বাসা থেকে ফিরে রুমের অবস্থা দেখে আমার অবস্থা খারাপ। ১০%@shy-fox.
প্রিয় কমিউনিটির সদস্য আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বাসা থেকে ফিরে এসে রুমের অবস্থা দেখে আমার অবস্থা। দীর্ঘ দশ দিন পর বাসা থেকে রওনা দিতে হবে । এই কারণে সকাল থেকে নিজেকে একটু একটু করে গুছাচ্ছিলাম। এভাবে নিজেকে একটু একটু করে গোছানোর মধ্য কেন যেন এলোমেলো রয়ে গেল সবকিছু। তাই আজকে দুপুর বারোটা থেকেই পরিবারের সবার সাথে একটু বেশি করেই সময় দিয়েছি। এর পরবর্তীতে যখন বিকাল ৩:০০ বাজে তখন থেকেই আমি আমার ব্যাগ গোছানো আস্তে আস্তে শুরু করলাম। সবকিছু একটু গুনে গুনে গোছানো শুরু করলাম কারণ কোনো একটা মিস হয়ে গেলে হয়তো দুই এক মাসের মধ্যে সেই জিনিসটা আর হাতের কাছে পাবো না। এরপরে ব্যাগ গোছাতে গোছাতে এক পর্যায়ে হাপিয়ে গেলাম। তাই অর্ধ ব্যাগ গোছানো অবস্থায় পাশের রুমে এসে আবার একটু রেস্ট নিলাম। এই ফাঁকে দেখি আমার ওয়াইফ ব্যাগটি ভালোভাবেই গুছিয়ে রেখেছে। পরবর্তীতে যখন বিকাল পাঁচটা বাজলো তখন আমার মা আমার জন্য খাবার রেডি করে রেখেছে। মনটা বাসা থেকে আসতে মন চাচ্ছিল না তাই খাবারটাও ঠিকমত খেতে পারিনি। বলতে পারেন জোর করেই খাবারটা খেয়েছি তখন। এর পরবর্তীতে জামা কাপড় পড়ে আমি রেডি হলাম।
তারপরে যখন আমি আমার মেয়ে কে কোলে নিয়ে মামা করে ডাকছি তখন পাশ থেকে আমার মা চিৎকার করে বলে তুই আমার সামনে তোর মেয়েকে মা বলে ডাকবি না। একপ্রকার বলতে পারেন আমি যখন আমার মেয়েকে মা বলে ডাকছি তখন আমার মা হিংসা করছে আমার মেয়ের সাথে হাহাহা। এর পরবর্তীতে পরিবারের সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি আমার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। পরবর্তীতে আমি গাড়িতে উঠে নবীনগর এসে নামলাম। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর একটি গাড়ি পেলাম চান্দ্রুরার উদ্দেশ্যে সেই গাড়িতে উঠে আমি চান্দ্রুরার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। চান্দুরা থেকে পরবর্তীতে চৌরাস্তায় এসে নামলাম। চৌরাস্তা নামতে না নামতেই বাসা থেকে ফোন আসলো যে আমি ঠিকঠাক মতন এসে পৌঁছেছি কিনা। তখন বললাম একেবারে বাসার কাছে চলে এসেছি আর মিনিট দশেকের মধ্যে আমি বাসার মধ্যে ঢুকব।
যাই হোক অবশেষে বাসার দরজার সামনে এসে দাঁড়ালাম বাইরে থেকে লক্ষ করলাম ভিতরে লাইট জ্বলে রয়েছে । দীর্ঘ দশ দিন যাবত লাইটটি এভাবেই জ্বলে রয়েছে এটা দেখে এক প্রকার আমার মাথা নষ্ট বলতে পারেন। এর পরবর্তীতে রুম খুলে চোখ পড়তেই দেখি ঘরের অবস্থা খুবই নাজুক। তাই কোনোরকমে ব্যাগটা রেখেই ঘর পরিষ্কারের জন্য আমি লেগে পড়লাম। ঘরের ভিতরে চারদিকে মাকড়সার জালে ভরে গেছে এই অবস্থা দেখে আমি ঝাড়ু নিয়ে মাকড়সার জাল গুলো আস্তে আস্তে পরিষ্কার করতে লাগলাম।
