✌️তীব্র গরমে বাসায় বানানো আইসক্রিম। 🍦🍡🍦
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(২১/০৬/২০২৩) রোজ: বুধবার।
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি @biplob89 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি তীব্র গরমের বাসায় কিভাবে আইসক্রিম
বানানো যায়। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি । সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করি। নাস্তা করা শেষ হলে গোসল করি। গোসল শেষে খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নেই । এভাবে বিকেল বেলায় একটু বাসা থেকে বের হই । বিকেলে বাইরের আবহাওয়াটা যাক ভালই লাগলো । তারপর সন্ধ্যা গড়াতেই বাসায় ফিরে ভাবলাম একটা পোস্ট করা যাক। তারপরে তখনই আমি পোস্ট করার জন্য প্রস্তুতি হয়। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আপনাদের মাঝে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
প্রচন্ড গরমে সবাই একটু ঠান্ডা খোঁজে। তাই আজকের এই গরমের দিনে মনে করলাম বাসায় আইসক্রিম বানিয়ে খাই। তাহলে একটু ঠান্ডা অনুভূতি করা যাবে। তো চলুন দেখে নিই আমার এই.......
আইসক্রিম বানানোর জন্য যা যা প্রয়োজন :
১. দুধ
২. চিনি
৩. হরলিক্স
৪. চিনা বাদাম
৫. কিসমিস
ধাপ: ১
আইসক্রিম বানানোর জন্য সর্বপ্রথম যেটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে দুধ । দুধ ছাড়াও আইসক্রিম বানানো যায় ।তবে দুধের আইসক্রিমটা খেতে অনেক সুস্বাদু এবং স্বাদ লাগে। তাই আমার বানানো আইসক্রিমের মধ্যে আমি দুধ রেখেছি।
ধাপ: ২
আইসক্রিম বানানোর জন্য দ্বিতীয় ধাপে দুধের সাথে সামান্য পরিমাণ পানি মিশিয়ে সেটি চুলার উপরে বসিয়ে নাড়তে হবে। চুলায় বসানো দুধ ভালোভাবে ফুটাতে হবে। ভালোভাবে ফোটানো দুধ পুনরায় চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে ।
ধাপ: ৩
তৃতীয় ধাপের মাধ্যমে দুধ আরো মিষ্টি করার জন্য পরিমাণ মতো চিনি মিশিয়ে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় দুধ যেমনটি মিষ্টি লাগার কথা ঠিক তেমনটি মিষ্টি লাগে না। সেই ক্ষেত্রে আমরা চিনি ব্যবহার করে ওই উক্ত দুধ মিষ্টি করতে পারি।
ধাপ: ৪
পুষ্টিকর খাদ্য উপকরণের মধ্যে হরলিক্স একটি। এটি আইসক্রিমের মধ্যে দেওয়ার কারণে আইসক্রিমটির সাধ আরো বেড়ে যাবে। তাই আপনাকে চতুর্থ ধাপে অবশ্যই হরলিক্স রাখতে হবে। হরলিক্স দুধের মধ্যে মেশানোর সময় লক্ষ্য করতে হবে যাতে হরলিক্স গুলো কখনো দানা বেঁধে না যায়।
ধাপ: ৫
পঞ্চম ধাপে আইসক্রিম বসানোর ছাঁচের মধ্যে দুধ ঢালতে হবে। দুধ ঢালার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যাতে এটি আইসক্রিম বসানোর ছাঁচের বাইরে পড়ে না যায়।
ধাপ: ৬
দুধ আইসক্রিমের ছাঁচে ঢালার পরও অনেকটা জায়গা ফাঁকা থাকে। এজন্য আপনাকে যেটি করতে হবে সেটি হচ্ছে চামচ দিয়ে ওই অপূর্ণ জায়গাটি পূরণ করে দিতে হবে।
ধাপ: ৭
সপ্তম ধাপে দুধে ভরা পূর্ণ আইসক্রিমের ছাঁচের মধ্যে চিনা বাদাম এবং কিসমিস দিতে হবে। এগুলো দেওয়ার ফলে আইসক্রিমটির আরো স্বাদ বেড়ে যাবে।
ধাপ: ৮
অষ্টম ধাপে এসে আইসক্রিমের ছাচ গুলো আটকে দিতে হবে।
শেষ ধাপ:
একদম সর্বশেষ ধাপে উক্ত আইসক্রিমের ছাঁচটি ফ্রিজের মধ্যে ডিপে রাখতে হবে। তারপর দুধ তরল পদার্থ থেকে কঠিন পদার্থে পরিণত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যখন দুধ কঠিন পদার্থে পরিণত হবে তখন সেটি ফ্রিজ থেকে বের করে খাওয়ার উপযোগী হবে।
আপনারা চাইলেও এমন করে বাসায় আইসক্রিম বানাতে পারেন। যা তীব্র গরম থেকে বাঁচার জন্য বা অতিরিক্ত গরমে একটু ঠান্ডা অনুভূতি পাওয়ার জন্য আপনারাও এই ধাপগুলো অবলম্বন করে বাসায় আইসক্রিম বানীয়ে খেতে পারেন।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ
তীব্র গরমে বাসায় বানানো আইসক্রিম ভাই তোমার আইসক্রিমের রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। আসলে আইসক্রিম বানানোর প্রক্রিয়াটা অসাধারণ ছিল।প্রতিটি ধাপ অনেক দক্ষতার সহিত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী আপনাদের মাঝে আইসক্রিমের এই ছবিটি তুলে ধরেছি ।আপনার এত মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হঠাৎ আবার গরম বেড়ে গেল। গরম থেকে বেশি খারাপ লাগে বেশি আদ্রতা। যাই হোক এই গরমে ঠান্ডা কিছু খেতে সবসময় ইচ্ছে করে। আপনি খুব সুন্দর আইসক্রিম তৈরী করেছেন। দুধ দিয়ে এভাবে ছোটবেলায় অনেক আইসক্রিম বানিয়ে খেয়েছি। তবে হরলিক্স দিয়ে খাওয়া হয়নি। বানানোর পদ্ধতি দেখে মনে হল অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে ভাইয়া আইসক্রিম যাতে আরো স্বাদ লাগে খেতে এ জন্য আমি হরলিক্স দিয়েছি। আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার আইসক্রিম দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। আইসক্রিম পছন্দ করেনা এমন কেউ নেই। এই গরমে এত রাতে আপনার এমন রেসিপি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। হরলিক্স দিয়ে কখনো আইসক্রিম খাওয়া হয়নি। আপনার এই পদ্ধতি অবলম্বন করে একবার তৈরি করার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ এমন মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।