রেসিপি।। ডাউলের মজাদার ভাপা পিঠার রেসিপি।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(০৫/০১/২০২৪) রোজ: শুক্রবার
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আমি @biplob89 আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি রেসিপি।। ডাউলের মজাদার ভাপা পিঠার রেসিপি।।তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
পিঠা তৈরির উপকরণ
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র | পরিমাণ |
---|---|
কালার-ডাল | ১ কেজি |
ময়দা | ১কেজি ৫০০গ্ৰাম |
মাটির হাড়ি | ১টি |
মাটির তৈরি ঝাঝুর হাড়ি | ১টি |
কাচা-মরিচ | পরিমাণ মতো |
পেঁয়াজ | ৭-৮ টি |
রসুন | ৫-৬ টি |
লবণ | পরিমাণ মতো |
বড়ো প্লেট | ১টি |
মাঝারি-গামলা | ১টি |
বেলুন-ফিড়ি | ১টি |
স্টিলের গ্লাস | ১টি। |
ছোট চামচ | ১টি |
তেল | ২৫০ গ্ৰাম |
জিরা | ৫০গ্ৰাম |
কড়া | ১টি |
বড়ো চামচ | ১টি |
মাটির সাড়া | ১টি |
দারচিনি | অল্প পরিমাণ |
ধাপ.০১
সর্বপ্রথম আমি কালায় ভেজে নিয়েছি। এরপরে ভাজা
কালায় ডাল করে নিয়েছি।
ধাপ.০২
এবার রসুন, পিয়াজ,জিরা,লবণ,তেল এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে বাল গুলো খুব সুন্দর করে সিদ্ধ করে এভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ.০৩
এবার আমি কড়ায় ময়দা নিয়ে পানি দিয়ে চুলায় জ্বাল দিয়েছি। এরপরে আমি ময়দা খুব সুন্দর করে ছেনে নিয়েছি।
ধাপ.০৪
এবার আমি ছেনে নেওয়া ময়দা অল্প করে চামচ দিয়ে কেটে নিয়েছি ।
ধাপ.০৫
এবার আমি কেটে নেওয়া ময়দা রুটি বানানোর মতো করে শুকনো ময়দআ দিয়ে বলে নিয়েছি।
ধাপ.০৬
এবার আমি বেলুন দিয়ে বলে নেওয়া ময়দা রুটির মতো মোটা করে গোল করে নিয়েছি।
ধাপ.০৭
এবার আমি স্টিলের গ্লাস দিয়ে খুব সুন্দর করে চাপ দিয়ে রুটি মতো করে বানানো ময়দা কেটে নিয়েছি। এগুলো কাটার পরে যেন গোল হয় সেদিকে লক্ষ্য করতে হবে । যদি গোল না হয় তবে পিঠা বানানোর সময় একটু সমস্যা হতে পারে।
ধাপ.০৮
এবার আমি গোল করে কেটে নেওয়া ময়দা হাতে নিয়ে মাঝখানে হালকা চাপ দিয়ে নিয়েছি । যাতে ডাল গুলো ভালো মতো দেওয়া যায়।
ধাপ.০৯
এবার আমি ছোট এক চামচ ডাল গোল করে কেটে নেওয়া ময়দার ঠিক মাঝখানে দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ.১০
এবার খুব সুন্দর করে পিঠার মুখ লাগিয়ে দিয়েছি। তবে এই সময় খুব ভালো করে ময়দার দুই মুখ ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে এই মুখ খোলা না থাকে। কারণ দুই মুখ ভালোভাবে না লাগালে পিঠার মধ্যে দেওয়া ডাল বের হয়ে যেতে পারে। এভাবেই তৈরি হয়ে গেল পিঠা।
ধাপ.১১
এবার আমি মাটির হাঁড়িতে চুলায় গরম পানি দিয়ে বসিয়ে দিয়েছি। পানি গরম হয়ে ভাপ না বারানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ধাপ.১২
এবার মাটির তৈরির ঝাঝুর এর মধ্যে পিঠাগুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়ে বাসিয়ে দিয়েছি।
ধাপ.১৩
এবার আমি ঝাঝুরে বসিয়ে দেওয়া পিঠার হাঁড়িটি গরম পানি দেওয়া হাড়িটির উপরে বসিয়ে সারা দিয়ে ঢেকে দিয়ে । তারপরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি।
ফাইনাল ধাপ
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমি পিঠা গুলো চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি। এভাবেই তৈরি হয়ে গেল ডাউলের মজাদার ভাপা পিঠার রেসিপি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
ডালের ভাপা পিঠা এর আগে কখনো দেখিনি ।সব সময় গুড়ের ভাপা পিঠা দেখেছি ।বেশ ইউনিক একটি রেসিপি দেখলাম। জানিনা খেতে কেমন হবে। তবে ঝাল ঝাল খেতে তো ভালো হওয়ারই কথা। বেশ ভালো লাগলো দেখে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
অবয় পিঠাগুলো শুধু ডাল না নারিকেল এবং তিল দিয়েও তৈরি করা যায়। আমরা কালকে ডাল এবং নারিকেল দিয়ে তৈরি করেছি তিল দিয়ে এখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। তবে ডাল দিয়েও এ পিঠা তৈরি করে খেলে খুবই স্বাদ লাগে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন।
