শীতের রাতে ঝালমুড়ি,চিকেন রুল ও ভাপা পিঠা খাওয়ার কিছু মুহূর্ত।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৭/০৫/২০২৪) রোজ: শুক্রবার।
💞জুম্মা মোবারক 💞
শীতকালে সন্ধ্যার সময় মন চাই একটু বাইরে ঘুরে আসি। যদিও শীতকালে প্রচন্ড কুয়াশা পড়ে তাতে ফাঁকায় বের হতে তেমন একটা ভালো লাগে না। তবে শীতের সময় খাবারের যেন একটা অন্যরকম স্বাদ থাকে। শীতের মধ্যে একদিন দুই ভাই মিলে প্লান করলাম সন্ধ্যায় গাংনী বাজারে গিয়ে কিছু খাওয়া দাওয়া করবো। তাই সন্ধ্যা হতেই মোটরসাইকেল নিয়ে দুই ভাই বেরিয়ে পড়লাম। শীতের সময় গাংনী বাজারে বিশেষ করে সন্ধ্যার মুহূর্তে অনেক মানুষ দেখা যায়। কারণ সন্ধ্যার সময় বাজারে কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা। যেহেতু শীতের সন্ধ্যা তাই খুব ধীরগতিতে আমরা গিয়েছিলাম এভাবে বিশ মিনিট লেগে ছিল আমাদের বাসা থেকে গাংনী বাজারে যেতে। গাংনীতে খুবই সুপরিচিত এবং নামকরা ঝালমুড়ি পাওয়া যায় আলী ভাই এর কাছে। ঝাল মুড়ির জন্য ফেভারেট হচ্ছে আমাদের আলী ভাই। আলী ভাইয়ের মুড়ি যেন সে এক অন্যরকম স্বাদ। আর সন্ধ্যায় যদি কখনো গাংনীতে যাই তাহলে আলী ভাইয়ের ঝাল মুড়িটা আমি মিস করি না। আর সন্ধ্যার মুহূর্তে আলী ভাইয়ের এই মুড়ির দোকানে অনেক ভিড় জমে যায়। তবে যতোই ভিড় হোক আর যাই হোক মুড়ি তো খেতে হবে ।আর আলী ভাইয়ের মুড়ি না খেলে যেন গাংনী থেকে আসলে আর ভালো লাগেনা। তাই আমরা দুই ভাই মিলে ১০০ টাকার ঝাল মুড়ির অর্ডার দিলাম। উপরে আপনারা যে ঝাল মুড়ির ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এই মুড়ি আমরা খেয়েছিলাম।
মুড়ি খাওয়া শেষ করে পাশেই দেখি ভাপা পিঠা। আর শীতের সময় ভাপা পিঠা খাওয়ার তো মজাই আলাদা। শীতের সময় ভাপা পিঠা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ঝাল মুড়ি খাওয়ার পরেই আমার খুব ভাপা পিঠা খাওয়ার ইচ্ছা জাগলো। তাই পাশের দোকান থেকে তিনটা করে মোট ছয়টি ভাপা পিঠা আমরা অর্ডার দিলাম। আর গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। শীতের সময় একটি মজাদার খাবার হচ্ছে এই ভাপা পিঠা। সন্ধ্যার এই মুহূর্তে গাংনী বাজারে ভাপা পিঠা না খেয়ে বাড়িতে আসলে হয়তো ভালো লাগবে না । তাই ভাপা পিঠা না খেয়ে আর আসলাম না। ভাপা পিঠার ঐখানে আমাদের বিল হয়েছিল ৬০ টাকা। ভাপা পিঠা খাওয়া শেষ করে বিল পরিশোধ করে ওখান থেকে চলে আসলাম।
ভাপা পিঠা খাওয়া শেষ করে যখন ওখান থেকে ফিরছিলাম তখন দেখলাম পাশেই চিকেন রোল। চিকেন রোল দেখেই খাওয়ার ইচ্ছা জাগলো। এমনিতেও চিকেন রোল আমি খেতে খুবই পছন্দ করি। চিকেন রুলের সাথে যে সচ দেয় এটা তো আরো স্বাদ লাগে। তাই দুই ভাইয়া দুইটা করে চারটা চিকেন রোল অর্ডার দিলাম। চারটা চিকেন রোলের আমাদের কাছ থেকে মূল্য নিয়েছিল ২০০ টাকা। এই চিকেন রোলগুলা ছিল গরম গরম তাই খেতে খুবই ভালো লেগেছিল । শীতের সময় গরম গরম কিছু খাওয়ার মজাই আলাদা। কারণ শীতের সময় যতো গরম ই হোক না কেন খাবার কিছুক্ষণ রেখে দিলে তা ঠান্ডা হয়ে যায় তা খেতে আর ভালো লাগেনা। আর এই শীতের সময় গরম কিছু খাওয়ার তো ফিলিংসটাই অন্যরকম। এভাবে বেশ সন্ধ্যায় একটু খাওয়া দাওয়া হলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ মুহূর্তে চিকেন রোল খেয়ে অর্থাৎ ঝালমুখ করতে পেরে বেশ ভালো লেগেছিল। এভাবে যাই হোক একটু মুখের স্বাদ মিটিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মোটরবাইকে করে আবার বাসায় ফিরলাম। ওই দিনটা আজ হঠাৎ মনে পড়ে গেল তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
টেবিল.১ | টেবিল.২ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
ডিভাইস | OPPO A15 |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া গরমের তুলনায় শীতের সময় গুলো অনেক ভালো কাটে। আর শীতের সময় প্রত্যেকটি মুহূর্ত অনেক ভালো ছিল। শীতের রাতে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। সেই সাথে খাওয়া-দাওয়া হয়েছে বেশ ভালোই। অনেকদিন আগের স্মৃতি হলেও স্মৃতিগুলো এখনো অমলিন হয়ে আছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার গঠনমূলক মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
একই রাতে দেখছি আপনারা অনেক জিনিস খেয়েছেন। আসলে শীতের রাতে এই জিনিসগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার একই সাথে ঝাল মুড়ি রোল এবং ভাপা পিঠা খাওয়া দেখে তো লোভ লেগে যাচ্ছে।
আসলে ভাইয়া খাবার গুলো খুবই লোভনীয় লোভ লাগারই কথা। অসংখ্য ধন্যবাদ আর যেহেতু লোভ লেগে গেছে তাই অবশ্যই খেয়ে নিবেন।
ঝাল মুড়ি খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন ভাইজান। আপনার এই অসাধারণ একটি পোস্ট আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমিও এই কাজে বেশ অংশগ্রহণ করেছি বন্ধুদের সাথে অনেকবার। যেন আপনার এ ঝালমুড়ি খাওয়ার মুহূর্ত দেখে সেই স্মৃতি মনে পড়ল।
ভাইয়া সব খাবারগুলো গাংনী বাজার থেকে খেয়েছিলাম ধন্যবাদ।