জেনারেল রাইটিং।। সোনালী আঁশ পাট।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(১৬/১০/২০২৩) রোজ: সোমবার।
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি @biplob89 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সোনালী আঁশ পাট নিয়ে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
আমরা সকলেই জানি সোনালী আঁশ পাট।বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে পাট চাষ করা হয়। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশে পাটের ভূমিকা অপরিসীম। পাট থেকে অনেক ধরনের পণ্য তৈরি করা সম্ভব। পাটের রং কিছুটা সোনালী রংয়ের হয়ে থাকে। যে কারণে পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। উপরে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কাঁচা পার্ট গুলো জাগ দেওয়া হচ্ছে। পাট জাগ দেওয়ার পরে আঁশ গুলো পচে গেলেই তখন পাট থেকে আঁশ গুলো বের করে নেওয়া হয়। তবে পাটের রং কেমন হবে তার জন্য কয়েকটি নির্দেশনা রয়েছে। যেমন:
০১. পাট জাগ দেওয়ার স্থানে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি থাকতে হবে। কারণ পানি না থাকলে পাট ভালোভাবে জাগ হবে না।
০২. পাটজাগ দেওয়ার জন্য অবশ্যই পার্টগুলো পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু পাট যাতে নিচে কাদার সাথে ঠেকে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
০৩. উপরে কাদা দিয়ে পানিতে ডোবানোর সময় পাটের উপরে খড় বা পলিথিন কাগজ বিছিয়ে দিতে হবে যাতে কাঁদার সাথে কখনো পাটের মিশ্রণ না ঘটে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
এই হলো পাট জাগ দেওয়ার পদ্ধতি।
উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দুইজন তারা পাট থেকে আঁশ সংগ্রহ করছে।
পাটজাগ দেওয়ার কতদিন পরে পাট থেকে আশ সংগ্রহ করা যাবে?
পাট জাগ দেওয়ার ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যেই পাট থেকে আঁশ সংগ্রহ করা সম্ভব।
পাট দেখে আঁশ সংগ্রহ করার পরে প্রত্যেকেই যে কাজটি করে সেটি হচ্ছে আঁশ গুলো সুন্দরভাবে রোদে শুকানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আসলে পাটের আঁশ গুলো রোদে শুকিয়ে দীর্ঘদিন গোডাউনে রাখা সম্ভব। কারণ পাটের আঁশ গুলো রোদে ভালোভাবে না শুকালে সে পাট গোডাউনে পালা দিয়ে রাখলে সে পাট গুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যে জন্য পাটের আঁশ খুবই সুন্দরভাবে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে যাতে কোন ভেজা পাটের আঁশ না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আসলে পাট যদি শুকাতে অবহেলা করা হয় তাহলে সে পাট থেকে ভালো অর্থ পাওয়ার আশা করা সম্ভব নয়। তাই অবশ্যই পাটের আশ গুলো রোদ্রে খুব সুন্দর ভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
উপরে ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পাট খড়ি। আসলে পাট থেকে আমরা দুইটা জিনিস পেয়ে থাকি এক হচ্ছে পাটখড়ি যা জ্বালানোর কাজে আমরা ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ যেমন কাগজ তৈরিতেও পাটখড়ির প্রয়োজন অপারেসীম। দ্বিতীয় তো হচ্ছে সোনালী আঁশ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে গ্রামীণ বাংলার সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন ।মানুষের দৈনিক জীবনের কাজকর্ম তুলে ধরেছেন । এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশে আসলেই প্রচুর পরিমাণে পাট চাষ করা হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর দৃশ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার মতামতটি শেয়ার করার জন্য।
বাহ্! চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তো। পাট জাগ দেওয়ার সম্পূর্ণ পদ্ধতি,আঁশ বের করা এবং শুকানোর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্বন্ধে চমৎকার ধারণা পেলাম। পাট রপ্তানি করে আমরা প্রতিবছর প্রচুর অর্থ উপার্জন করে থাকি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এক সময় যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের গ্রামেও এমন সুন্দরভাবে পাট থেকে আঁশ সংগ্রহ করা হতো। কিন্তু এখন কালের বিবর্তনের সবগুলো হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। কিভাবে পাট থেকে আঁশ সংগ্রহ করা হয় আপনি খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করলেন। তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে বিস্তারিত। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে তুলে ধরলেন।
ধন্যবাদ আপু আপনার মতামতটি শেয়ার করার জন্য।