জেনারেল রাইটিং।। ২ দিন ব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিল (০৪ পর্ব)।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ ০৩/০৩/২০২৪) রোজ: রবিবার
💞শুভ বিকেল 🌸
আপনারা ইতিপূর্বে আমার এই পর্বগুলো যারা দেখেছেন তারা আজকেও এ পর্বটি দেখে অনেক ভালো লাগবে আপনাদের আশা করি। দুইদিন ব্যাপী আমাদের গ্রামবাসীর উদ্যোগে এই মাহফিলটি একটু বড় আকারে হয়ে থাকে। এই কথাটি আমি প্রতিটি পর্বেই বলে থাকি কারণ এটি আমাদের একটি গর্ব। প্রতিবছর আমাদের দক্ষিণপাড়া কবরস্থান ময়দানে এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আমাদের গ্রামে তিনবার মাহফিল হয়ে থাকে এর মধ্যে এ কবরস্থানে মাহফিলটি খুব বড় আকারে করা হয়ে থাকে। মাহফিলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি সেখানে থাকার চেষ্টা করে এবং আমার সময় অনুযায়ী আমি সেখানেই থাকি এটা আমার খুবই ভালো লাগে। আমি মনে করি মাহফিলে কোন একটি কাজে যদি আমি সুযোগ পাই তাহলে সে কাজটি নির্দ্বিধায় করে দিতে। যেমন এবার আমার দায়িত্ব ছিল মাহফিল প্রচার করে বেড়ানো সে দায়িত্বটা আমি আলহামদুলিল্লাহ পালন করতে পেরেছি। আমি মাহফিলের প্রচারে দুইদিন বের হয়েছিলাম আমার খুব ভালো লেগেছিল সে অনুভূতিটি। যা কখনোই ভুলবার নয়। তবে আপনার উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন মাহফিলের যে গেট রয়েছে সেখানে উপরে দুই পাশে দুটি মাইক লাগানো হয়েছে। মাহফিলের যেমন সব কিছু গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মাইক অর্থাৎ সাউন্ড। কারণ সাউন্ড ছাড়া শ্রোতারা আওয়াজ শুনতে পছন্দ করে না। বিশেষ করে মাহফিলের। তবে আমি দেখতে পেলাম একদম বিকেলের দিকেই অর্থাৎ আসরের নামাজ শেষ করে আমি যখন কবরস্থানে গিয়েছিলাম তখন দেখলাম মাইক লাগানো থেকে শুরু করে সবকিছু কাঁচ একেবারে কমপ্লিট। তাই আমি উপরের এই ছবিটা আমার ফোনে ধারণ করি।
উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন মা ছেলের প্যান্ডেলে বসে আছেন আমাদের নতুন পাড়া জামে মসজিদের ইমাম সাহেব। আমাদের এই কবরস্থানের সভাপতি হচ্ছে আমাদের নতুনপাড়া জামে মসজিদে ইমাম সাহেব জনাব মোঃ সাত্তার মোল্লা। তিনি সাবেক ধর্মীয় শিক্ষক রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আমার জন্মের পরপরই আমি দেখেছি এই মাহফিল হচ্ছে। আল্লাহর রহমতে এবং আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে এই বছরের এই মাহফিলটি হয়েছে তাতে আমি অনেক খুশি। সবে প্রতিবছরের নাই আমরা আমাদের গ্রামবাসীরা এই কবরস্থানেই মাগরিব এবং এশার নামাজ আদায় করি। তাই আমাদের নতুন পাড়া জামে মসজিদের ইমাম সাহেব তিনি মাগরিবের আযান দেওয়ার আগে থেকেই মাহফিলে গিয়ে নামাজের জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং কবরস্থানে নামাজ আদায় করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমিও সেখানে গিয়েছিলাম গিয়ে উপরের ছবিটা আমি সংগ্রহ করি। তবে আরও একটা বিষয় আমার খুবই ভালো লাগবে যে আমাদের যে বিশেষ মেহমান ছিল প্রথম দিনের তিনি মাগরিবের আগেই চলে এসেছিল এবং তিনি বলেছিলেন যে মাগরিবের নামাজ নাকি আমাদের সাথে একসাথে কবরস্থানে আদায় করবে বেশ খুশি একটা মুহূর্ত ছিল। উপরের ছবিটিতে আপনারা একদম ডান পাশে দেখতে পাচ্ছেন যিনি বসে আছেন উনি হচ্ছেন আমাদের প্রথম দিনের বিশেষ মেহমান ছিলেন।
এরপরে কিছুক্ষণ পরেই মাগরিবের আজান হল কবরস্থান ময়দানে। এমন সময় আমি পড়ে দেই ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আজান হচ্ছে। আসলে প্রতিবছরই আমি চেষ্টা করি যে মাহফিলের দুই দিন যেহেতু মাগরিবের এবং এশার নামাজ কবরস্থানে হাও হয়ে থাকে এজন্য আমি খুব আগেভাগেই অজু করে সেখানে উপস্থিত হই। কারণ আমি প্রতিবছরে আমি কবরস্থান ময়দা নেই মাহফিলের দুই দিন নামাজ আদায় করে থাকি এতে আমার বেশ ভালই লাগে।
পরবর্তী পর্বটি দেখার জন্য আমার সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
আপনি মাহফিলের প্রচারে বের হয়েছেন শুনে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যি কথা বলতে বর্তমানে ওয়াজ মাহফিলে এখন মেলায় মানুষ বেশি হচ্ছে। হাতে গুনে ১০ থেকে ২০ মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, এটা খুবই খারাপ লাগার একটা বিষয়। মানুষ আস্তে আস্তে কেমন মনুষত্ববোধ হারিয়ে ফেলতেছে। দেখতে পারতেছি অনেক সুন্দর করে প্যান্ডেলটি সাজানো হয়েছে, যাক ভালো লাগলো মুহূর্তগুলো পড়ে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া বেশিরভাগ মানুষই মেলায় সময় কাটায় মাহফিলে নয়।
আমাদের গ্রামের দুইদিন ব্যাপী এই তাফসিরুল কোরআন মাহফিল খুবই সুন্দর হয়। পরবর্তী সময়ে আশা করি এটা আরো বেশি সুন্দর হবে। আমিও লক্ষ্য করে দেখেছি সাউন্ড সিস্টেম ভালো না হলে শ্রোতার সংখ্যা অনেক কম হয়।
আপু সাউন্ড সিস্টেম ভালো ছিল কিন্তু এসএসসি পরীক্ষা এ কারণে শব্দ বেশি দূরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না।
আপনাদের গ্রামের এই দুই দিনব্যাপী মাহফিলের অন্যান্য পর্বগুলো আমি পড়েছিলাম। আজকে এর আরো একটি পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো একইসাথে আপনি মাহফিলে প্রচারের জন্য গিয়েছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। তবে এখনকার সময়ে মাহফিল থেকে অন্যান্য জায়গায় মানুষ বেশি দেখা যায়৷ মাহফিলে তেমন একটা মানুষ দেখায় যায় না৷ মানুষের মনুষত্ব যেন কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে এবং ইসলামের প্রতি তাদের যে ভালোবাসা তা এখন অনেকটাই কমে যাচ্ছে৷ প্রতিনিয়তয়ই মানুষজন মাহফিল থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনাদের গ্রামে তিনবার তাফসিরুল কোরআন মাহফিল হয়ে থাকে যেটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় কি এবার আমি মাহফিলে যেতে পারিনি ।চেষ্টা করব আরেকবার মাহফিলে যাওয়ার।
অবশ্যই আসবেন ধন্যবাদ।