হাওর পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা। ১৫% বেনিফিসারী @shy-fox, abb-school
আসসালামু আলাইকুম /আদাব |
---|
হাওর পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা। |
---|
প্রিয় কমিউনিটির সদস্য, আশা করি আপনারা সকলেই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছে। আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় ।প্রতিদিনকার মত আজকেও চলে আসলাম নতুন কিছু নিয়ে। আসলে নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণা টা আমি পেয়ে থাকি আমার কমিউনিটি থেকে ।এজন্য আমি ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগকে এবং আমার বাংলা ব্লগ এর প্রত্যেকটি সদস্যকে। কারণ তাদের পোস্টগুলা পড়েই আমি নতুন নতুন ধারণা এবং আইডিয়া পাই ।যা থেকে আমি নতুন কিছু লেখার জন্য উদ্বুদ্ধ হই। তাই আজকে আমি আপনাদের সামনে হাওর পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে তুলে ধরবো। যদিও আমার বাড়ির হাওরাঞ্চলে নয় তারপরও আমি হাওয়া সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি আমার শ্বশুরবাড়ির সূত্র ধরে। কারণ আমার শ্বশুরবাড়ি হলো কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার কাছাকাছি। সেখানে যাতায়াত এর মাধ্যমেই সেখানকার জীবনযাত্রা সম্পর্কে আমি ধারণা পেয়েছি। তাহলে মূল বিষয়ের দিকে ধাবিত হওয়া যাক।
হাওর মানে থৈথৈ পানি মাঝখানে কিছু নেই শুধু পানি আর পানি। এ সময় মানুষের জীবিকার একমাত্র মাধ্যম হয়ে থাকে হাওরের বিস্তীর্ণ জলভূমি থেকে মাছ ,শামুক ,শাপলা ইত্যাদি আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করা। যারা এই কাজগুলো করতে পারে তাদের জীবিকার মাধ্যম এগুলোই হয়ে থাকে কিন্তু যারা মাছ শিকার করতে পারে না তারা এই ছয় মাস প্রায় বেকার বসে থাকতে হয়। এসময় কৃষকেরা শুষ্ক মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এক প্রকারে বলতে পারেন তারা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। প্রকৃতি কখন তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে শুকনো ভূমি নিয়ে আসবে সেই অপেক্ষায় তারা থাকে। এভাবে একটি পর্যায়ে প্রকৃতি তাদের ডাকে সাড়া দেয়। তখন তাদের জীবনের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। হালকা কাদাযুক্ত পানির উপর তারা ধানের চারা রোপন করে। এই চারা গুলা বড় হলে তারা এগুলা দিগন্তজোড়া মাঠে রোপন করে। আর তারা বুকের মধ্যে একটি আশা বাঁধে এই ফসল উঠলেই তাদের সংসারের সারাবছরের খরচ মিটাবে এবং বাড়তি অংশ দিয়ে ছেলে মেয়ে সকলের শখ-আহ্লাদ পূরণ করবে। কিন্তু এখানেও একটি শঙ্কা থেকে যায়। অনেকটা বাজি ধরার মতো , তাদের ফসল মাঠে রোপন করতে হয়। বাজিতে যেমন জিতলে লাখোপতি হারলে ফকির এক্ষেত্রেও ঠিক তেমন।
কারণ ওই যে বলেছিলাম প্রকৃতির উপর তাদের নির্ভর করতে হয়। প্রকৃতির দেবতা যদি তাদের সহায় হয় তাহলে সে বছর ফসল তারা সুন্দরভাবে ঘড়ে তুলতে পারে এবং তাদের সকল স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে। পক্ষান্তরে যদি প্রকৃতি দেবতা একটু মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে তাদের সকল স্বপ্নগুলো খানখান করে ভেঙে যায়। এর অর্থ হল যখন ফসল তোলার সময় আসে তখন বাঁধ ভাঙ্গন দেখা দেয় হাওর এলাকায়। বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যায় সেই সাথে কৃষকের স্বপ্ন গুলো ডুবে যায়। আবার কোথাও যদি বাঁধ গুলো মেরামত করে ফসল টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। সেখানেও ও অন্য বিপদ কারণ প্রতিদিন রাতে শিলা বৃষ্টি হয় সারাদিন আকাশ গম্ভীর হয়ে থাকে এতে কি করেই বা ধান থাকবে আর শিলাবৃষ্টি তো আছেই যা ধান কে নষ্ট করে দেয়। এক প্রকারে বলা যায় তাদের জীবনযাত্রা সম্পূর্ণই নির্ভর করে প্রকৃতির উপর।
আসলেই হাওর পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা খুবই কঠিন ।।বিশেষ করে বন্যার পানিতে তারা খুবই দুর্লভ জীবন যাপন করে ।হাওর পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।।
ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিবছর বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের দেশের দুইটা নামকরা হাওর মিঠাইন এবং অষ্টগ্রাম ঘুরতে যায়। প্রকতপক্ষে আমাদের ভালো লাগলেও আমরা ঐ হাওরের স্থায়ী বাসিন্দাদের কথা ভাবি না। আসলেই তারা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করছে। অনেক সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
হাওর এলাকায় আমার ঘুরতে অনেক ভালো লাগে, মাঝে মাঝে হাওয়ার এলাকায় ঘুরতে যাওয়া হয়।এটা সত্যি হাওর এলাকায় মাছ বেশী পাওয়া যায় খুবই তাজা মাছ সব মিলিয়ে ভালো একটি পোস্ট করছেন।ধন্যবাদ আপনাকে
অনেকে আছে মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
হাওর পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানা নাই, আসলেই তাদের জীবন যাএা কত কষ্টের।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর জনসচেতন মূলক একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টে দেখে অনেক মানুষ সচেতন হয়ে এমন অসহায় মানুষদের সহায়তার জন্য হাত বাড়িয়ে দিবে ইনশাল্লাহ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
এই বিভিন্ন হাওড় পারের মানুষগুলোর লাইফটা কতটা কষ্ট হয় তা হয়তো আমরা কখনই দালানকোঠার মধ্যে বসে টের পাব না। লিখাটি সুন্দর হয়েছে।
আপনার জন্য একটি সাজেশন হলো, লেখার পরিমাণ আরো বাড়াতে হবে। এই সাজেশনটি হয়তো আমি আপনাকে এর আগেও দিয়েছিলাম। আশা করছি আপনি সাজেশন টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখবেন, ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।