জেনারেল রাইটিং।। প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কেনাকাটর কিছু মুহূর্ত ।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১০/০৫/২০২৪) রোজ: শুক্রবার।
💞 শুভ রাত্রি 💞
আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাদ্য প্রয়োজন ঠিক তেমনি আরো কিছু অন্যান্য জিনিসের প্রয়োজন। আমরা সবাই চাই আমরা একটু ভালোভাবে জীবন যাপন করি। সাথে আমাদের বেঁচে থাকার প্রতি অনেক জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে। শুধু খাবারের অভাব মিটলেই আমাদের জীবন চলে না তার জন্য আরও অনেক কিছু প্রয়োজন হয়ে থাকে। আজকে সপ্তাহে শুক্রবার। শুক্রবারের দিন তেমন কোনো বাজার বা দোকানপাট খোলা থাকে না বললেই চলে। কারণ অনেক জায়গায় শুক্রবার ছুটির দিন হিসেবে সকল ব্যবসা করাও ওই দিনটির ছুটি পালন করে থাকে এবং একটু বিশ্রাম নেয়। আমি এমনিতেই কেনাকাটা গুলো বেশিরভাগ গাংনী থেকেই করে থাকি। কিন্তু সপ্তাহে আজ শুক্রবার হওয়ায় গাংনীর সকল দোকানপাট বন্ধ থাকে তাই আর গাংনীতে যাওয়া হলো না। তবে আমাদের পাশে একটি বড় বাজার রয়েছে। এটা হচ্ছে বামুন্দী বাজার। আশেপাশের মধ্যে খুবই জমজমাট এবং বড় এই বাজারেটি। তবে প্রয়োজনের জিনিসপত্রগুলো অনেক সময় বড় বাজার থেকে ক্রয় করলে ভালো হয়ে থাকে। তাই আজকে জুম্মার নামাজ শেষ করে বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেয়ে আমি আর আমার বাবা দুজনেই একটি পাখি ভ্যান ভাড়া করলাম। এরপরে আমরা রওনা দিলাম বামুন্দি বাজারে। আগে থেকেই বাবা প্লান করে রেখেছিল যে জিনিসপত্র গুলো ক্রয় করতে হবে তা বামুন্দি বাজার থেকে ক্রয় করবে। কিন্তু আমরা যে জিনিসপত্রগুলো ক্রয় করতে গিয়েছিলাম সেগুলো হচ্ছে আমার আপুর ছেলের জন্য। আমার আপুর পুত্র সন্তান হয়েছে। এতে আমরা পরিবারের সবাই অনেক খুশি এবং আমি মামা হতে পেরেছি এতে তো আমি খুবই আনন্দিত। আমার ভাগ্নের বয়স আজ এক মাস ১৮ দিন। তাই বাবা বললো চলো আজকে বাজারে যেতে হবে কিছু জিনিস ক্রয় করতে হবে। বাবার কথায় আমিও রাজি হলাম এরপরে আমরা বাসা থেকে সাড়ে তিনটার সময় রওনা দিলাম। পরে আমরা চারটার সময় বামন্তী বাজারে পৌঁছে গেলাম এবং বাজারে যে বড় একটা দোকান রয়েছে ঠিক সেখানে আমরা গাড়ি থেকে নেমে দোকানে গেলাম এমন সময় উপরের ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি।
দোকানের ভিতরে গিয়ে দেখতে পেলাম বেশ অনেক মাল মাঠে রয়েছে এবং যাবতীয় অনেক জিনিসপত্র এখানে পাওয়া যায় তাই উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করলাম।
এরপরে আমরা সেখান থেকে প্লাস্টিকের একটি পট, একটি মগ ,একটি বড় গামলা , একটি ছোট চেয়ার একটি ছোট টুল এই পাঁচটি জিনিস ক্রয় করেছিলাম ।যেহেতু বাচ্চা এখন অনেক ছোট তাই এই জিনিসগুলো প্রয়োজনীয়। আমরা যে জিনিসপত্র গুলো ক্রয় করেছিলাম সেখান থেকে আমাদের একটা মেমো করে দেয় যেটা আপনারা উপরের ছবিটিতে সেই মেমোর ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন। ওখানে আমাদের বিল হয়েছিল ৭৯০ টাকা। যদিও প্রতিটি জিনিসের প্রতি আমাদের অনেক লেস করে দিয়েছিল এবং পাইকারি মূল্য দিয়েছিল। পরবর্তীতে আরো ৪০ টাকা মাইনাস করে ৭৫০ টাকা দিয়ে জিনিসপত্রগুলো ক্রয় করে নিয়ে চলে আসলাম।
