অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা।। প্রথম পর্ব।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(০৬/১০/২০২৩) রোজ: শুক্রবার।
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি @biplob89 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা প্রথম পর্ব। আসলে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে পুকুর ভাটিয়ে মাছ খালের দিকে চলে আসছে আর সেই সাথে খালে মাছ ধরার এক প্রতিযোগিতা বেড়ে গিয়েছে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
উপরে আপনারা যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এটিকে গ্রামের ভাষায় বলে থাকে খরাজাল । আসলে এই জাল দিয়ে অনেক মাছ ধরা যায় । উপরে দেখতে পাচ্ছেন একজন বাঁশের উপরে উঠে ফড় বাঁধছেন।
আসলে জালগুলো সম্পূর্ণ মাটির সাথে পড়ার জন্য সামনে তীর দিতে হয় । আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একজন পানিতে নেবে তীর বাঁধছেন।
উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটা সম্পূর্ণ খরাজাল খুব সুন্দর ভাবে কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু মাছ ধরার অপেক্ষায়।
এবার দেখতে পাচ্ছেন একজন জাল চাপ দিয়ে তুলছে এবং আরেকজন ডান পাশে বাঁশের উপরে দাঁড়িয়ে দেখছে সঠিকভাবে জাল বাধা হয়েছে কিনা।
এভাবে দেখলাম তারা প্রথমে যখন জাল ফেলেছিল তখনই তারা মাছ পেয়ে গিয়েছিল। আসলে এমন দৃশ্য দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছিল তাই ক্যামেরায় ছবি না তুলে আর পারলাম না।
উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন উপরে কাগজ দিয়ে সুন্দরভাবে বাঁধা। যাতে বৃষ্টি হলেও তারা খুবই সুন্দরভাবে বৃষ্টিতে না ভিজে মাছ ধরতে পারে।
এমন দৃশ্য দেখে নিজেকে কন্ট্রোল না করতে পেরে আমি তাদের খুবই কাছাকাছি গিয়ে দেখলাম। তারা এভাবে অনেক মাছ ধরছে।আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এখানে পুটি কই মায়া চিংড়া এবং জিউল আরো বিভিন্ন ধরনের মাছ তারা ধরতে সক্ষম হচ্ছেন।
তবে আর একটা বিষয় দেখলাম তারা আরো যে মাছ ধরেছে সেগুলো বড় হাড়িতে রেখে দিয়েছে বিক্রি করার জন্য। তারপরে আমিও সেখানে চলে গেলাম মাছ কেনার জন্য । উপরে ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই হাড়িতে প্রায় সম্পূর্ণ হারি পুরা মাছে ভর্তি।
এরপরে আমি সেখান থেকে ২কেজি পুঁটি মাছ কিনলাম। আসলে পুটি মাছ গুলো খেতে খুবই স্বাদ। আর এই পুটি মাছগুলো দেখে আর লোভ সামলাতে না পেরে ২ কেজি পুঁটি মাছ ত্রুয় করলাম। প্রতি কেজি মাছের দাম নিয়েছিল আমার কাছ থেকে ২০০ টাকা। তাই ২ কেজি মাছে আমার কাছ থেকে তারা ৪০০ টাকা নিয়েছিল।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
মাছ ধরা প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বটি বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে খাল বিল পানিতে ভরে গেছে আর এরই মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার পদ্ধতি। তারা তো দেখছি অনেক মাছ পেয়েছে আর এই মাছগুলো খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়।
হমম আপু ধন্যবাদ।
আমি আমাদের এলাকাতেও এরকম জাল রেখেছিলাম সে অনেক বছর আগের কথা, বৃষ্টিতে তাহলে একটা ভালো অনুভূতি হয়েছে আপনাকে মাছ ধরার একটা বেশ ভালো প্রতিযোগিতা চলছে।
জি ভাইয়া বেশ ভালো প্রতিযোগিতা চলছে আরও পর্ব দেখার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন।
মাছ ধরার দৃশ্য গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো ভাই। অতিরিক্ত বৃষ্টি পানিতে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা বেশ আনন্দের সাথে সকলে উপভোগ করছে বলে মনে হচ্ছে। এমন টাটকা টাটকা মাছ দিয়ে রেসিপি তৈরি করে খেলে সত্যিই ভীষণ স্বাদ পাওয়া যায়। আর এরকম অভিজ্ঞতা আমারও আছে। কেননা আমিও নদীর কাছে গিয়ে জেলেদের কাছ থেকে টাটকা টাটকা নদীর মাছগুলো কিনে নিয়ে আসি। যাইহোক ভাই, মাছ ধরার প্রতিযোগিতা নিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয় আমাদের গ্রামের খাল বিলগুলো পানিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। ঠিক এমন অবস্থায় যখন খালে মাছ ধরা চলছিল তার মধ্য থেকে মাছ ধরার সুন্দর এই দৃশ্য আপনি ক্যামেরাবন্দী করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভেবেছিলাম বেড়াতে যাব ওই পাড়ার দিকে কিন্তু সময় হয়ে ওঠেনি। যাইহোক ওখান থেকে বেশ সুন্দর কিছু মাছ ধরার দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ।
আপনাকে ও ধন্যবাদ ভাইয়া। এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এরকম জালগুলো আগে গ্রামের বাড়িতে গেলে দেখতে পেতাম। বিশেষ করে বর্ষাকালে এরকম জালগুলো পাতা হতো। এগুলোতে অনেক মাছ উঠে। আপনাদের এই জালেও দেখছি অনেক ধরনের মাছ উঠেছে। কিছু কিছু শিং মাছ আছে মনে হচ্ছে। দুই কেজি পুটি মাছ কিনে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে বকা খাননি? পুটি মাছ কাটা তো খুবই কষ্টকর। যাই হোক ভালো লাগলে আপনার পোস্টটি পড়ে।
আপু ২ কেজি পুটি মাছ বাড়িতে নিয়ে গেছি তাই বলে আরও নিয়ে এলে না কেন। কারণ এই মাছ তো সব সময় পাওয়া যায় না। তাই দুই কেজি পুটি মাছ নিয়ে যেতে বাড়ির সবাই খুশি এবং আরো নিয়ে যেতে বলেছিল ।ধন্যবাদ আপু আপনার মতামথটি শেয়ার করার জন্য।
এভাবে জাল পেতে মাছ ধরা দেখতাম ছোটবেলায়। তখন পুকুর খালবিল সহ আরও অনেক খালি জায়গা ছিলো। আর এখন তো সবকিছুই ভরাট করে বাড়িঘর, কলকারখানা নির্মাণ করা হয়েছে। তাই এখন আর এগুলো দেখার সৌভাগ্য হয় না। মাছ ধরা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। বেশ ভালোই তো মাছ ধরেছে দেখছি। এমন তাজা মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।