কঠিন এই গরমে কেউ নেই শান্তিতে।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৮/০৪/২০২৪) রোজ: রবিবার ।
ছবিটিএখান থেকে নেওয়া হয়েছে
💞 শুভ রাত্রি 💞
আপনারা উপরের টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন যে আমি আজকে আপনাদের মাঝে কি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে আপনারা সকলে জানেন যে এখন বর্তমানে যে আবহাওয়াটা চলছে এই আবহাওয়াতে কেউ খুব একটা ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারছে না। সেই রমজানের শেষ থেকে শুরু হয়েছে এমন আবহাওয়া এর কোন শেষ নাই। দিন দিন এই আবহাওয়া আরো ভয়াবাহ রূপ ধারণ করছে। একদিকে মানুষ গরমের জন্য একজন শেষ হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আবার ফসল নিয়ে চিন্তা। আমার মেয়েরপুর জেলায় এখন খুবই করণময় একটা সময় চলে এসেছে। এই সময় সকল জমিতে বিভিন্ন রকম চাষ রয়েছে। আর এই চার্জগুলো সফলভাবে ফলানোর জন্য পানির কোন বিকল্প নেই। কিন্তু সেই পানের জন্য আজ মানুষ হাহাকারে কাঁদছে।
এইতো গতকালকে আমাদের গ্রামে সবাই মিলে একসাথে স্কুল ফিল্ডে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করা হয়েছে। শুধু আমার গ্রামে নয় আশেপাশে প্রতিটা গ্রামের এইভাবে প্রতিদিন আল্লাহর কাছে অশেষ মেহেরবানী করে বৃষ্টির জন্য সকল মানুষ চোখের পানি ফেলছেন। হয়তো আল্লাহ রাজি খুশি হলেই রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হবে। তাছাড়া প্রতিদিন খবরে দেখতেছি বিভিন্ন এলাকায় খাওয়ার জন্য তারা টিউবয়েল থেকে পানি উত্তোলন করতে পারছে না। বিষয়টা আমি আজ কয়েকটি দিন ধরে লক্ষ্য করলাম। আজ কয়েকটি দিন আমি দেখতে পারছি আমাদের নিজের মোটর দিয়ে আর পান উত্তোলন হচ্ছে না। এক সময় পানি উঠে আবার পানি নেমে যাচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে রোদে সব কিছু মনে হচ্ছে যেন একদম শুকিয়ে গেছে। সেইসাথে খাল বিল পুকুর সবগুলো যেন শুকিয়ে যাচ্ছে এই কঠোর রোদের কারণে। এদিকে রোদের যেমন তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে ঠিক তেমনি কৃষকদের ফসল কাটার সময় চলে আসছে। কিন্তু এই ফসলের ভালো ফলন পাওয়ার জন্য পানির কোন বিকল্প নেই সেখানেই যেন আজ কোনভাবেই পাওয়া যাচ্ছে না। সত্যি এই কঠিন আবহাওয়ায় আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে। বৃষ্টির জন্য আমরা হাহাকারে আজ কাঁদতেছি কারণ কেবলমাত্র এই বৃষ্টি হলেই যেন মনে হয় একদম সবকিছু ঠান্ডা হয়ে যায়।
বৃষ্টির জন্য আজ মানুষ যেমন খুব একটা ভালো নেই ঠিক তেমনি পশু পাখিরাও আরো কষ্টকর দিন যাপন করছে। আমরা হয়তো প্রয়োজনের তাগিদে বিভিন্ন পায়ে আমরা আমাদের খাবার গুলো সঠিক সময়ে যেকোনো পদ্ধতিতে গ্রহণ করতে পারছি । অপর দিকে পশুপাখিরা তারা পানির জন্যই যেন মনে হচ্ছে হাহাকারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বৃষ্টির দেখা না পেলে হয়তো এই আবহাওয়া আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
তাই পরিশেষে বলতে চাই কঠিন এই গরমে আমরা খুবই সচেতন হয়ে থাকবো। বেশি বেশি পানি পান করার চেষ্টা করবো।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
আসলে এই সমস্যাটা যে শুধুমাত্র আমাদের মেহেরপুর জেলাতে হচ্ছে তা কিন্তু নয় দেশের বেশিরভাগ জেলাতেই এখন এই অবস্থা হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের সকলের উচিত মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা যেন তিনি স্বস্থির বৃষ্টি দিয়ে আমাদের সকলকে এই গরমের হাত থেকে রক্ষা করেন।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ।
