এই গরমে কেউ নেই ভালো।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৮/০৪/২০২৪) রোজ: বৃহস্পতিবার
ছবিটিএখানথেকে নেওয়া হয়েছে
সবাইকে জানাই নববর্ষের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ।
💞 শুভ বিকাল 🌸
এইতো আজ বেশ কয়েকদিন ধরেই গরম যেন খুব বেশি। রমজানের বৃষ্টি রোজার পর থেকেই এই গরমের অভ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। এই গরমের পাশ কোনমতে কেটে যাচ্ছে না। বৈশাখ মাসের আজ পাঁচ দিন। বৈশাখ মাসে প্রচন্ড রোদ পরে। তবে এবার যেন মনে হচ্ছে রোদের তাপ অনেক বেশি। আজ এই কয়েক দিন ধরে যেমন রোদ পড়ছে রোদের দিকে তাকানোই যাচ্ছেনা । এমনকি এই প্রখর গরমে ঘরের ভিতরে ও থাকা যাচ্ছে না । আজ এই কয়েকটা দিন গরমের কারণে মানুষজন কোন কাজেই করে আরাম পাচ্ছে না। আমার তো রোদ দেখলেই ভয় পাচ্ছে বাইরে বেরোতে ইচ্ছে করছে না আবার ঘরের মধ্যেও থাকতে পারছে না। এদিকে আবার বিদ্যুতের এক জ্বালা। একটু যে ঘরের মধ্যে ফ্যানের বাতাসে থাকবো তাও হচ্ছে না কারণ এই কারণটা আছে এই নাই এদিকে গরম তো আর ছাড়ছে না। এই গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আজকে যখন গাংনী থেকে বাড়িতে আসছিলাম তখন দেখলাম অনেকেই বলছে এই রোদে অনেকেরই ডায়রিয়া হয়ে যাচ্ছে এবং গরম লাগছে। বেশিরভাগ ছোট বাচ্চাদের এমন সমস্যা হচ্ছে কারণ এই গরমের সময় ছোট বাচ্চাদের নিয়ে থাকা খুবই কষ্টকর। কারণ তারা তো আর বুঝে না এই রোদের মধ্যে খেলাধুলা করে বেড়ায়। যে কারণে একদম অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ছোটদের বোঝানো খুবই কষ্টকর একটা ব্যাপার আর এই রোদের মধ্যেই তাদের পিছে ছোটাছুটি করার একটা বিরক্তি করার ব্যাপার। তবে আমি মনে করি যদি একটু বৃষ্টি হতো তাহলে মনে হয় আবহাওয়াটা আবার নরম হয়ে যেত। তবে প্রখর নদী আমাদের সকলের বেশি বেশি করে পানি খাওয়া প্রয়োজন আর বেশি বেশি করে ওর স্যালাইন বা শরবত জাতীয় জিনিস খাওয়ার প্রয়োজন।
আজ কয়েকটা দিন যে রোদ পড়ছে এর থেকে বাচবার উপায় এর জন্য আখের রস সাথে বেলের রস খেলে তো আরো ভালো হয়। কারণ এই প্রচন্ড গরমে বেলের রস অর্থাৎ বেলের তৈরি শরবত খেতে খুবই ভালো লাগবে এবং এটা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কাঠফাটা রোদে আমাদের সকলেরই সচেতন হতে হবে কারণ যে গরম পড়ছে তাতেই অনেকেই আছে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তবে বিশেষ করে যারা স্বাভাবিকের তুলনায় একটু মোটা তাদের এই গরমে খুব বেশি সচেতন থাকার প্রয়োজন । কারণ প্রায় শুনি মানুষ গরমের কারণে স্টক করেছে। প্রখর রোদে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে না বেরোনোই ভালো। আর এই রোদের জন্য কোন জায়গায় মনে হচ্ছে যেন শান্তি পাচ্ছিনা। সব সময় মনের মধ্যে একটা ছটফট লাগছে। এই গরমে মনে বলছে দিনের মধ্যে চার থেকে পাঁচবার গোসল করব কিন্তু বার বার গোসল করায় আবার ঠান্ডা লাগার ভয় রয়েছে। তবে এই সময় যদি কারো ঠান্ডা গরম একসাথে লাগে তাহলে সে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়বে। ঈদের দুইদিন পরে আমার শরীরটা খুবই খারাপ ছিল কারণ ঈদের দিন রোদ ছিল অনেক বেশি