বঙ্গ এগ্ৰো কমপ্লেক্স পার্কে কিছু সময়।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(০৮/০৯/২০২৩) রোজ: শুক্রবার।
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি @biplob89 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি বঙ্গ এগ্ৰো কমপ্লেক্স পার্কে কিছু সময় ।আসলে আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করি এবং গোসল করে সম্পূর্ণ ফ্রেশ হয়। তারপরে নাস্তা করি। নাস্তা শেষ করে গাংনীতে যায়। আমার মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। আপা দুলাভাই এবং সাথে আমি ও গিয়েছিলাম। আমাদের গাংনী পৌঁছাতেই জুম্মার আযান দিয়ে দিলো। তারপর ক্লিনিকে আপুকে রেখে আমি আর দুলাভাই নামাজের জন্য চলে আসলাম। আমাদের গাংনী পৌরসভায় একটি খুবই দারুণ মসজিদ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে । তাই ভাবলাম আজকে যেহেতু জুম্মার দিন । আর গাংনীতে যেহেতু চলে এসেছে তাহলে আজকে এখানে নামাজ পড়া যাক। তারপরে আমি আর দুলাভাই ওযু শেষ করে সেখানে নামাজ আদায় করলাম। নামাজ শেষ করে আমরা একটু নাস্তা করে নিলাম। নাস্তা শেষে চা খেয়ে নিলাম। এরপর আমরা আবার ক্লিনিকে চলে গেলাম। আমাদের যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাক্তার চলে এলেন । তারপর ডাক্তারের দেখিয়ে আমরা ঔষধ নিয়ে চলে এলাম। বাড়িতে এসে দুপুরের খাবার খেলাম। তারপর একটু বিশ্রাম নিলাম । বিশ্রাম শেষে আসরের নামাজ শেষ করে আমাদের গ্রামের পার্কে একটু ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
বঙ্গ এগ্ৰো কমপ্লেক্স পার্কটি জুগীরগোফা অর্থাৎ আমার গ্রামের একটি পার্ক। এখানে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ ঘুরতে আসেন। এবং এখানে অনেক দূর থেকেও অনেক মানুষ পিকনিক করতে আসেন। তবে এই পার্কটি আমার বাসা থেকে খুব একটা দূরে নয়। আমার বাসা থেকে হেঁটে গেলে পাঁচ মিনিট সময় লাগে। আজকে শুক্রবার অর্থাৎ ছুটির দিন তাই ভাবলাম আজকে আমাদের পার্কটি একটু ঘুরে আসা যাক। এরপরে আমি এবং আমার ছোট ভাই দুজনেই রওনা দিলাম। উপরে ছবিটিতে আপনাদের যে ছোট ঘরটা দেখতে পাচ্ছেন এখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। তবে একটা দারুন ব্যাপার হচ্ছে আমাদের গ্রামের প্রতিটি মানুষের জন্য এই পার্কটি তে কোন টিকিট ক্রয় করতে হয় না। আর এমন সুবিধা শুধু আমাদের গ্রামের মানুষের জন্যই। কিন্তু এখানে যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে বেড়াতে আসেন তাদের একেক জনের জন্য টিকিটের মূল্য ২০ টাকা করে নেয়া হয়।
আসলে পার্কটিতে অনেক দিন যা হয়েছিল না এজন্যই আজকে বিকেলে সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তবে সেখানে যেয়ে দেখলাম অনেক কিছু নতুন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। উপরে আপনারা যে দুটি ছবি দেখতে পাচ্ছেন এখানে একদম উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন নেট জাল দিয়ে খুবই সুন্দর একটি ঘর বানানো হয়েছে। আসলে অনেক ফুল গাছের টপ অর্থাৎ চারা এখানে আগে রাখা হয়। পরবর্তীতে সেগুলো বড় হয়ে গেলে নির্দিষ্ট জায়গায় সেগুলো সুন্দরভাবে রাখা হয়।
এবার পার্কের ভেতরে যাওয়ার পালা। উপরে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পার্কের গেটে সুন্দর দুটি গাছ দু পাশে লাগানো এবং মাঝখান দিয়ে সুন্দর একটি পথ। আসলে পার্কটিতে বর্তমানে এখনো কোনো গেট সেভাবে তৈরি করা হয়নি। তবে সুন্দর একটি গেট সেখানে তৈরি হবে কিছুদিনের মধ্যে হয়তো। কারণ সেখানে তারা গেটটি কোথায় করলে ভালো হয় তার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা দেখছিল বিষয়টা লক্ষ্য করলাম।
