জেনারেল রাইটিং।। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(১২/১২/২০২৩) রোজ: মঙ্গলবার।
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আমি @biplob89 আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি জেনারেল রাইটিং।। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কিছু মুহূর্ত।তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
আজকে সারা বিশ্বে এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এটি মূলত সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এই ক্যাপসুল ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস যাদের বয়সসীমা তাদের খাওয়ানো উপযোগী। আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাসার পাশেই এই ক্যাপশন গুলো শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে। আমাদের এখানে একটা নির্দিষ্ট জায়গা হচ্ছে আমাদের বাড়ির পাশে আজগর আলী ফোনের বাড়ি এখানেই সরকারের সকল সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। আজকে সকালেই আমাদের মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়েছিল সরকারি টিকা দেওয়া হবে। প্রতিবছর আজকের এই দিনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে। তবে আজকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর দায়িত্ব পরে আমার এক বড় ভাইয়ের। তবে সে আগে থেকে আমাকে বলেছিল যে আজকের এই দিনে বাড়িতে থাকতে কারণ তার কাজের কিছু সহযোগিতা করতে। ঠিক তেমনি আমিও ভাইয়ের কাছে সহযোগিতা করলাম এবং অনেক শিশুদের নিজ হাতে টিকা খাওয়ে দিলাম।
উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমারই এক ভাই তিনি ছোটদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াইয়া দিচ্ছেন। আসলে এই ক্যাপসুলগুলো দের জন্য খুবই উপকারী তাই প্রতিবছরের এই ক্যাপসুল বিনামূল্যে প্রতিটা শিশুদেরকে খাওয়ানো হয়ে থাকে। তবে একটা বিষয় হচ্ছে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর আগে অবশ্যই এর কিছু নিয়ম নিতে আপনাকে জেনে নিতে হবে তা না হলে আপনি এগুলো খাওয়াতে পারবেন না। প্রতিবছরই এই ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো খাওয়ানো হয়ে থাকে। আপনারা যারা ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো খাওয়ায়েছেন বা বাচ্চাদেরকে খাওয়াতে নিয়ে গেছেন আপনারা নিশ্চয়ই সেখানে দেখতে পেয়েছেন কোন কোন ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো লাল রঙের আবার কয়েকটি নীল রঙের রয়েছে। তবে এই লাল এবং নীলের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এখানে মূলত যাদের বয়স এক বছরের নিচে অর্থাৎ ছয় মাস থেকে বারো মাস পর্যন্ত তাদের জন্যই এই নীল ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো খাওয়াতে হবে। অন্যদিকে যাদের বয়স বারো মাস থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ এক বছর থেকে পাঁচ বছর তাদের জন্য লাল কালারের ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো খাওয়াতে হবে। এটি আমি আগে জানতাম না তবে আজকে এগুলো যখন খাওয়াইছিলাম তখন এ বিষয়টা আমি জানতে পারলাম। আর এই ভিটামিন নেই ক্যাপসুলগুলো কোথাও বিক্রির জন্য প্রযোজ্য নয় এটা সরকার কর্তৃক শিশুদের জন্য বিনামূল্যে এটি দেওয়া হয়ে থাকে।
এরপরে আমাকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল টিকার একটা টালি ফ্রম এর শীট দিয়েছিল। এবং বলেছিল যে এই ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো খাওয়ানো হবে সেগুলো এর ফর্মে ট্যালি আকারে তুলে ধরতে। এভাবে আমি টিকা দিয়ে ফর্মে তুলে ধরি। আজকে আমাদের পাড়ায় ১০০ টি ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। আসলে এগুলো একদম উপর থেকে গুনে দেওয়া হয় যে কারণে বয়স সীমার বাইরে যারা আছেন তাদের দেওয়া হয় না।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
আজ সারাদেশে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। আপনি সেই মুহূর্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার এক পরিচিত বড় ভাই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াচ্ছে দেখে ভালো লাগলো। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাইয়া আপনার পোস্ট দেখে ছোট বেলায় কথা মনে পড়ে গেলো। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনার এলাকায় ১০০ টি ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে জেনে খুশি হলাম। শরীর জন্য খুব উপকারী ভিটামিন এ ক্যাপসুল । ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আজকে সারা দেশে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। আমিও আজকে সকালে আমার ভাতিজাকে নিয়ে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে নিয়ে গেছিলাম। তবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল আমার অনেক উপকার। আপনি সুন্দর ভাবে পোস্ট টি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।।
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছ। তোমার লেখা ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কিছু মুহূর্ত পোস্টটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আসলে আমাদের এলাকাতেও আজকে ছোট্ট ছেলে মেয়েদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। সরকার সারা বাংলাদেশে বিনামূল্যে প্রদান করছে সত্যি বেশ প্রশংসনীয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সেই ছোট্টবেলার স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল, তখন অনেক ঘটা করে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক আসতো ছোট বাচ্চাদের ভিটামিন খাওয়ানোর জন্য। আমাদের বাড়ির কাছেই এই ক্যাপসুলগুলো খাওয়ানো হয় তাই নির্দিষ্ট সময়ে অনেক মানুষের ভিড় জমে।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। গতকাল আমার ছেলেকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। ছেলের বয়স দুই বছরের বেশি হওয়ার কারণে লাল রঙের ক্যাপসুলটি খেতে দিয়েছিল। আসলে নির্ধারিত বয়সী বাচ্চাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।