লাইফ স্টাইল।। গণতন্ত্র অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার অনুভূতি।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(২৭/১২/২০২৩) রোজ: বুধবার।
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আমি @biplob89 আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল।। গণতন্ত্র অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার অনুভূতি।তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
কালকে জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গণতন্ত্র অলিম্পিয়াড ছিল। উক্ত অলিম্পিয়াডে আমি অংশগ্রহণ করেছিলাম। ওখানে আমাদের ৯ টার আগে পৌঁছাতে বলেছিল। তাই আমি কালকে সাড়ে ছয়টার দিকে আমি ঘুম থেকে উঠি । ওটা ফ্রেশ হয়ে এরপরে সকালের নাস্তা করেই প্রায় আটটার দিকে বাসা থেকে রওনা দেই। যদিও আমার বাসা থেকে জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। তবে আমার সাথে আরও বেশ কয়েকজন গিয়েছিল তাই আমরা একটা অটো গাড়ি ভাড়া করে নিয়েছিলাম। এভাবে আমরা সাড়ে আটটার দিকে অটো গাড়িতে আমি সহ সাত জন রওনা দি।
আসলে যখন জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পৌঁছায় তখন মনের মধ্যে একটা অন্যরকম ভাব ফিল করলাম। কারণ এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশ টা আমার খুবই ভালো লেগেছিল। গেটে প্রবেশ করেই আমার খুবই ভালো লাগা কাজ করেছিল। এবং আমার সাথে যারা গিয়েছিল তাদেরও বেশ ভালো লেগেছে এমন মন্তব্য শুনতে পেলাম। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তোলা একটি ছবি। দেখতে বেশ চমৎকার ও দৃষ্টিনন্দন।
এরপরে প্রায় আটটা পাঁচ চল্লিশের দিকে আমরা জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছাই। সেখানে ৯ টা থেকেই রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। আমি আগে থেকেই রেজিস্ট্রেশন করে নিয়েছিলাম। তবে আমার সাথে একটা বন্ধু গিয়েছিল সে আগে থেকেই রেজিস্ট্রেশন করেছিল না। সেখানে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন টোকেন নিয়ে তারা রেজিস্ট্রেশন করলাম। যেটা আপনারা উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন।
এরপরে আমি সহ আমার সহপাঠীরা মুক্ত মঞ্চে গেলাম। সকলের অনুরোধে সবাই মিলে একটা সেলফি ছবিতে ক্যামেরা বন্দী হলাম। যেটা আপনারা উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন।
এরপরে আমাদের এসেম্বলি হলো এসেম্বলি শেষে সাড়ে দশটার দিকে আমাদের রুমে প্রবেশ করানো হলো। এবার ছিল কুইজের প্রতিযোগিতা। এই অলিম্পিয়াডে ৫০ মার্কের এম সি কিউ ছিল। ৫০ মার্কেটে এ এম,সি,কিউ এর জন্য সময় ছিল ৩০ মিনিট। এরপরে প্রায় সাড়ে দশটার দিকে আমাদের এই পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হলো। সেখানে আমি ১০৩ নাম্বার রুমে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। পরীক্ষার রুমে আমার পাশে বসে ছিল একটা বড় ভাই মোঃ শাওন রেজা।
এই পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই সকলকে চতুর্থ তলায় যাওয়ার জন্য আহ্বান জানালো। চতুর্থ তালাই সেখানে হলরুমে আমাদের পরবর্তী অনুষ্ঠান শুরু হলো। আমি একটু আগে আগে সেখানে গিয়ে বেশ কয়েকটি ক্যামেরা বন্দি করে নিয়েছিলাম। এরপরে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল। এই অনুষ্ঠানের সেরা ১০ জন বাছাই করা হলো। আর সকলের জন্য ছিল একটি সার্টিফিকেট এবং দুপুরের খাবার । এভাবেই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে আমাদের এই প্রোগ্রামটি শেষ হয়ে গেল। এভাবে খুবই দুর্দান্ত সময়ের মধ্যে দিয়েই কালকের কিছু মুহূর্ত আমি পার করেছি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
অজানা কিছু জানতে পারলাম আপনার আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। অবশ্যই এ বিষয়ে তেমন কোন ধারণাই ছিল না আমার। তো বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন এই বিষয়ে। পাশাপাশি জানতে পারলাম এটা জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।