ঠিক এর পর মুহূর্তেই আমার তেলের বোতলের দিকে নজর গেল নজর পড়তেই আমার কাছে মনে হল যে তেল ঠিক আছে কিনা তখন দেখি যেন সব ঠিকই আছে কারণ ভাবলাম বাজারে তেলের যে মূল্য বৃদ্ধি শুরু হয়েছে হয়তোবা আমার তেল কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে হাহাহা। তাই তেলের বোতল আঙ্গুল দিয়ে মেপে দেখলাম তেল ঠিক আছে কিনা সবকিছু দেখে মনে হল ঠিকই আছে। বালিশ কাঁথা সবকিছু আমি মুড়িয়ে রেখে গেছিলাম এখন দেখি সেখানে তেলাপোকার বাসা বেধেছে।
এই সবকিছু দেখে আমার মাথা আরও বিগড়ে গেল। তারপরেও নিজেকে আস্তে আস্তে করে সামলে নিলাম। এর পরে আস্তে আস্তে করে ফ্লোর ঝাড়ু দিলাম। ঝাড়ু দিতেই দেখলাম পাশে পিয়াজ পচে গেছে সেখান থেকে গন্ধ বেরোচ্ছে। তাই সেই জায়গাটা পরিষ্কার করে নিলাম ভালো করে। ঘর পরিষ্কার করছিলাম আর ভাবছিলাম যদি বউকে বাসায় রেখে না আসতাম তাহলে হয়তবা এই কাজগুলা আমার করা লাগত না। তাই নিজেকে সিনিয়র ব্যাচের এক হিসাবে মেনে নিলাম। কারণ সিনিয়রের দায়িত্বটাও একটু বেশি। যদি জুনিয়র ব্যাচেলার হইতাম তাহলে সকলে মিলেই ঘর পরিষ্কার করার কাজগুলো করতে হতো যেহেতু আমার নিজের একারই এই সবগুলো কাজ করতে হয়েছে তাই নিজেকে সিনিয়র ব্যাচেলার হিসাবেই মেনে নিয়েছে হাহাহা।
অনেকটা হাসি রহস্যের মাধ্যমে আজকে আমি যে ব্লগ টি তৈরি করেছি সেটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি ।যদি কোথাও কোন ভুল হয় তাহলে অবশ্যই আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।
ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার পর আপনার বাসার অবস্থা তো কাহিল হয়ে গেছে। এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক সেখানে না থাকলে বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড়ের সমাগম দেখা যায়। অগোছালো পরিবেশ অনেক খারাপ লাগে যেটা আপনি বুঝতে পেরেছেন।
ঠিক বলেছেন ভাই।
দীর্ঘ ঈদের ছুটি কাটানোর পরে আসবে আপনি আবার ঢাকাতে চলে আসলেন ভাইয়া। আসলে আমাদের সবার অবস্থা এরকম হয় যখন আমরা দীর্ঘ ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকাতে ফিরে আসি এসে দেখে আমাদের রুমের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেছে। এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে এর আগে আমি অনেকবার।
হ্যাঁ ভাই পরিস্থিতি টা খুবই খারাপ এবং ভয়াবহ ছিল।
তেলাপোকা দেখে কি আপনার মাথা বিগড়ে গিয়েছিলো ভাই? চাইলে ওটা কে আপনি রেসিপি করে জনগণের মাঝে শেয়ার করতে পারতেন, তাও একটা ইউনিক পোস্ট হয়ে যেত।
ভবিষ্যতের ট্রাই করে দেখব রেসিপি হিসেবে দেওয়া যায় কিনা।