টিসিবি কার্ড দিয়ে মালামাল তোলার কিছু মুহূর্ত।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ ২৯/০৩/২০২৪) রোজ: শুক্রবার
💞 জুম্মা মোবারক 🌸
আজকে শুক্রবার জুম্মার দিন। আজকে সকালে হঠাৎ শুনলাম আজকে নাকি টিসিবি মালামাল দিবে। তবে একটি ছবির মালামাল আমি খুব একটা তুলি না। অনেকদিন পরে টিসিবি মালামাল দিয়ে থাকে এটা ধনী গরিব সবার জন্য প্রযোজ্য। এই টিসিবি মালামাল গুলো টাকা দিয়ে তুলতে হয়। এতে একটু লাভ হয় বাটে কিন্তু এই মালামাল তোলা যে কত কঠিন তা আমি আজকে বুঝতে পারলাম।
আজকে ষোলটাকা ইউনিয়নের টিসিবি মালামাল দিয়েছিল। আরে ৬ নং ষোলটাকা ইউনিয়ন আমাদের গ্রামে অবস্থিত। এতে করে আমাদের বেশি কষ্ট হয় না এই মালামাল তুলতে। তবে আজকে এ মাল তুলতে গিয়ে সত্যিই অনেক খারাপ লেগেছিল। আজকে ইউনিয়ন পরিষদে সাতটার সময় গিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম যে খুব দ্রুত হয়তো পেয়ে যাব। আমি গিয়ে দেখতে পেলাম সেখানে তেমন একটা মানুষের ভিড় নেই তবে সময় যত বাড় ছিল ততই মানুষ বাড়ছিল। তবে আমার সিরিয়াল যেহেতু আগে তাই ভাবছিলাম যে আমি আগেই হয়তো পাব। কিন্তু পরক্ষণে দেখলাম মানুষের মধ্যে কোন বিবেক নেই। এদিকে আটটার সময় ইউনিয়ন পরিষদ খোলার কথা সেখানে নয়টা বেজে গেছে তাও তাদের কোনো খোঁজ নেই এরপরে প্রায় ৯:১৫ মিনিটের সময় গেট খুললো। গেট খোলাতেই মানুষের ভিড় অনেক বেড়ে গেল এবং এক ধাক্কাধাক্কি বেঁধে গেল। একপর্যায়ে সেখানে অনেক মানুষের সাথে দেখলাম তর্ক বিতর্ক হচ্ছে এবং সবাই বলতেছে আমি আগে নেব আমি আগে নেব। কিন্তু আমরা যে লাইন দিয়েছিলাম সে লাইন লংঘন করে অনেক মানুষ তার আগে গিয়ে এ মালামাল নিচ্ছে সত্যি দেখে খুবই খারাপ লাগলো।
খুবই খারাপ লেগেছিল যে আমরা ঘন্টা থেকে ঘন্টার উপর লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছি আর অনেক পরে যেসব লোকজন আসছে তারা জোর জবরদস্তি করে আগে চলে যাচ্ছে এবং টিসিবি মালামাল নিয়ে চলে যাচ্ছে। আসলে দেখতে পেলাম মানুষের মধ্যে কোন বিবেক নেই। কারণ বিবেক থাকলে সে কখনোই ৩০ জনের সামনে গিয়ে অর্থাৎ অনেক মানুষের সামনে গিয়ে পরে এসে এ মাল তুলত না। তবে আমি যেই খানে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেইখানেই দাঁড়িয়েছিলাম কারণ আমি মনে করেছিলাম যে যে লাইন ভঙ্গ করে করুক অর্থাৎ আমি করব না। আমি চাইলেও সবার আগে এই মাল তুলতে পারতাম কিন্তু আমি দেখলাম আমার সামনে আরো বেশিজন আছে বা ৫০ জন আছে তারাও তো অপেক্ষা করে আছে অর্থাৎ তাদের পিছে ফেলে আমি পরে এসে আগে কিভাবে নিব। কিন্তু পরে যারা আসলো তাদের মধ্যে এই বিবেকটা কাজ করল না তারা আমাদের সামনে থেকে সব নিয়ে যাচ্ছিল। এরপর একপর্যায়ে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলাম একপর্যায়ে একটু কথা কাটাকাটি হলো এবং একটু তর্ক বিতর্ক সাথে একটু গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি হল। পরক্ষনে প্রায় চার ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরে গেটের মধ্যে ঢুকতে পেলাম। সেখানেও দেখছি বড় এক লাইন সত্যিই আজকে খুবই খারাপ লেগেছে এবং খুব রাগ হচ্ছিল। এমনিতেও রোজায় আছি তারপরে আবার এত ভিড় মানুষের মাঝে এই মাল নেয়ার খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কি আর করার যেহেতু অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম তাই ভাবলাম মালটা নিয়েই বাসায় যায়। এদিকে আবার জুম্মার দিন নামাজ পড়তে যেতে হবে যাক শেষমেষ 11:30 টার সময় আমি মাটি নিয়ে বাসায় এসে পৌঁছালাম। এরপরে গোসল শেষ করে নামাজের জন্য তৈরি হয়ে মসজিদে চলে গেলাম। কিন্তু আজকে আমি অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম এই মালামাটি তুলতে