এরপরে বাবা বললো এবার চলো তোমার মামার একটা হাতের চুরি ক্রয় করতে হবে। আপনারা সকলেই জানেন ছোট বাচ্চাদের হাতের চুরি দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত এই চুরিগুলো বেশিরভাগ রুপার চুরি দেওয়া হয়ে থাকে। তাই জুয়েলার্স থেকে একটি রুপার চুরি দেখেই পছন্দ হয়ে গেল । আর এখন রুপার ভরি চলছে ১৬০০ টাকা। উপরে যে আপনারা রুপার বালাটা দেখতে পাচ্ছেন এ রুপার বালাটি আমি ক্রয় করেছিলাম। এটার মূল্য নিয়েছিল আমাদের কাছ থেকে ১৮০০ টাকা। এরপরে রুপার বালা নিয়ে ওখান থেকে আবার ব্যাক করলাম বাজারের দিকে।
এরপরে বাজারে এসে বাবা বলল এবার একটা মুরগি ক্রয় করা যা কিছু হতো বাজারে এসেছি তাই একটা মুরগি নিয়ে যাওয়া হোক। এরপরে আমিও বাবার সাথে গেলাম গিয়ে একটা মুরগি ক্রয় করলাম মুরগিটির মূল্য নিয়েছিল আমাদের কাছ থেকে ৫৫০ টাকা এখন লেয়ার মুরগি গুলো ৩৭০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। দিন দিন এর দাম বেড়েই চলেছে। এমন সময় আমি উপরের ছবিটা আমার ফোনে ধারণ করি।
আমি আগেই বলেছি আশেপাশে বাজারের মধ্যে বামুন্দি বাজার সেরা বললেই চলে। কারণ এই বাজারেটি অনেক বড় এবং এখানে পাওয়া যায় না এমন কিছু নেই। আজকে শুক্রবার তাই বামুন্দি বাজারে হাটছিল । আমরা যেহেতু বাজারে গিয়েছি তাই বাবা বললো তুমি এখানে বসো আমি বাজার করে আসি। আমি তেমন একটা ঠিকঠাক বাজার করতে পারি না তাই বাজারে না গিয়ে বসে থাকলাম এবং বাবা বাজার করে নিয়ে কিছুক্ষণ পরেই চলে আসলো। এভাবে আমাদের বাজার ঘাট করতে করতে প্রায় দুই ঘন্টা লেগে গেল। এরপর আমার আছে গাড়িটি ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছিলাম সেই গাড়িতে মালপত্র সব ঠিকঠাক করে গুছিয়ে নিয়ে আবার বাসার দিকে রওনা দিলাম ।এভাবে আজকের বিকেলের কিছু মুহূর্ত পার করেছি বেশ ব্যস্ততার সাথেই পার করেছি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
আপনি আমাদের বাসার পাশে বামুন্দিবাজারে এসেছিলেন। আমাদের বাজারে সুনাম করছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগতেছে। সত্য কথা বলতে আশপাশে বাজারের মধ্যে বামুন্দী বাজার সেরা। এখানে সব কিছুই পাওয়া যায়। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য প্রয়োজন ঠিক তেমনি এ দৈনন্দিন জীবনে অনেক জিনিসপত্রই প্রয়োজন যা ছাড়া আমরা একদমই কল্পনা করতে পারি না। আপনি বামুন্দী বাজারের দেখতেছি প্রতিটা দোকানে ভিজিট করেছেন। শুভেচ্ছা রইল ভাই আপনার এই সুন্দর মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য। আসাদ এন্ড আরিফ গিফট কর্নারে এখান থেকে আমরাও কেনাকাটা করি। বেশ ভালো জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহিত দেওয়ার জন্য। আর আপনার বাসা বামুন্দি সেটা জানতে পেরে ভালো লাগলো ইনশাআল্লাহ একদিন দেখা হবে।
বেশ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এমন সুন্দর মুহূর্ত দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। যেখানে আপনি আমাদের মাঝে কেনাকাটার মুহূর্তগুলো খুব দারুণভাবে সাজিয়ে দেখিয়েছেন। খুবই ভালো লাগলো আশা করি পরবর্তীতে এমন কেনাকাটার বিষয়গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
অবশ্যই ভাইয়া ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনার কেনাকাটার মুহূর্ত দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। মাঝেমধ্যে প্রয়োজনে কেনাকাটা করতে আমাদের সকলেরই কমবেশি বাজারের দিকে যেতে হয়। তবে সবাই যদি এভাবে ফটো ধারণ করতে পারি এবং শেয়ার করতে পারি তাহলে একে অপরের কেনাকাটার মুহূর্ত দেখার সুযোগ মিলে। ঠিক তেমনি আজকে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন তাই অনেক কিছু জানতে পারলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।