যে কারণে ওই দিন ঘুরতে যাওয়া হয়নি। পরের দিনও রোদটা ছিল ভালই কিন্তু এদিকে মন থাম ছিল না তাই একটু ঘুরাঘুরি করেছিলাম। ওই ঘোরাঘুরি থেকেই আমার মনে হচ্ছিল যেন আমার গরম লেগে গেছে। এরপরে একাধারে বেশ কয়েকদিন ওর স্যালাইন সাথে আরো খাবার কিছু খাবার নিয়ম মাফিক মেনে খেলাম । আলহামদুলিল্লাহ এখন আমি ভালো আছি। তবে এই গরমে আমার মত অনেকেই ভালো নেই। কারণ একদিকে যেমন গরম পড়ছে ঠিক তেমনি বিদ্যুতের বিভ্রাট এ যেন এক অসহ্য করার যন্ত্রণা।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া যে গরম পড়ছে এই গরমে বেলের শরবত বা যেকোনো ধরনের শরবত খেতে পারলে বেশ ভালো লাগে। যেমন রোদ তেমন গরম সব মিলিয়ে বেঁচে থাকাটাই যেন মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এই গরমে আমার ছোট বাচ্চাকে নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ আমরা দুজনের মোটামুটি ভালো আছি। আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
প্রচন্ড গরমের দিনে স্বস্তির সন্ধানে সকল মানুষ। আমাদের দেশে তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৪০ এর মধ্যে। কিন্তু এদিকে ভারতে চল্লিশের উপরে তাপমাত্রা। এমন মুহূর্তে আমাদের কিন্তু সত্যিই নিরাপদ স্থানে থাকা প্রয়োজন স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ ।
ভালো থাকি কেমনে ভাই যে গরম পড়ছে দিন দিন। যেন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে প্রত্যেকটা সময়। দিনেও প্রচন্ড গরম রাতেও প্রচন্ড গরম তারপর আবারও লোডশেডিং কেমনটা লাগে। এদিকে আবার প্রচন্ড মশা অত্যাচার। জীবন যেন অতিষ্ঠ ও জড়াজীর্ণ।
হ্যাঁ আপু সবারই এমন সমস্যা। ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টে বেশ কিছু শব্দের ভুল ব্যবহার হয়েছে। আপনি বিশ এর পরিবর্তে বৃষ্টি লিখেছেন আবার আভাস এর পরিবর্তে লিখেছেন অভ্যাস। এগুলো ঠিক করে নিবেন।
সত্যি গরমে আমাদের জনজীবন একেবারে বিধ্বস্ত। আমার তো বাইরে বের হতেই ইচ্ছা করে না। কী একটা অবস্থা। রীতিমতো আমার ভয় করে বাইরে বের হতে। আশাকরি এই অবস্থা খুব দ্রুতই কটে যাবে। খুব দ্রুতই আকাশ ভেঙে সৃষ্টিকর্তার রহমত বৃষ্টি নামবে।
আশা করি আপনার বানানটি শুধরে নেবেন। আর অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
যদিও রোজা রাখার কারণে গরমটা কিছুটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে তারপরও গরমের পরিমাণটা খুবই বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিনে। এভাবেই যদি গরমের পরিমাণ বৃদ্ধি বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে সকলের জন্যই টিকে থাকাটা অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। এই গরমের হাত থেকে রক্ষার জন্য আমাদের সকলের ঠান্ডা জিনিস খাওয়া উচিত বিশেষ করে শরবত।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া শরবত খাওয়া খুবই প্রয়োজন।
অনেক ধন্যবাদ গরমের অনুভুতি শেয়ার করার জন্য, তবে লেখাগুলো আরো কয়েকটি প্যারাগ্রাফ করে উপস্থাপন করলে ভালো হতো। এছাড়া আজও কিছু বানান ভুল হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ রইল। ধন্যবাদ