একটু বৃষ্টি হলেই হয়তো অনেক শান্তি পাওয়া যেত। কিন্তু কি আর করার বেশ কিছু দিন ধরে বৃষ্টির কোন নমুনা নেই। বেশ কিছুদিন ধরে এতো পরিমাণে রোদ ও গরম পড়েছে তাতে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাইরে বের হলেই রোদের মধ্যে শরীর পুড়ে যাচ্ছে।াা আর গ্ৰামের থেকে শহরের জনজীবন এখটু বেশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
এর আগে আমি কোনদিন আমাদের জেলাতে এত বেশি গরম পড়তে দেখিনি। আর আরো একটা জিনিস দেখে সব থেকে বেশি অবাক হয়ে গেলাম সেটা হচ্ছে আমাদের গ্রামেই অনেক টিউবওয়েলে এখন আর পানি উঠছে না। এটা ঠিক গরমের সময় আমাদের সকলেরই বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে আর তাহলেই আমরা সুস্থ থাকবো।
হ্যা আপু বেশি বেশি করে পানি খেতে হবে ধন্যবাদ।
ঠিক ভাই, একদম মনের কথা বলেছেন। আসলেই এই গরমে আমরা কেউই শান্তিতে নেই।আর প্রতিটি জেলায় গরমের প্রকোপ অনেক বেশি। তবে সবাই সবার মত করে নিজেকে মানিয়ে নিতে হচ্ছে।যাইহোক এর থেকে বাঁচার উপায়া গাছ রোপন।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ভাই আমাদের এদিকেও মুসল্লিরা দলে দলে নামাজ আদায় করছে বৃষ্টির জন্য। মহান আল্লাহ তা'আলা তাঁর রহমতের বৃষ্টি দিয়ে অবশ্যই আমাদেরকে স্বস্তির দিন ফিরিয়ে দেবেন এই প্রত্যাশা করছি। যাই হোক ভাই সত্যিকার অর্থেই বর্তমান সময়ের প্রচন্ড রোদ ও অসহ্য গরম সহ্য করা দায় হয়ে পড়েছে। তাই এই অস্বস্তিকর ও অসহ্য দিন যেন আর বেশি দিন পার করতে না হয় এজন্য মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে ফরিয়াদ জানাচ্ছি। কঠিন এই গরমে কেউ শান্তিতে নেই, সে বিষয়ে খুব সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাইয়া তাহলে আপনাদের ঐখানে ও নামাজ আদায় করছে জানতে পেরে খুবই খুশি হলাম ধন্যবাদ ভাই।
এটা ঠিক বলেছেন গরমে কেউই শান্তিতে নেই। তবে নিজের শান্তি যদি নিজেই বিনষ্ট করা হয় তাহলে সেই শান্তি খুঁজে লাভ নেই। মালিকের কাছ থেকে কিছু পাইতে হলে তার আনুগত্য করা লাগে। যখন এখান থেকে আমরা নিজেকে বিচ্যুত রেখেছি তাহলে শান্তি কিভাবে পাব ? তারপরও দয়াময় মেহেরবান যদি আমাদের উপর করুণা করে তাহলে হয়তো বা তার বান্দারা একটু স্বস্তি পাবে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
যত দিন যাচ্ছে তত যেন কঠিন হয়ে পড়ছে এই রোদ গরমের আবহাওয়া। তবে শুনছি সামনে ১-২ তারিখের দিকে বৃষ্টি হতে পারে। এখন আল্লাহ ভরসা বৃষ্টি হবে কিনা। আমাদের সকলের কিন্তু সাবধানতার সাথে দিন যাপন করতে হবে। কারণ আশেপাশে অনেক মানুষ অসুস্থ হচ্ছে এই গরমের কারণে। সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আপু সামনে ১/২ তারিখ বৃষ্টি হতে পারে বিষয়টা আমিও জানি তবে সবিই আল্লাহর রহমত। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
সৃষ্টিকর্তা খুশি হলে অবশ্যই বৃষ্টি বর্ষণ করাবে। বর্তমানের পরিবেশের অবস্থা অনেক বেশি কঠিন। গ্রামের কৃষকরা তাদের ফসল বাঁচাতে বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতিদিন প্রার্থনা করছি। এটা সত্যি যে মানুষের মতো পশু পাখিরা অনেক কষ্টে রয়েছে এই গরম পরিবেশে। অনেক সুন্দর একটি জেনারেল পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
হ্যা ভাইয়া ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ।