গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ফুলঝুরি। ১০% বেনিফিসারি@shy-fox.
প্রিয় কমিউনিটির সদস্য আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন ।আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায় ।আসলে ভালো আছি বিধায় ভালো কিছু নিয়ে আজকে উপস্থিত হলাম। আপনারা সকলেই জানেন সারা বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ছুটি চলছে ।এই ছুটি উপলক্ষে সকলেই গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে। অন্য সকলের মত এই ছুটিতে আমিও গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছি। সেই ফাঁকে গ্রামের ছোট ছোট ছেলেদের সাথে মিলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ফুলঝুরির আয়োজন করেছিলাম। সে সম্পর্কেই আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত বলবো।
প্রথমে ফুলঝুরি দেওয়ার জন্য একটি কচুর পাতা নেই। পরবর্তীতে সেই কচুর পাতাকে খেজুরের কাঁটা দিয়ে আস্তে আস্তে করে ফুটো করে নেই। কিন্তু কচুর পাতা ফুটো করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন খেজুরের কাটার খোঁচা লেগে কচুর পাতা ছিড়ে না যায়। এর পরবর্তীতে সুন্দরভাবে কচুর পাতা ফুটো করার ছবিগুলো তুলে নিলাম ।যেগুলো নিচে ধাপে ধাপে আপনাদের সামনে দেওয়া হল।
এখন এই ফুলঝুরি দেওয়ার জন্য কিছু শরফার প্রয়োজন হয়। সারফা হিসাবে খেজুর গাছের গোড়ার দিকে ডালের সাথে কিছু লাল রঙ্গের অংশ থাকে এটাকে শরফা বলা হয়। এটা সাধারণত শীত মৌসুমের বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু যেহেতু শীত মৌসুম ছিল না তাই আমরা এই সরকার হিসাবে নারকেলের শরফা ব্যবহার করেছি। আসলে এই শরফাকে অন্যান্য জেলায় কি বলা হয় এটা আমার জানা নাই ।যদি কারো জানা থাকে আমাকে অবশ্যই জানাবেন কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আসলে ফুলজুরি দেওয়ার জন্য শরফগুলোকে প্রথমে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নিতে হয় সেই উদ্দেশ্যে সরকার গুলোর মধ্যে আগুন ধরানো হলো এর পরবর্তীতে সম্পূর্ণ আগুন স্বরূপাগুলোকে পুড়িয়ে ফেলে যার ছবিগুলো নিচে ধাপে ধাপে দেয়া হলো।
এখন ছাইগুলাকে এমনভাবে ঠান্ডা করতে হবে যাতে হালকা হালকা আগুনের ফুলকি ছাই গুলার মধ্যে থাকে। এর পরবর্তীতে এই ছাইগুলাকে একটি কচুর পাতার মধ্যে রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রে কচুর পাতার মধ্যে ছাই উঠানোর জন্য প্লাস্টিকের কোন বস্তু ব্যবহার করা হয় যাতে করে হাতে তাপ না লাগে।
এখন কচুর পাতাটিকে একটি দড়ি দিয়ে ভালোভাবে বেঁধে নেই যেন ছাই গোলা না বেরোতে পারে।
এখন দুই দিকে আস্তে আস্তে করে ভরাতে হবে এবং কচুর পাতার মধ্যে নিভু নিভু অবস্থায় যে চাই গোলা থাকবে সেগুলা আস্তে আস্তে করে জ্বলে উঠবে এবং কচুর পাতা মধ্যে যে ফুটা করা হয়েছিল সেখান দিয়ে এইগুলা আস্তে আস্তে করে বের হবে এবং চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে অনেকটা ফুলের মতনই লাগবে।
নিচে ভিডিওর মাধ্যমে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ফুলঝুরি দেখানো হলো।
গ্রাম বাংলার ফুলজুরি আপনি খুব চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ।জীবনে প্রথম এই ধরনের ফুল যদি দেখলাম ।আমাদের এখানে এই ধরনের ফুলজুরি চর্চা করা হয় না। ধন্যবাদ ভাই নতুন একটি বিষয়ের সাথে পরিচিত হতে পেরে।
আমাদের এই দিকে এই ধরনের ফুলঝুরির চর্চা এখনো কম বেশি হয়। যেটা দেখতে বেশ ভালো লাগে।
আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আমাদের গ্রামে আগে এই সব আয়োজন করা হতো। তবে বর্তমানে খুব একটা দেখি না। আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।