ভ্রমণ।। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমন (দ্বিতীয় পর্ব)।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ ০৭/০৪/২০২৪) রোজ: রবিবার
💞 রামাদান মোবারক 🌸
ইতি পূর্বে আপনারা যারা আমার প্রথম পর্বটি দেখেছেন তারা আজ এই ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্বটি দেখতে পেয়ে আপনাদের ভালো লাগবে আশা করি। আপনারা যানেন এই ভ্রমনের প্রথম পর্বটি অলরেডি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। তাই আজকে আমি আপনাদের নিকট দ্বিতীয় পর্বটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমরা কলেজ থেকে প্রায় সন্ধ্যা ৬:০০ টার সময় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে রওনা দিয়েছিলাম। এরপরে ১১ঘন্টা জার্নি করার পর ঠিক যখন ফজরের আজান দিলো তখন আমরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পৌঁছে ছিলাম। এরপর তখন আমরা বাস থেকে নেমে আমরা ছয় জন বন্ধু মিলে একটা অটো গাড়ি নিলাম। আমাদের বাস যেইখানে পার্কিং করেছিল সেখান থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার বা তার ও কম। তাই আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা অটো ভাড়া করে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে রওনা দিলাম। তারপর অটো ডাইভার আমাদের একদম কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পাড়ে রাস্তার এক পাশে হোস্টেলের সামনে নামিয়ে দিলো। ঐদিন সকালের আবহাওয়াটা ছিল খুবই সুন্দর। তাই অটো থেকে নেমে বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা সেলফি ছবি আমার ফোনে ধারণ করি। যেটা আপনারা উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন। বুঝতেই পারছেন অনেক জার্নি করেছি। তাই আর দেরি না করে হোস্টেল খোঁজার জন্য গেলাম। তারপরে আমরা আটজন বন্ধু মিলে পুরো একটা বড় রুম নিয়ে নিলাম। আমাদের ঐ হোস্টেলের এক রাত ও দিন বারোটা পর্যন্ত থাকার জন্য ভাড়া নিয়েছিল ২৫০০ টাকা। যেহেতু অনেক জার্নি করেছিলাম তাই সকাল হতেই ক্ষিদে পেল । ঐ সময় খাবার খাওয়ার প্রয়োজন ছিল । তাই আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু খাবার খাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্টে গেলাম। এরপরে সেখান থেকে ২ টা পরোটা খেয়ে নিলাম। তারপরে রুমে প্রবেশ করে ড্রেস চেঞ্জ করে রেস্ট না নিয়েই বিচে গেলাম। তবে রেস্ট নেওয়ার প্রয়োজন ছিল কিন্তু মনে চাচ্ছিল একবার বিচে গিয়ে ঘুরে আসি। পরে রেস্ট নিলেই হবে। তাই রেস্ট না নিয়েই কয়েকজন বন্ধু মিলে ড্রেস চেঞ্জ করে বিচে চলে গেলাম।
এরপরে যখন বীচে গেলাম তখন মনটা একদম ভরে গেল। আর ঐ দিনের সকালের আবাহাওয়া টা ছিল খুবই সুন্দর গরম ও না আবার খুব বেশি ঠান্ডা ও না। তাই বীচে গিয়েই দৃষ্টি নন্দন দৃশ্য দেখে মন চাইলো কয়েকটি ছবি তোলা যাক। তারপরে পকেট থেকে ফোন বের করে কয়েকটি ছবি তোলার পরে মনে চাই ডিয়েছিলারে কয়েকটি ছবি তোলে নেওয়া যাক। আর বীচে গেলেই দেখতে পাবেন যে সেখানে অনেক ফটোগ্ৰাফার আপনার দিকে ছুটে চলে আসবে আপনার ছবি তুলে দেওয়ার জন্য। ঠিক আমাদের কাছে ও আসছিল তাই আমি আর আমার একটা বন্ধু দুজন ডিয়েছিলারে ছবি তুলে নিলাম। উপরের ছবিটিতে আপনারা যে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন এই ছবি গুলো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে তোলা হয়েছে। আসলে জায়গা যদি সুন্দর হয় তাহলে ছবি তুলতে ও মন চায়। আর কেউ যদি আমার ছবি তোলে তাহলে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই এক একবার এক এক স্টাইল দেওয়ার চেষ্টা করলাম আর ছবি উঠলাম। আর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমন করবো আর সেখান থেকে ছবি উঠলো না তা তো হয় না।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব। আসলে আমরা কলেজ প্রথম বর্ষে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে গিয়েছিল কিন্তু আমার যাওয়া হয়েছিল না। তবে এর আগে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। আসলে সেখানে বাস থেকে নামার পরে মেন স্পটে যাওয়ার জন্য বাইকে করে যেতে হয়। আসলে বালির মধ্যে বাইক চালানো সত্যি বেশ কষ্টের ব্যাপার। তুমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে গিয়ে বন্ধুদের সাথে বেশ দারুন আড্ডা দিয়েছো তোমার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ভ্রমণের আমাদের অনেক পরিকল্পনা হয়েছিল৷ তবে বিভিন্ন কারণবশত সেখানে যাওয়া হয়নি৷ আজকে আপনি সেখানে গিয়ে খুবই সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এবং খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ আশা করি পরবর্তীতে আরো সুন্দর সুন্দর কিছু পর্বের মাধ্যমে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো৷
অবশ্যই ভাইয়া নতুন পর্বের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে আরও অন্যান্য বিষয় জানানো হবে। আর আপনি যেহেতু যাননি তাই অবশ্যই যাবেন খুবই ভালো লাগবে আশা করি।
অবশ্যই চেষ্টা করবো যাওয়ার।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এরকম ভ্রমণের মধ্যে রয়েছে অনাবিল আনন্দ। একই সাথে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে তোলা তোমাদের বিভিন্ন প্রকারের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার।