রেসিপি।। বোরুই মাখানোর মজাদার ঝাল রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ ০৯/০২/২০২৪) রোজ: শুক্রবার
💞জুম্মা মোবারক💞
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিম্নরূপ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বোরুই | ১কেজি |
কাঁচা-মরিচ | ১০০ গ্ৰাম |
ধনিয়া পাতা | ৫০ গ্ৰাম |
লবণ | পরিমাণ মতো |
পাটা-নোড়া | ১ টি |
চামচ | ১টি |
ছোট বাটি | ২ টি |
মাঝারি-গামলা | ২টি |
আপনারা অনেকেই টাইটেল থেকে বুঝতে পেরেছেন আমি আজকে আপনাদের মাঝে কি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে রেসিপি খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি যা দেখলেই এমনিতেই মুখে জল চলে আসে। আপনারা যারা দেখছেন হয়তো আপনাদের অনেকেরই মুখে জল চলে আসার কথা। এই রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমেই বোরই এর প্রয়োজন। আপনার উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন আমি নিজেই একটি লগি দিয়ে গাছ থেকে বোরই পারছি। আর আমি যখন বোরই পারছিলাম তখন আমার একটা ভাই আমাকে না বলেই আমার উপরের ছবি ফোনে ধারণ করে এরপরে আমাকে দিয়ে বলে নাও এটা তুমি পোস্ট করবা ব্লগে। আসলে অনেকেই জানে আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করি। তাই তারাই আমার বেশি পোস্ট করার জন্য আগ্রহী করে দেয় বেশ ভালই লাগলো ব্যাপারটা।
এবার আমি বোরইগুলো একটি ঝুড়িতে সবগুলো কুড়িয়ে নিয়েছি। এবার হবে আসল কাজ।
এবার আমি বোরুই গুলো পানিতে খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি। যাতে বোরুয়ের গায়ে কোন অপরিষ্কার না থাকে এমন ভাবে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার আমি ধুনীয়া গাছ থেকে ধুনীয়া পাতাগুলো খুব ভালো করে ছুড়িয়ে নিয়েছি।
এবার একটি পাত্রে পানি নিয়ে ধুনেপাতা গুলো খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার আপনারা উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন বোরই এর বোটনা গুলো ভালোভাবে ছড়িয়ে প্লেটের এক পাশে রাখা হয়েছে। এবং এক পাশে ধনিয়া পাতা এবং অন্য পাশে কাঁচামরিচ।
এবার আমি বোটনা ছুড়ানো, বোরইগুলো পাটায় নিয়ে খুব ভালো করে ছেচে নিয়েছে।
এবার আমি ধনিয়া পাতা, কাঁচামরিচ ও সাথে লবণ দিয়ে একসাথে পাটায় খুব ভালো করে পিষে নিয়েছি। এবং সেচে নেওয়া বোরই এর পাত্রে রেখেছি।
এবার আবার পুনরায় পরিমাণমতো লবণ নিয়ে সবগুলো একসাথে মাখিয়ে নিয়েছি। এগুলা এমন ভাবে মাখাতে হবে যেন ধনিয়া পাতা কাঁচামরিচ লবণ এগুলো সব একসাথে মিশে যায়। কারণ এটি যত মাখানো যাবে তার স্বাদ তত বৃদ্ধি পাবে। তাই খুব ভালোভাবেই সম্পূর্ণ একসাথে মাখিয়ে নিতে হবে।
ফাইনালে এভাবেই তৈরি হয়ে গেল বোরই মাখানোর মজাদার ঝাল রেসিপি। যা খেতে খুবই স্বাদ এবং অত্যন্ত লোভনীয় একটি রেসিপি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
বাহ্ ! বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই ৷ এভাবে বোরুই মেখে খাওয়ার মজাই আলাদা ৷ আমরাও এ সময়ে এভাবে বোরুই মেখে খাই ৷ ভীষণ ভালো লাগে ৷ তবে এ বছর এখনো খাওয়া হয়নি ৷ আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ খুবই শীঘ্রই আপনার মতোই বোরুই মেখে ঝাল ঝাল বোরুই মাখাপ স্বাদ নিতে হবে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
আরে ভাইয়া বরুয়ের সময় চলে যাচ্ছে আর এখনো খাননি। আপনি যে দেখছি এই স্বাদ এখন উপভোগ করতে পারেন নাই। ধন্যবাদ।
এজাতীয় কুল মাখানোর রেসিপি আমার খুবই ভালো লাগে। গতবার আমি এই রেসিপি তৈরি করে এখানে শেয়ার করেছিলাম এবং প্রায় মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়ে থাকে কিন্তু এবার আর তা হয়ে ওঠেনি। বেশ চমৎকারভাবে কুল মাখানো রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। অসাধারণ হয়েছে আপনার আজকের এই সুন্দর রেসিপি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যে করে পাশে থাকার জন্য।
ওরে ভাই! কি দারুণ একটি পোস্ট করেছেন!! আমার ক্যাম্পাসের হলের সামনেই একটা বরই গাছ ছিলো, সেখান থেকেও আমরা নানা কায়দায় বরই পেরে সাথে সাথে ধুয়ে এভাবেই ঝাল আর ধনিয়াপাতা দিয়ে মেখে খেতাম সকলে মিলে! টক -ঝাল স্বাদের বরই মাখা খেতে খেতে বেশ গল্পের আসর বসে যেতো! পুরানো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন ভাই! অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আরে বাহ আপনি দেখছি এই বরই মেখে কার সময় বেশ দারুন মজা করে গল্প করতেন এবং আমার এ পোস্ট দেখে আপনার পুরনো দিনের কথা মনে হলো বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
ধনেপাতা দিয়ে বোরুই মাখা অনেক মজাদার আর টাটকা গাছ থেকে বোরুই পেরে মাখিয়েছেন দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ আপু।
জিভে জল সত্যি চলে এসেছে আপনার বড়াই মাখা রেসিপিটি দেখে।দারুণ সুন্দর বড়াই গুলো।জেনে ভালো লাগলো যে আপনার ফোনে ছবি তুলে দিয়ে বলেছেন যে ব্লগে পোস্ট করতে।বড়াই গুলো দেশি বড়াই এ বড়াই খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয় বিশেষ করে এভাবে মেখে খেতে ভালো লাগে এই বড়াই। আপনার মাখানোর পদ্ধতি ভীষণ ভালো লেগেছে আমার।ধন্যবাদ আপনাকে দারুণ সুন্দর করে বড়াই মাখা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্যটি করে পাশে থাকার জন্য।
ভাইয়া আপনার বরই ভর্তা দেখে জিভে জল চলে আসলো। যদিও আমি দু'দিন আগেই এভাবে ভর্তা বানিয়েছিলাম। এবার গ্ৰামে এসে প্রচুর বরই খাওয়া হয়েছে। গাছ থেকে এভাবে টাটকা বরই পেরে ভর্তা বানিয়ে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আমাদের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে তাই বাজার থেকে কিনে আনা হয়েছে। এছাড়া আমার বোনের বাড়ি গিয়ে এভাবে গাছ থেকে বরই পেরে নিয়ে এসেছি। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। শীতের দুপুরে রোদে বসে বরই ভর্তা খেতে দারুণ লাগে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার মন্তব্য পরে জানতে পারলাম আপনাদের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে তার পরেও বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসে খেয়েছেন খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
বড়ই মাখানোর রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। গাছ থেকে বড়ই কাঁচামরিচ ধনেপাতা দিয়ে মাখালে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার বড় মাখানো রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন এটি খেতে খুবই মজার লাগে ধন্যবাদ।