লাইফ স্টাইল।। বড় ভাইয়া ছুটিতে আসাই আমার অনুভূতি।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(০৪/০১/২০২৪) রোজ: বৃহস্পতিবার।
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আমি @biplob89 আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল।। বড় ভাইয়া ছুটিতে আসাই আমার অনুভূতি। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
আজকে থেকে প্রায় ছয়টি মাস আগে আমার এক চাচাতো ভাই তিনি চাকরির ট্রেনিং এর জন্য বাড়ি ত্যাগ করেছিল । আর গত এক সপ্তাহ ধরে শুনছি ভাইয়া বাড়িতে আসবে। এরপরে কালকে প্রায় আসরের আযানের আগে ভাইয়া ফোন দিল যে আমার ছুটি হয়েছে আমি বাড়িতে আসছি। আসলে এই সময় আমি যে কত আনন্দিত হয়েছিলাম তা আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। ভাইয়ার কালকে গাড়ি ছিল সন্ধ্যা সাড়ে আটটায়। এরপর ভাইয়া যখন গাড়ি তে চড়ে রওনা দেয় তখন আমার কাছে ফোন দেয় যে এখন রওনা দিচ্ছি। এবার ভাইয়া বলল যে আমার আসতে রাত ১২:০০ টারও বেশি লেগে যেতে পারে তুমি এসে আমাকে নিয়ে যাবে। আমি বললাম ঠিক আছে ভাইয়া তাই হবে। এরপরে ভাই আবার ফোন দিয়ে বলে আমার আসতে ২:০০ বেজে যাবে। তাই আমি বাড়ি থেকে রাত ১:৪৫ মিনিটের দিকে বের হলাম। আমার বাসা থেকে গাংনী খুব একটা দূরত্ব নয় মোটরসাইকেলে যেতে ১৫ মিনিট বা ২০ মিনিট সময় লাগে। তবে রাত্রে বাসা থেকে মোটরসাইকেলে যখন বের হলাম তখন রাস্তায় কুয়াশা দেখে সত্যি অবাক হয়ে গেলাম অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। উপরে আপনারা যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে গাংনী থেকে তোলা এই ছবিটি। গাংনীতে পৌঁছে আমি বাস স্টান্ডে রেখে একটু আশেপাশে ঘুরলাম। আমি প্রায় ২ টাই গাংনীতে পৌঁছে ছিলাম।
গাড়ি বাস স্ট্যান্ডে রেখে আমি যখন একটু ঘোরাঘুরি করেছিলাম দেখছিলাম গাংনী বাজার পুরাটাই ফাঁকা তখন রাত দুইটা বাজে। তাই সেখান থেকে এই ফটোগ্রাফিটি সংগ্রহ করলাম।
এরপরে শ্যামলী কাউন্টারের কাছে গিয়ে দেখলাম সেখানেও কোন লোকজন নেই। আপনার উপর ছবিটা তো দেখতে পাচ্ছেন কাউন্টার ফাঁকা অর্থাৎ কোন মানুষের ভিড় নেই কারণ রাত বাজে দুইটা।
কালকে আমি তিনটা ছয়টার একসাথে পড়েছিলাম তার পরেও আমি শীতে কাঁপতে ছিলাম কারণ খুবই ঠান্ডা পড়ছিল। আপনার উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন আমি একজন ছুটে পরিধান করে একটা সেলফি ছবি আমার ফোনে ধারণ করেছি।
এরপরে গাড়ি যাই গাড়ি আসে কিন্তু ভাইয়ের দেখা মিলে না এভাবে আমি প্রায় দেড় ঘন্টা সেখানে বাসস্ট্যান্ডে কাটিয়েছিলাম ভাইয়ের অপেক্ষায়। অবশেষে যখন সাড়ে তিনটা বাজে ঘড়িতে তখন দেখি ভাইয়ার বাসটি চলে আসে। ভাইয়া বাস থেকে নামতেই খুবই আনন্দ পেলাম সবচেয়ে বেশি আনন্দ লেগেছিল বাসটি যখন বাসস্ট্যান্ড এসে পৌছায় আমার মধ্যে অন্যরকম কাজ করেছিলাম। উপর আপনার এতে বাজে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এই বাসটি নয় এর আগে যে বাসটি এসেছিল সে বাসটিতে আমার ভাই এসেছিল সে বাসটি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল না তাই ফটোগ্রাফি করতে আমি সক্ষম হয়নি। কালকে এতই কষা পড়েছিল যে উপরে রে বাসটি কুয়াশার জন্য এক্সিডেন্ট করে সামনের গ্লাস ফাটিয়ে ফেলেছিল। ভাইয়া বলেছিল এই গাড়িটি তাদের সামনে ছিল তাই তার নিজ চোখে সে এক্সিডেন্ট দেখতে পেয়েছে। যাক খুবই ভালো যে ভাইয়া যে বাসটিতে এসেছিল সেই বাসটি নিরাপদে বাসস্ট্যান্ডে এসে পৌঁছে ছিল ।
দীর্ঘ ছয়টি মাস পরে আবারো ভাইয়ের সাথে দেখা তাই তার সাথে ভালোবাসা শেয়ার করে আমার
আত্মা তৃপ্তি হয়েছিল না তাই দুই ভাই এক ফ্রেমে একটি সেলফি ছবি তুলে নি। ভাইরা চার দিনের ছুটিতে এসেছে চার দিন আমার খুবই আনন্দে কাটবে আমি মনে করছি। এক কথায় আমাদের দুই ভাইয়ের যে এত মিল অনেকেই বলে তোমরা কি জমজ ভাই নাকি। তবে ভাইয়ার প্রতি ভালোবাসা আমার কখনো কমতি থাকবে না।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
অবশেষে তাহলে ঘন্টা তিনেক পরে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ভাইয়ের দেখা পেলেন। বোঝাই যাচ্ছে বড় ভাই বাসায় আসা উপলক্ষে আপনার মধ্যে এক অন্যরকম ভালোলাগা এবং আনন্দ কাজ করছিল সবসময়ই। শীতের মধ্যে বাহিরে থাকাটা সত্যিই অনেক বেশি কষ্টের তারপরও আপনি বাহিরে অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছেন। বড় ভাইয়ের ছুটিতে আসা নিয়ে আপনার এই অনুভূতির গল্প পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো। ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের যে ভালোবাসা সেটা গভীরভাবে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ চমৎকার একটি অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে আপনাদের চাচাতো ভাই চাকরির জন্য টেনে গিয়েছিল ছয় মাস পর বাসায় ফিরেছে। তার সাথে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছেন আর বিস্তারিত বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এই পোস্টের মাঝে। আর এই থেকে বেশ কিছু জানতে পারলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।
প্রিয় মানুষগুলোর জন্য অপেক্ষা করাটাও কিন্তু একটা অন্যরকম আনন্দের বিষয়। তবে রাত এগারোটা বলে সেটা রাত তিনটে বেজে গেছে এটা তো অনেক বেশি সময় লেগেছে। তবে ভাই ওই এক্সিডেন্টের কথাটা শুনে বেশ খারাপ লাগলো। যাইহোক আপনার ভাই সুস্থ ভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছে এটাই সবথেকে বড় কথা।