বন্ধুদের সাথে রাতে ডাব ও নারিকেল চুরি করে খাওয়ার এক অস্থির ঘটনা। পর্ব ৪✓।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(০১/১০/২০২৩) রোজ: রবিবার।
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি @biplob89 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি বন্ধুদের সাথে রাতে ডাব ও নারিকেল চুরি করে খাওয়ার এক অস্থির ঘটনা। পর্ব ৪✓ । আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি ।সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করি । নাস্তা শেষ করে একটু বিশ্রাম নিই। আজকে সকাল থেকেই কম বেশি বৃষ্টি হচ্ছে । যে কারণে ফাঁকায় খুব একটা বেড়ানো হয়নি। আসলে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । আবার হঠাৎ করে বৃষ্টি হচ্ছে । আসলে বৃষ্টির দিনে পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। আবার বৃষ্টির দিনে চানাচুর দিয়ে মুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে । তাই বৃষ্টিময় মুহূর্তটি মুড়ি খেয়ে খুবই সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করলাম।তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
ইতিপূর্বে আমি আপনাদের মাঝে বন্ধুদের সাথে ডাব চুরি করে খাওয়ার তৃতীয় পর্বটিও শেয়ার করেছি। তাই আজকে আপনাদের মাঝে বন্ধুদের সাথে রাতে ডাব ও নারিকেল চুরি করে খাওয়ার চতুর্থ পর্বটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে আপনারা যারা আমার তৃতীয় পর্বটি দেখেছেন এবং পড়েছেন তারা বুঝতে পেরেছেন কত বাধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে আমরা ডাব খেতে পেরেছিলাম। তবে নারিকেল খাওয়ার ঘটনাটি এখনো সকলের কাছে অজানা রয়ে গেছে। তাই আজকে এই বিষয়টা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে লাইফে প্রথম সেদিন একটি পিকনিকের মধ্য দিয়েই বন্ধুদের সাথে ডাব এবং নারিকেল চুরি করতে গিয়েছিলাম। আসলে সময়টা ছিল খুবই আনন্দদায়ক এবং জীবনে প্রথম এমন ডাব চুরি করা দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
আসলে বন্ধুদের সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই খুবই মজার এবং আনন্দদায়ক হয়ে থাকে। কারণ বন্ধুদের মাঝে সবকিছু শেয়ার করা যায়। এছাড়াও বন্ধুদের মাঝে প্রতিটা মুহূর্তের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়। আসলে বন্ধুরা সবাই একসাথে থাকলে যে কোন কাজ করা কোনো ব্যাপারই নয়। কারণ একতাই বল একতাই শক্তি। তবে সেদিন প্রথম আমি বন্ধুদের অনুরোধে তাদের সাথে নারিকেল ও ডাব চুরি করতে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম । তারপরে আমাদের এক বন্ধু গাছে উঠে ডাব পেড়ে নিয়ে আসলো। তারপর আমরা বললাম চলো এবার যাওয়া যাক। তারপর সে বলল না দেখো পাশের গাছে নারিকেল আছে নারিকেল না খেলে কেমন হয়। কিছুক্ষণ পরে দেখি বন্ধু নারিকেল গাছে ওঠে নারিকেল নিয়ে চলে আসলো । তারপরে নারিকেল আমাদের পিকনিকের কুঁড়েঘরে নিয়ে আসা হলো । কিন্তু সে নারিকেল সেই সময় খাওয়া হয়ে ওঠেনি আমাদের। কারণ কিছুক্ষণ পরে ই পার্কের যারা রাত্রে পাহারা দিয়েছিল তারা আমাদের এখানে এসেছিল । যার কারণে ঐ সময়ে নারিকেল গুলো আমাদের তখন খাওয়া হয়নি।
বাকিটা পঞ্চম পর্বে খুব দ্রুত আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হবে। তাই আমার পঞ্চম পর্ব দেখার জন্য আপনারা আমার সাথেই থাকুন।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
বন্ধুদের সাথে কাটানো মজার মজার মুহূর্ত গুলো আসলেই ভুলবার নয়। রাতের ডাব চুরি এসব তো অনেক বেশি মজা লাগে। সবার সাথে রাতে ঘোরাঘুরি করতেও বেশ মজা। আর কিছু কিছু বন্ধু তো থাকে গাছে ওঠায় অনেক এক্সপার্ট হয়। আপনার ঘটনাটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া বন্ধুদের সাথে রাতে আড্ডা দেওয়ার সময় হয়ে ওঠে না । তবে পিকনিক হলে সেদিন একটু রাতে বন্ধুদের সাথে কাটাতে পারি। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ভাবে আপনার মতামত উপস্থাপন জন্য। ভালো থাকবেন।
যখন আমি স্কুলে পড়তাম তখন এই ধরনের ঘটনা গুলো আমরা অহরহ ঘটাতাম। একদিন আমরা ৯২ টি ডাব বেড়েছিলাম। এবং ৯ জন মিলে সেগুলো খেয়েছিলাম। প্রত্যেকটা মানুষের একটা বয়স থেকে আর এই বয়সে বন্ধুদের সাথে অনেক মজার ঘটনা ঘটে থাকে। আপনার ঘটনাটি পড়ে ভালো লাগলো তবে পঞ্চম পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ভাইয়া আপনারা ৯২ টা ডাব পেড়েছিলেন যেনে তো অবাক হলাম। অবশ্যই ভাইয়া খুব দ্রুত পঞ্চম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
বন্ধুদের সাথে থাকা মানেই অনেক অনেক বেশি আনন্দ করা। এই সময় গুলোই স্মৃতি হয়ে থেকে যায় জীবনের ডাইরিতে। কিন্তু ভাইয়া কারোর জিনিস না বলে খাওয়া কিন্তু খুবই অন্যায়। সে যদি ক্ষমা না করে তাহলে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা ক্ষমা করবেন না।
বন্ধুরা পাশে থাকলে এমন কাহিনী জীবনে অনেকটাই হয়ে থাকে অনেকের। আমাদের বেশ কিছু বন্ধু ছিল তারা এমন কাহিনী আমাদের মাঝে তুলে ধরতো, রাত্রি কালীন মুহূর্তে বোডিং থেকে এই কাজ করতে যেত। বাস্তব জীবনের বাস্তব ঘটনা আমাদের মাঝে এভাবে প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।