যে টাকা দিয়ে মাল নিবো তারপরেও কেন এত কষ্ট সহ্য করতে হবে। তাই আজকে ভাবলাম পরবর্তীতে আর এভাবে যাব না। যখন দেখবো সিরিয়াল অনেক কম আছে ঠিক তখনই যাব কারণ এত কষ্টের মধ্যে যেভাবে মাল তোলা সবার পক্ষে সম্ভব নয় অনেকেই অনেক কষ্ট করেছে আজকে দেখতে পেলাম। আজকে টিসিবি মালামাল দিয়েছিল চাউল তেল চিনি এবং ডাল। এর আগে এটিবির মালা মাটি তুলতে তারা ৪৭০ টাকা প্রতি কার্ড প্রতি নিতো। আর আজকে দেখতে পেলাম আরো ৭০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কার্ডে ৫৪০ টাকা করে নিচ্ছে । এছাড়াও তারাদের চাউল দিচ্ছে সে চাউল অনেক কম দিচ্ছে এ যেন মনে হচ্ছে দিনে ডাকাতি। কি আর করার জনগণ তো এটা বোঝেনা জনগণ শুধু বোঝে অল্প টাকায় বাড়ছে কিন্তু তারা এক দিক দিয়ে আমাদের ফাঁকি দিচ্ছে এটা আমরা বুঝতে পারছি না।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
দারুণ একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ভাইয়া। সরকারি যেকোন পণ্য নিতেই দেখেছি ঢাকায় দীর্ঘসারি মানুষের। দীর্ঘ অপেক্ষার কথা শুনেছি কিন্তু বিশৃংখলার কথা শুনিনি। আমাদের মানুষদের মধ্যে কবে যে শৃংখলাবোধ তৈরি হবে!! ওজনে কম দেওয়ার জন্য জোড়ালো প্রতিবাদ দরকার ছিল। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন আপু।
আমি দেখেছি অনেক ভীড় হয়, অনেক দিন পর পর দেয় তাই এমন টা হয়।আসলে ন্যায্য মূল্য তাই একটু কম অন্যানো দোকান থেকে তাই এমন ভীড় থাকে।আসলে দব্যমূল্যার বৃদ্ধি এর জন্য একটু কমের জন্য এত ভীড় তাই এমন কঠিন।আসলে আমাদের দেশে সবদিকেই দূর্নীতি। যাক তাও যে মাল নিতে পেরেছেন তাই অনেক।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু।
টিসিপির মালামাল সংগ্রহ করতে আমাদের বাড়ি থেকেও আজকে আমার মেজো আব্বা গিয়েছিল। আপনার ফটোর মধ্যে ওনার ছবি দেখতে পারলাম। দেখে তো বেশ ভালোই লাগছে। তবে টিসিবির মালামাল আনতে গিয়ে অনেক ভিড় হয় রমজান মাসে যেটা রোজাদারদের জন্য খুবই কষ্টকর। তবে আপনি সাড়ে এগারোটায় মালামাল নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে গেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
গঠনমূলক মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
টিসিবি কার্ড দিয়ে আমি ও বেশ কয়েকবার টিসিবি পর্ণ নিয়েছিলাম। আসলে এই টিসিবির পণ্য গুলোর মধ্যে অল্প পরিমাণে লাভ হলেও এতে অনেক মানুষের সমাগম থাকে। আসলে এতো কম লাভের জন্য এতো মানুষ এই টিসিবির পণ্য নেয় তা আসলে আমার কাছে একটু কেমন জানি মনে হয়। আপনি আজকে টিসিবির পণ্য ক্রয় করার সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনিও এভাবে পূন্য তুলেছেন যেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ।
টিসিবি কার্ড দিয়ে মালামাল পাওয়ার এক অন্যরকম অনুভূতির কথা চমৎকারভাবে শেয়ার করেছে আমাদের মাঝে। আসলে টিসিবির পণ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটা বেশ বিরক্তিকর। পাশাপাশি বর্তমান সময়ে টিসিবির মালে অনেক প্রকারের ভেজাল করা হচ্ছে। বিশেষ করে কিছুদিন আগেই জানতে পারলাম টিসিবি পণ্য চিনির মধ্যে লবণ মেশানো হয়েছে।
আচ্ছা তাহলে তো চিনি চেক করতে হবে দেখছি।
তাহলে আজকে আমাদের এখানে টিসিবির সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে তুমি উপস্থাপন করেছ আমাদের মাঝে। আর এরই মধ্য দিয়ে কিন্তু বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম। প্রত্যেক বছরে মোটামুটি রমজান মাসে এই টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে জিনিস দেওয়া হয়। আর তার সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে দেখে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।