আসলেই পার্কটির ভিতরে প্রবেশ করে আজকে আমার খুবই ভালো লাগলো। আজকে গিয়ে আসলে দেখলাম পার্কটি আগের তুলনায় অনেক সুন্দর এবং অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। এমন এই দৃশ্য দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আসলে পার্কটি তার নতুন সাজে যেন সেজে উঠেছে দেখে মনে হচ্ছিল । উপরে আপনারা যে ছবি দুটি দেখতে পাচ্ছেন সেখানে মোটে চার থেকে পাঁচটা রুম রয়েছে। এ রুমের মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস এবং সেখানে আজকে দেখতে পেলাম বিকেলের টাইমে গান হচ্ছিল। কিন্তু রুমের মধ্যে প্রবেশ করা নিষেধ ছিল । তবে বাইরে থেকে গান শুনতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো।
উপরে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রুমের সামনেই চারপাশে ফুলের টপ দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো। এমন দৃশ্য দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো আসলে এই দৃশ্য যেন নতুন করে দেখছি মনে হচ্ছিল। যাইহোক অনেকদিন পরে গ্রামের পার্কে যে অনেক কিছুর পরিবর্তন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর ভালো লাগলো আজকে অনেক মানুষিই এখানে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন।
টেবিল-১ | টেবিল-২ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
ফোন | OPPO A15 |
স্থান | source |
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
ভাইয়া আমি এর আগে অনেকবার বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্স পার্কে গিয়েছিলাম। আসলে জায়গাটা খুবই সুন্দর। প্রকৃতি নীলাভূমি যেন এই পার্কের মধ্যে রয়েছে। যেদিকে তাকাই চোখ জুড়ে যাবে। যেকোনো দর্শনার্থীর জন্য খুবই সুন্দর একটা জায়গা। আর সবচেয়ে বড় কথা হল মনোরম পরিবেশ। সব মিলে খুব ভালো লাগছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যটি শেয়ার করার জন্য।
পার্ক খুবই সুন্দর একদম মনোরম একটা পরিবেশ, অনেক গাছপালা দেখতে পাচ্ছি। প্রথমদিকে হয়তো মেহেদী আর্টের একটা লাইন চলে এসেছে ভুলক্রমে, পার্কে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে খুশি হলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্স পার্কের মধ্যের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করে আজ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি আপনি আমাদের মাঝে সম্পূর্ণ ডিটেইলস তুলে ধরেছেন এই পাক সম্পর্কে। যা আমাদের গাংনী থানার অন্তর্গত একটি সুন্দর লোকেশন।
ধন্যবাদ ভাইয়া এমন মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে বঙ্গ এগ্ৰো কমপ্লেক্স পার্কে কিছু সময় অতিবাহিত করে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছ। আসলে এই জায়গাটি বেশ পরিচিত আমার। এখানে প্রায় দীর্ঘ পাঁচটি বছর কাটিয়েছি। বন্ধুরা মিলে যখনই আমরা একসাথে পিকনিক করতাম আমাদের এই জায়গাটি ছিল সেই পিকনিকের স্পট। ধন্যবাদ বন্ধু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তোমাকেই ধন্যবাদ বন্ধু। এমন মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
বঙ্গ এগ্রো পার্কে দারুন কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন দেখছি আপনি। আমরা যে কোন অনুষ্ঠানেই এই জায়গাটিতে যায় এবং অনেক মজা করি। যেহেতু এটা আমাদের গ্রামে অবস্থিত তাই যেকোনো সময়ই আমরা এখানে ঘুরতে যেতে পারি।
ধন্যবাদ ভাইয়া।