বাহ্ ! বেশ মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ আসলে শীত মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম ৷ এই সময় নানান রকমের পিঠা তৈরি হয় ৷ তবে আপনার এই ভাপা পিঠা আমার বেশ পছন্দের ৷ কারণ এই পিঠার স্বাদ টা অন্যরকম হয় ৷ পিঠার ভিতরের ডাল কিংবা সবজি দেওয়াতে বেশ ভালো লাগে ৷ যাই হোক , আপনার এই রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন শীত মানে পিঠা খাওয়ার ধুম ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য।
ডালের ভাপা পিঠা আগে কখনো খাইনি। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে খুবই সুস্বাদু। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন রেসিপিটা ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপু আপনি যেহেতু এখনো এই পিঠা তৈরি করে খান নি তাই অবশ্যই খেয়ে দেখবেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবেন ধন্যবাদ।
ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এরকম নারকেল ফুলি পিঠা তৈরি করে খেয়েছিলাম। ডাউলের ভাপা পিঠা এভাবে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন ।দেখে বোঝা যাচ্ছে পিঠাগুলো খেতে খুবই মজা হয়েছে। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দরভাবে মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
কয়েকদিন আগে ডাল দিয়ে ভাপা পিঠা আমিও খেয়েছিলাম। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। তবে মিষ্টি পিঠার চেয়ে ঝাল পিঠা খেতেই বেশি ভালো লাগে। আপনি এত সুন্দর করে এই পিঠার রেসিপি তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দারুন ভাবে পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনিও কিছুদিন আগেই পিঠা খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এরকম ভাবে বিভিন্ন রকমের পিঠা খেয়েছি। যেমন নারকেলের পুর দিয়ে অথবা মাংস দিয়ে। কিন্তু কখনো ডালের পুর দিয়ে এরকম পিঠা খাওয়া হয়নি। আপনার ডাল দিয়ে ভাপা পিঠা রেসিপিটি ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। মনে হয় বেশ মজাদার হয়েছিল। দেখতে তো ভালোই লোভনীয় লাগছে।
আমার এই পিঠাটি আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন আশা করি খুবই ভালো লাগবে ধন্যবাদ।
শীতকালে বাপা পিঠা খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। ডাউলের ভাপা পিঠার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে। এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু আপনার মতামতটি শেয়ার করার জন্য।
ভাপা পিঠা আমি জানতাম গুড় অথবা পাটারি দিয়ে তৈরি করা হয় তবে আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনো ডাউল দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করে খাওয়া হয়নি, এই প্রথমবার আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এরকম ভাবেও যে ভাপা পিঠা তৈরি করা যায় সেটা জানতে পারলাম। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল,মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া পিঠাটি অনেক মজাদার ছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম পিঠা খেয়েছি অনেক তবে দুধে দিয়ে কিংবা তেলে ভেজে তবে আপনার মতো এমন করে ভাপে পিঠা বানিয়ে খাওয়া হয়নি।আপনার এই পিঠা রেসিপিটি খুব সুন্দর লোভনীয় লাগছে।ধাপ গুলো এতো সুন্দর করে তুলে ধরেছেন যে কেউ বানিয়ে নিতে পারবে।ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
এমন করে খেয়ে দেখবেন খুবই ভালো লাগবে।
আপনি এই পিঠা ডালের পুর ভরে তৈরি করেছেন কিন্তু আমাদের দিকে তিল,দুধ আর নারিকেল দিয়ে পুর বানিয়ে এর ভেতরে দেওয়া হয়। এই পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার পিঠা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। শীতের সময়ে কত ধরনের পিঠা খাওয়া হয় আর খেতেও বেশ ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটা ধাপ তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
খেয়ে দেখবেন আশা করি ভাল লাগবে ধন্যবাদ আপনাকে।