থাকে চলতেই থাকে জীবন। এ জীবনের শেষ কোথায় হবে কখন হবে কেউ বলতে পারে না। এ যেন এক জীবন্ত চাকা।
আসলে আমি এই প্রতীকী গল্পটির মাধ্যমে আমাদের জীবন যাপনের একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছি। যেখানে মানুষ শুধু দিনরাত যন্ত্রের মতো চলছে কিন্তু জীবনের যে প্রকৃত স্বাদ সেটা মানুষ নিতে পারছে না মানুষ চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি জীবনযাপনেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। কিন্তু স্বাধীন পেশার মাধ্যমে জীবনযাপন করে আমরা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে পারি তার সাদ থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। চাকা ব্যবস্থার জীবনের মাধ্যমে।